বিদায়ী বছরেও ব্যাংক খাতে বিপুল মুনাফা-সর্বোচ্চ মুনাফা জনতা ব্যাংকের সাড়ে এগারো শ কোটি টাকা by মজুমদার বাবু
বরবরের মতো বিদায়ী ২০১০ সালেও বিপুল অঙ্কের পরিচালন মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংকগুলো। কিছু ব্যাংকের মুনাফার প্রবৃদ্ধি দেড় শ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এ বিপুল মুনাফার জন্য অনেক বেসরকারি ব্যাংক পুঁজিবাজার, কলমানিসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বেপরোয়া বিনিয়োগ করে।
তবে অনেক ব্যাংক স্বাভাবিক ব্যাংকিং করেও বিপুল মুনাফা করতে সক্ষম হয়।
ব্যাংকগুলোর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে সর্বাধিক প্রায় এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক এক হাজার ১৪৩ কোটি টাকা।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সোনালী ব্যাংক প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক এক হাজার ৪০ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী বছরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অর্থায়ন, বিতরণকৃত ঋণ, ট্রেজারি বিল বন্ড থেকেই ব্যাংকটির অধিকাংশ পরিচালন মুনাফা এসেছে। ২০০৯ সালেও ব্যাংকটি সর্বোচ্চ ৮৫৭ কোটি টাকা মুনাফা করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করেও বিদায়ী ২০১০ সালে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে ইসলামী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, বিদায়ী বছর অধিক মুনাফার আশায় ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসহ আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করেও আগ্রাসী ব্যাংকিং চালিয়ে যায়। ফলে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়েই ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বছরের শেষে এসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মনিটরিংয়ের কারণে অনেক ব্যাংক তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সমন্বয় করেছে। ফলে এ বছর অস্বাভাবিক মুনাফা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক মুনাফাকারী ব্যাংকগুলো চলতি বছরে এ মুনাফা কমে আসার আশঙ্কায় রয়েছে।
বছরভিত্তিক ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাব থেকে দেখা গেছে, সাময়িক হিসাবে এক বছরে পরিচালন ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। আগের বছরে ছিল ৮৪৩ কোটি টাকা। মুনাফার প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক মুনাফা করেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪২০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক মুনাফা করেছে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছে চার শ কোটি টাকা। প্রাইম ব্যাংকের সাময়িক হিসাবে এক বছরে মুনাফা করেছে ৭৭০ কোটি টাকা। আগের বছরে ছিল ৫৮০ কোটি টাকা।
পূবালী ব্যাংক বিদায়ী বছরে মুনাফা করেছে ৫৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৪২৭ কোটি টাকা। এঙ্মি ব্যাংক এক বছরে মুনাফা করেছে ৬০৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৩২০ কোটি। এনসিসি ব্যাংক গেল বছরে মুনাফা করেছে ৪১০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৩১৪ কোটি টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪৫০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২৭০ কোটি টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৩৮৮ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ২১৫ কোটি টাকা। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বছরে পরিচালন মুনাফা করেছে ১৮০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৮০ কোটি টাকা।
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক এক বছরে মুনাফা করেছে ৩০০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১৮১ কোটি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৩১২ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ১৮০ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংক মুনাফা করেছে ৩৭০ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ২৭০ কোটি টাকা। যমুনা ব্যাংক মুনাফা করেছে ২৫৩ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ১৯৯ কোটি টাকা। অন্যান্য ব্যাংকের খসড়া হিসাব অনুযায়ী সাউথইস্ট ব্যাংকের ৬৮৭ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ৪৫০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ১২১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পরিচালন মুনাফা হয়েছে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা, যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'গত বছর রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ২০০ কোটি টাকা। এ বছর হয়েছে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যাংকটির খেলাপি ঋণও কমে প্রায় ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী বছরের মধ্যে এটি সিঙ্গেল ডিজিটে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।'
এদিকে ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ব্যাংকটি নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে চার হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ শতাংশ। এ সুবাদে ব্যাংকটির বছর শেষে আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ। নতুন বিনিয়োগ পাঁচ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। আমদানি ৫৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৪ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা আর রপ্তানি আয় ৩৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। এক বছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। সব মিলে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ শতাংশ।
ব্যাংকগুলোর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে সর্বাধিক প্রায় এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক এক হাজার ১৪৩ কোটি টাকা।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সোনালী ব্যাংক প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক এক হাজার ৪০ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী বছরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অর্থায়ন, বিতরণকৃত ঋণ, ট্রেজারি বিল বন্ড থেকেই ব্যাংকটির অধিকাংশ পরিচালন মুনাফা এসেছে। ২০০৯ সালেও ব্যাংকটি সর্বোচ্চ ৮৫৭ কোটি টাকা মুনাফা করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করেও বিদায়ী ২০১০ সালে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে ইসলামী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, বিদায়ী বছর অধিক মুনাফার আশায় ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসহ আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করেও আগ্রাসী ব্যাংকিং চালিয়ে যায়। ফলে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়েই ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বছরের শেষে এসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মনিটরিংয়ের কারণে অনেক ব্যাংক তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সমন্বয় করেছে। ফলে এ বছর অস্বাভাবিক মুনাফা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক মুনাফাকারী ব্যাংকগুলো চলতি বছরে এ মুনাফা কমে আসার আশঙ্কায় রয়েছে।
বছরভিত্তিক ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাব থেকে দেখা গেছে, সাময়িক হিসাবে এক বছরে পরিচালন ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। আগের বছরে ছিল ৮৪৩ কোটি টাকা। মুনাফার প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক মুনাফা করেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪২০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক মুনাফা করেছে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছে চার শ কোটি টাকা। প্রাইম ব্যাংকের সাময়িক হিসাবে এক বছরে মুনাফা করেছে ৭৭০ কোটি টাকা। আগের বছরে ছিল ৫৮০ কোটি টাকা।
পূবালী ব্যাংক বিদায়ী বছরে মুনাফা করেছে ৫৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৪২৭ কোটি টাকা। এঙ্মি ব্যাংক এক বছরে মুনাফা করেছে ৬০৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৩২০ কোটি। এনসিসি ব্যাংক গেল বছরে মুনাফা করেছে ৪১০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৩১৪ কোটি টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪৫০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২৭০ কোটি টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৩৮৮ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ২১৫ কোটি টাকা। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বছরে পরিচালন মুনাফা করেছে ১৮০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৮০ কোটি টাকা।
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক এক বছরে মুনাফা করেছে ৩০০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১৮১ কোটি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৩১২ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ১৮০ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংক মুনাফা করেছে ৩৭০ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ২৭০ কোটি টাকা। যমুনা ব্যাংক মুনাফা করেছে ২৫৩ কোটি টাকা, আগের বছরে ছিল ১৯৯ কোটি টাকা। অন্যান্য ব্যাংকের খসড়া হিসাব অনুযায়ী সাউথইস্ট ব্যাংকের ৬৮৭ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ৪৫০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ১২১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পরিচালন মুনাফা হয়েছে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা, যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'গত বছর রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ২০০ কোটি টাকা। এ বছর হয়েছে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যাংকটির খেলাপি ঋণও কমে প্রায় ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী বছরের মধ্যে এটি সিঙ্গেল ডিজিটে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।'
এদিকে ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ব্যাংকটি নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে চার হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ শতাংশ। এ সুবাদে ব্যাংকটির বছর শেষে আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ। নতুন বিনিয়োগ পাঁচ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। আমদানি ৫৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৪ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা আর রপ্তানি আয় ৩৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। এক বছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। সব মিলে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ শতাংশ।
No comments