নিরুপদ্রব বর্ষবরণ
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা। বনানীর এনাম টাওয়ারের সামনে র্যাবের চেকপোস্ট। দ্রুতবেগে ছুটে এল একটি সাদা প্রাইভেট কার। থামার সংকেত দিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। অনেকটা বিরক্তি নিয়ে গাড়ি থেকে নামলেন চার তরুণী। র্যাব সদস্যদের উদ্দেশে বললেন, �এটা বাড়াবাড়ি।
� র্যাব সদস্যরা তাঁদের কথায় কর্ণপাত করলেন না। ডগ স্কোয়াড ও আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি শেষে গাড়িটিকে চলে যাওয়ার সংকেত দিলেন তাঁরা।
এ চিত্র শুধু বনানী নয়, থার্টিফার্স্ট নাইটে এ চিত্র ছিল নগরজুড়ে। নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে খ্রিস্টীয় নববর্ষ বরণে রাজপথে মধ্যরাতের উচ্ছ্বাস প্রকাশ ছিল নিয়ন্ত্রিত। রাস্তায় তরুণ-তরুণীদের কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা লক্ষ করা যায়নি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। থার্টিফার্স্ট নাইটের আয়োজনগুলো ছিল হলরুমকেন্দ্রিক। বিত্তবানদের জন্য ছিল রাজধানীর নামকরা হোটেল ও ক্লাবগুলোতে নানা আয়োজন। সাধারণ মানুষও পাড়া-মহল্লায় পটকা ফুটিয়ে, আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নিরুপদ্রবে বরণ করে নেয় নতুন বছর ২০১১।
থার্টিফার্স্ট নাইটে উচ্ছৃঙ্খলতা ও উ��াদনা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজধানীকে ৯টি জোনে ভাগ করে সাত হাজার পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকেই মাঠে নামে। স্পর্শকাতর স্থান হিসেবে চিহ্নিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বারিধারা, বনানী, উত্তরা, ধানমণ্ডি, বেইলি রোডসহ আশপাশ এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও ক্লাবগুলোতে। �থার্টিফার্স্ট নাইট� উদ্যাপনের নামে মাতলামি কিংবা ইভ টিজিং প্রতিরোধে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করেন।
থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পাঁচ তারা হোটেল ও ক্লাবগুলোর বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল ডিজে পার্টি, ফ্যাশন শো ও কনসার্ট। যেখানে সুরের ঝংকারের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন শত শত তরুণ-তরুণী।
উচ্ছ্বাসের রেশ ছিল পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত। কোনো কোনো বাসার ছাদেও ছিল নাচ-গানের বিশেষ আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে মধ্যরাতের আগে জড়ো হন অনেক তরুণ। এখানে ছিল আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা পটকা ফুটিয়ে উল্লাশ প্রকাশ করেন।
রাতে নিরাপত্তার সার্বিক অবস্থা দেখতে এনাম টাওয়ারের সামনে যান র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান। তাঁর সামনেই কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। র্যাবের ডিজি সাংবাদিকদের জানান, নানা আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে নির্বিঘে� পালিত হয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইট। নগরবাসী যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নববর্ষ উদ্যাপন করতে পারে, সে জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদও মধ্যরাতের নিরাপত্তা তদারকিতে বেরিয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করে মধ্যরাতে সাংবাদিকদের জানান, কোথাও কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিন রাজধানী ছিল তরুণ-তরুণীদের পদচারণে মুখরিত। গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডি, শাহবাগ, টিএসসিসহ শহরজুড়ে তাঁদের আনন্দময় বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বন্ধুদের নিয়ে হৈচৈ আর আড্ডা দিয়ে তাঁরা উদযাপন করেছেন দিনটি। অভিভাবকের হাত ধরে ছোট শিশুরা ভিড় করে শহরের পার্কগুলোতে। মিষ্টি ও খাবারের দোকানে ভিড় ছিল সারা দিন। পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির ফুড কোর্টের এক ব্যবসায়ী জানান, বসুন্ধরা সিটিতে দুপুর থেকেই লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। ফুড কোর্টে সারা দিন ভিড় থাকলেও বিকেল থেকে তা বহুগুণ বেড়ে যায়। তরুণ-তরুণী ছাড়াও বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের সঙ্গে আসে শিশুরাও।
এ চিত্র শুধু বনানী নয়, থার্টিফার্স্ট নাইটে এ চিত্র ছিল নগরজুড়ে। নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে খ্রিস্টীয় নববর্ষ বরণে রাজপথে মধ্যরাতের উচ্ছ্বাস প্রকাশ ছিল নিয়ন্ত্রিত। রাস্তায় তরুণ-তরুণীদের কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা লক্ষ করা যায়নি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। থার্টিফার্স্ট নাইটের আয়োজনগুলো ছিল হলরুমকেন্দ্রিক। বিত্তবানদের জন্য ছিল রাজধানীর নামকরা হোটেল ও ক্লাবগুলোতে নানা আয়োজন। সাধারণ মানুষও পাড়া-মহল্লায় পটকা ফুটিয়ে, আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নিরুপদ্রবে বরণ করে নেয় নতুন বছর ২০১১।
থার্টিফার্স্ট নাইটে উচ্ছৃঙ্খলতা ও উ��াদনা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজধানীকে ৯টি জোনে ভাগ করে সাত হাজার পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকেই মাঠে নামে। স্পর্শকাতর স্থান হিসেবে চিহ্নিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বারিধারা, বনানী, উত্তরা, ধানমণ্ডি, বেইলি রোডসহ আশপাশ এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও ক্লাবগুলোতে। �থার্টিফার্স্ট নাইট� উদ্যাপনের নামে মাতলামি কিংবা ইভ টিজিং প্রতিরোধে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করেন।
থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পাঁচ তারা হোটেল ও ক্লাবগুলোর বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল ডিজে পার্টি, ফ্যাশন শো ও কনসার্ট। যেখানে সুরের ঝংকারের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন শত শত তরুণ-তরুণী।
উচ্ছ্বাসের রেশ ছিল পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত। কোনো কোনো বাসার ছাদেও ছিল নাচ-গানের বিশেষ আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে মধ্যরাতের আগে জড়ো হন অনেক তরুণ। এখানে ছিল আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা পটকা ফুটিয়ে উল্লাশ প্রকাশ করেন।
রাতে নিরাপত্তার সার্বিক অবস্থা দেখতে এনাম টাওয়ারের সামনে যান র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান। তাঁর সামনেই কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। র্যাবের ডিজি সাংবাদিকদের জানান, নানা আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে নির্বিঘে� পালিত হয়েছে থার্টিফার্স্ট নাইট। নগরবাসী যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নববর্ষ উদ্যাপন করতে পারে, সে জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদও মধ্যরাতের নিরাপত্তা তদারকিতে বেরিয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করে মধ্যরাতে সাংবাদিকদের জানান, কোথাও কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিন রাজধানী ছিল তরুণ-তরুণীদের পদচারণে মুখরিত। গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডি, শাহবাগ, টিএসসিসহ শহরজুড়ে তাঁদের আনন্দময় বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বন্ধুদের নিয়ে হৈচৈ আর আড্ডা দিয়ে তাঁরা উদযাপন করেছেন দিনটি। অভিভাবকের হাত ধরে ছোট শিশুরা ভিড় করে শহরের পার্কগুলোতে। মিষ্টি ও খাবারের দোকানে ভিড় ছিল সারা দিন। পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির ফুড কোর্টের এক ব্যবসায়ী জানান, বসুন্ধরা সিটিতে দুপুর থেকেই লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। ফুড কোর্টে সারা দিন ভিড় থাকলেও বিকেল থেকে তা বহুগুণ বেড়ে যায়। তরুণ-তরুণী ছাড়াও বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের সঙ্গে আসে শিশুরাও।
No comments