হাসিনাকে মেরে ফেলতে হবে, রাজনৈতিক মোকাবেলা সম্ভব নয়- ভিডিও চিত্রে মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি
হাসিনাকে মেরেশেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে হবে। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা যাবে না।" এমন সিদ্ধানত্ম হয় ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট হাওয়া ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে।
আর এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক জিয়া, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এবং ফ্রীডম পার্টির নূর।
এমন চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করে দেন কারাগারে আটক হরকত-উল-জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান। মঙ্গলবার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি সংবলিত একটি সচিত্র তথ্যচিত্র প্রদর্শনকালে এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের কথা নিজ চোখে দেখেন হলভর্তি অভ্যাগত অতিথিরা। ওই সচিত্র চিত্রে মুফতি হান্নানসহ বিভিন্ন জঙ্গী দেশবিরোধী অপতৎপরতা ও তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সরাসরি যোগাযোগের কথা নিজ মুখে স্বীকার করেন।
ওই তথ্যচিত্রে হরকত-উল-জিহাদের কমান্ডার ইউনুস স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, দেশে এক লাখের ওপর প্রশিৰিত জঙ্গী রয়েছে। বিভিন্ন ধমর্ীয় সংগঠন এদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না গেলে জঙ্গী তৎপরতা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। আরেক জঙ্গী জানায়, তসলিমা নাসরীন দেশে ফিরলেই হত্যা করা হবে। অন্য জঙ্গীদের মুখে দেশের প্রগতিশীল ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার সঙ্গে জড়িত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনার কথাও উঠে আসে।
ওই প্রামাণ্যচিত্রে সাবেক শিবির ক্যাডারের মুখে উঠে আসে জামায়াত নেতা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী তাদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করলেও নিজের কোন ছেলেকে জিহাদে বা মাদ্রাসায় পাঠায়নি।
আলোচনাসভার পর প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশে জঙ্গী মৌলবাদের উত্থান সম্পর্কে শাহরিয়ার কবিরের সদ্য নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র জিহাদের প্রতিকৃতি।
সুপ্রীমকোর্ট বার মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কাজী মুকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমর্ূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহেদুল ইসলাম সেলিম, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, জাসদের শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরম্নল হাসান, সম্মিলিত ইসলামী জোটের সাধারণ সম্পাদক মহিবুলস্নাহ মুজাদ্দেদী শানত্মিপুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরম্ন হবে। এজন্য দেশের সকল জনগণকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে শঙ্কা থাকার কোন অবকাশ নেই। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সরকার জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী দাবি করেছেন অতিদ্রম্নত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা যত মাঠে থাকবে তত তাদের বিচার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে; বিঘি্নত হবে দেশের নিরাপত্তা। তাই বিলম্ব্ব না করে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দী রাখা হোক। আদালতে নির্দোষ প্রমাণ হলে তারা মুক্তি পাবে আর অপরাধী হলে শাসত্মিভোগ করবে। '৭২-এর সংবিধান পুনর্প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা ওই সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর যে দেশে ধর্ম আর রাজনীতি এক হয়েছে সেখানে অশানত্মি দেখা দিয়েছে_ এসব বিষয় মানুষকে বুঝাতে হবে।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ধাপ্পাবাজি করার কোন সুযোগ নেই। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপস্নবের মাধ্যমে দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করাকে সহজ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, '৭২ সালের সংবিধান ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সংবিধান। শহীদদের ওই সংবিধান সংশোধন ঠিক হয়নি। তাই বর্তমান সরকারের উচিত '৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া।
শিরিন আখতার বলেছেন, দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শব্দ আর শুনতে চায় না মানুষ। তারা এখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেখতে চায়।
কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়ায় তারা এখনও আমাদের রাজনৈতিক এবং সমাজজীবনকে প্রভাবিত করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বিলম্ব হওয়া মানে শত্রম্নকে বিশ্রাম দেয়া। শত্রম্নকে বিশ্রাম দেয়া কোন বুদ্ধিমান মানুষের কাজ হতে পারে না বলে তিনি উলেস্নখ করেন।
মহিবুলস্নাহ মুজাদ্দেদী শানত্মিপুরী বলেন, জামায়াত নেতারা যে ইসলামের কথা বলে, যে কোরানের কথা বলে সে মহাগ্রন্থেও হত্যাকারী ও নারী নির্যাতনকারীদের বিচার বিষয়ে স্পষ্ট উলেস্নখ আছে। যুদ্ধাপরাধীরা ধর্মের দোহায় দিয়ে নিজেদের রৰা করতে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন। এটা স্রেফ ভ-ামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এমন চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করে দেন কারাগারে আটক হরকত-উল-জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান। মঙ্গলবার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি সংবলিত একটি সচিত্র তথ্যচিত্র প্রদর্শনকালে এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের কথা নিজ চোখে দেখেন হলভর্তি অভ্যাগত অতিথিরা। ওই সচিত্র চিত্রে মুফতি হান্নানসহ বিভিন্ন জঙ্গী দেশবিরোধী অপতৎপরতা ও তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সরাসরি যোগাযোগের কথা নিজ মুখে স্বীকার করেন।
ওই তথ্যচিত্রে হরকত-উল-জিহাদের কমান্ডার ইউনুস স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, দেশে এক লাখের ওপর প্রশিৰিত জঙ্গী রয়েছে। বিভিন্ন ধমর্ীয় সংগঠন এদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা না গেলে জঙ্গী তৎপরতা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। আরেক জঙ্গী জানায়, তসলিমা নাসরীন দেশে ফিরলেই হত্যা করা হবে। অন্য জঙ্গীদের মুখে দেশের প্রগতিশীল ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার সঙ্গে জড়িত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনার কথাও উঠে আসে।
ওই প্রামাণ্যচিত্রে সাবেক শিবির ক্যাডারের মুখে উঠে আসে জামায়াত নেতা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী তাদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করলেও নিজের কোন ছেলেকে জিহাদে বা মাদ্রাসায় পাঠায়নি।
আলোচনাসভার পর প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশে জঙ্গী মৌলবাদের উত্থান সম্পর্কে শাহরিয়ার কবিরের সদ্য নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র জিহাদের প্রতিকৃতি।
সুপ্রীমকোর্ট বার মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কাজী মুকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমর্ূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহেদুল ইসলাম সেলিম, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, জাসদের শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরম্নল হাসান, সম্মিলিত ইসলামী জোটের সাধারণ সম্পাদক মহিবুলস্নাহ মুজাদ্দেদী শানত্মিপুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরম্ন হবে। এজন্য দেশের সকল জনগণকে মানসিকভাবে প্রস্তুত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে শঙ্কা থাকার কোন অবকাশ নেই। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সরকার জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী দাবি করেছেন অতিদ্রম্নত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা যত মাঠে থাকবে তত তাদের বিচার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে; বিঘি্নত হবে দেশের নিরাপত্তা। তাই বিলম্ব্ব না করে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দী রাখা হোক। আদালতে নির্দোষ প্রমাণ হলে তারা মুক্তি পাবে আর অপরাধী হলে শাসত্মিভোগ করবে। '৭২-এর সংবিধান পুনর্প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা ওই সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর যে দেশে ধর্ম আর রাজনীতি এক হয়েছে সেখানে অশানত্মি দেখা দিয়েছে_ এসব বিষয় মানুষকে বুঝাতে হবে।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ধাপ্পাবাজি করার কোন সুযোগ নেই। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ভোট বিপস্নবের মাধ্যমে দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করাকে সহজ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, '৭২ সালের সংবিধান ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সংবিধান। শহীদদের ওই সংবিধান সংশোধন ঠিক হয়নি। তাই বর্তমান সরকারের উচিত '৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া।
শিরিন আখতার বলেছেন, দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শব্দ আর শুনতে চায় না মানুষ। তারা এখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেখতে চায়।
কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়ায় তারা এখনও আমাদের রাজনৈতিক এবং সমাজজীবনকে প্রভাবিত করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বিলম্ব হওয়া মানে শত্রম্নকে বিশ্রাম দেয়া। শত্রম্নকে বিশ্রাম দেয়া কোন বুদ্ধিমান মানুষের কাজ হতে পারে না বলে তিনি উলেস্নখ করেন।
মহিবুলস্নাহ মুজাদ্দেদী শানত্মিপুরী বলেন, জামায়াত নেতারা যে ইসলামের কথা বলে, যে কোরানের কথা বলে সে মহাগ্রন্থেও হত্যাকারী ও নারী নির্যাতনকারীদের বিচার বিষয়ে স্পষ্ট উলেস্নখ আছে। যুদ্ধাপরাধীরা ধর্মের দোহায় দিয়ে নিজেদের রৰা করতে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন। এটা স্রেফ ভ-ামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
No comments