এবার পাকিস্তানের গুলিতে দুই ভারতীয় সেনা নিহত
কাশ্মীর সীমান্তের উত্তেজনাপূর্ণ নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তান ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে আবারও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওই এলাকায় টহলরত ভারতীয় সেনাদের ওপর পাকিস্তানি সেনারা হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুই দিন আগে রোববার ওই দুই পক্ষের মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গোলাগুলি চলে। এতে পাকিস্তানের একজন সেনাসদস্য নিহত হন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র রাজেশ কে কালিয়া বলেন, জম্মু থেকে ২২০ কিলোমিটার (১৪০ মাইল) উত্তরে মেনধারের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখায় গতকাল তাঁদের সেনাসদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। তাঁরা এ সময় ভারতীয় সীমানার প্রায় আধা কিলোমিটার ভেতরে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আনাগোনা দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘পরে আমাদের সেনাসদস্যরা তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা তাঁদের ওপর গুলি চালান।’
অপর এক সেনা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পুঞ্চের মানকোটে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় টহল দলের ওপর পাকিস্তানি সেনাসদস্যরা হামলা চালিয়েছেন। এতে দুই ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনার দুই দিন পর নতুন করে এ ঘটনা ঘটল। রোববার পাকিস্তান অভিযোগ করে, ভারতের সেনাসদস্যরা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে তাদের একটি নিরাপত্তা চৌকি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া একজন সেনাসদস্যকে হত্যা ও আরেকজনকে আহত করেছেন।
অবশ্য ভারত এই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানের সেনাসদস্যরাই উসকানিমূলকভাবে প্রথমে গুলি ছোড়েন। কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ব্রিজেশ পান্ডে বলেন, ওই দিন তাঁদের সেনাবাহিনী সীমানা অতিক্রম করেনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় কাশ্মীরের উরি জেলার একটি গ্রামে মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করে। এ হামলায় কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরের মালিকানা ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই দাবি করলেও দুটি দেশই এ অঞ্চল শাসন করছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর কাশ্মীর নিয়ে এ পর্যন্ত দুটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে চির বৈরী এই দুই দেশ। পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি ২০০৩ সাল থেকে অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলছে। কিন্তু এর পরও মাঝেমধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ জন্য উভয় দেশ পরস্পরকে দায়ী করছে।
গত মাসে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তে ভারতীয় সেনাসদস্যদের গুলিতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন। এঁরা সবাই বেসামরিক লোক। ভারতের সেনা কর্মকর্তারা পাল্টা দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ৭৫টি ঘটনায় তাঁদের আট সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরুর পর কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার লোক প্রাণ হারালেও সাম্প্রতিক সময়ে সেই তৎপরতা অনেকাংশে কমে এসেছে। বিবিসি, রয়টার্স ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র রাজেশ কে কালিয়া বলেন, জম্মু থেকে ২২০ কিলোমিটার (১৪০ মাইল) উত্তরে মেনধারের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখায় গতকাল তাঁদের সেনাসদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। তাঁরা এ সময় ভারতীয় সীমানার প্রায় আধা কিলোমিটার ভেতরে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আনাগোনা দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘পরে আমাদের সেনাসদস্যরা তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা তাঁদের ওপর গুলি চালান।’
অপর এক সেনা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পুঞ্চের মানকোটে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় টহল দলের ওপর পাকিস্তানি সেনাসদস্যরা হামলা চালিয়েছেন। এতে দুই ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনার দুই দিন পর নতুন করে এ ঘটনা ঘটল। রোববার পাকিস্তান অভিযোগ করে, ভারতের সেনাসদস্যরা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে তাদের একটি নিরাপত্তা চৌকি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া একজন সেনাসদস্যকে হত্যা ও আরেকজনকে আহত করেছেন।
অবশ্য ভারত এই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানের সেনাসদস্যরাই উসকানিমূলকভাবে প্রথমে গুলি ছোড়েন। কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ব্রিজেশ পান্ডে বলেন, ওই দিন তাঁদের সেনাবাহিনী সীমানা অতিক্রম করেনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় কাশ্মীরের উরি জেলার একটি গ্রামে মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করে। এ হামলায় কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরের মালিকানা ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই দাবি করলেও দুটি দেশই এ অঞ্চল শাসন করছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর কাশ্মীর নিয়ে এ পর্যন্ত দুটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে চির বৈরী এই দুই দেশ। পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি ২০০৩ সাল থেকে অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলছে। কিন্তু এর পরও মাঝেমধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ জন্য উভয় দেশ পরস্পরকে দায়ী করছে।
গত মাসে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তে ভারতীয় সেনাসদস্যদের গুলিতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন। এঁরা সবাই বেসামরিক লোক। ভারতের সেনা কর্মকর্তারা পাল্টা দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ৭৫টি ঘটনায় তাঁদের আট সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরুর পর কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার লোক প্রাণ হারালেও সাম্প্রতিক সময়ে সেই তৎপরতা অনেকাংশে কমে এসেছে। বিবিসি, রয়টার্স ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments