বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে কেনাকাটার ধুম-কলকাতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ হচ্ছে আজ by সুব্রত আচার্য্য
আজ রবিবার শেষ হচ্ছে কলকাতার আন্তর্জাতিক শিল্প-বাণিজ্য মেলা। শেষ মুহূর্তে দারুণ জমে উঠছে মেলার বাজার। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের দর্শনার্থীদের ভিড়ের পাশাপাশি বিক্রিও হচ্ছে আশানুরূপ।
গত ছয় দিনের কম বিক্রির হতাশা ঝেড়ে শেষ দুই দিনের 'বিক্রিবাট্টায়' অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশি বিক্রেতারা। গতকাল শনিবার বছরের প্রথম দিন হওয়ায় হাজারে ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলায় গিয়েছিলেন। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রচুর মানুষ শেষ দিনের মেলায় অংশ নেবেন বলে আশা করছেন শিল্প-বাণিজ্য মেলার প্রধান সমীর কুমার ঘোষ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অন্যবারের তুলনায় এবার অনেক ক্রেতাই মেলায় এসেছেন।' তবে তিনি কোনো পরিসংখ্যান দিতে পারেননি।
মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের ভেতর ও বাইরে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। লম্বা লাইনে মানুষ প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করছে। মেলা জমে উঠেছে_এমন দাবিই অধিকাংশ বিক্রেতার। এমনিতে কলকাতায় শীত ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘুরাফেরা করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি নকশিকাঁথা মিলছে প্যাভিলিয়নে। নূর নকশির নানা ডিজাইনের কাঁথা পেয়ে খুব খুশি শ্যামবাজারের বাসিন্দা মৌমিত ঘোষ। কালের কণ্ঠকে তিনি জানালেন, 'বাংলাদেশি নকশিকাঁথা মানেই অন্য রকম এক অনুভব।' স্টলের বিক্রেতারা জানালেন, 'এক হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকায় কাঁথা বিক্রি হচ্ছে।'
ঢাকাই মুসলিন ও টাঙ্গাইলের কোটা শাড়ি নিয়ে এসেছে ঢাকা মুসলিম হাউস। মেলায় শুরু থেকে বিক্রি কম হলেও শেষ দিকে তাঁর স্টলেও বিক্রি বেড়েছে অনেক। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মুসলিন শাড়ি কলকাতার ক্রেতাদের কাছে দারুণ প্রিয়।
দক্ষিণ ভারতের তৈরি সিল্কের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতি। বাংলাদেশে প্যাভিলিয়য়ে এদের স্টলে পাওয়া গেলে অবাঙালী বেশ কয়েকন মহিলাকে। মেরী শেঠি নামের এক ক্রেতার দাবি, সিল্কের জন্য দক্ষিণ ভারতের নাম বিখ্যাত হলেও বাংলাদেশের সিল্কও খুব উন্নতমানের। তবে প্রচার কম হওয়ায় অনেকেই এমন খবর জানেন না।
'প্রত্যায় ক্রফট'র পাঞ্চাবি-ফতুয়া এবং কটি দেখে মুগ্ধ কলকাতার ক্রেতারা। সংস্থার বিক্রিয় প্রতিনিধি মুরশিদা হুদা বললেন, ফ্যাশনেবল পাঞ্চাবি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।
কলকাতার বাজার থেকে প্লাস্টিক তুলতে পারেনি এখনও রাজ্য সরকার। তবে সচেতনতা বেড়েছে অনেক। তাই পাস্টিলের বদলে অনেকেই এখন পাটের ব্যাগ ব্যবহার করছে। এমটা বোঝা গেছে বাংলাদেশে প্যাভিলিয়নের পাট ও কাগুজে ব্যাগ বিক্রি দেখে। 'আসমা হ্যান্ডিক্রেফ' মূলত এসব পণ্য নিয়েই কলকাতার শিল্প-বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছে। সংস্থার মালিক ও বিক্রেতা শাহিদা বেগম চৌধুরী বললেন, বুননে বাংলাদেশি পাটের ব্যাগ কলকাতার ব্যাগের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার দাবি রাখে। মেলায় প্রচুর মানুষ ব্যাগ কিনেছেন বলেও তাঁর মন্তব্য।
পাঁচহাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের আদলে তৈরি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে এবার একাধিক জামদানী শাড়ির স্টল বসেছে। কলকাতায় যত গুলো আন্তর্জাতিক মেলা হয়, এর সিংহভাগ মেলাতেই জামদানি শাড়ির স্টল থাকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতার ঢাকাই জামদানীর ক্রেতা বেড়েছে। এসব স্টলের বিক্রিয় প্রতিনিধিরা জানান, ৫০০ টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকার দামের শাড়ি বিক্রি হয়েছে। শেষ দিনেও আরো বিক্রি আশা করছেন শাড়ি বিক্রেতারা। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ছাড়াও চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক এবং ভূটানের প্যাভিলিয়ন রয়েছে। তবে সব গুলো প্যাভিলিয়নের চেয়ে ভিড় বেশী বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নে। এর কারণ জানাতে চাওয়া হলে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কর্মাসের প্রাক্তন সভাপতি এস কে রায় বলেন, বরাবরই বাংলাদেশি পণ্যের উপর কলকাতার ক্রেতাদের একটা বাড়তি আগ্রহ দেখা যায়। এ কারণে বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নে মানুষ ভিড় জমান।
কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) ড. মহম্মদ ওমর ফারুক মনে করেন, 'বাংলাদেশি পণ্য অবাধ প্রবেশের অধিকার পেলে এখাকার ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ে প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশি পণ্যের উপর মানুষের আগ্রহ দেখে সেটা বোঝা যায়।'
কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রমহান জানিয়েছেন, বাংলাদেশি পণ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এধরণের মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। শুধু কলকাতাতেই নয় শিলিগুড়িতে বিভিন্ন মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে।
গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে কলকাতার অদূরে মিলনমেলায় গ্রাউন্ডে সপ্তাহব্যাপী ২৪ তম শিল্প-বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। পূর্ব-ভারতের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন বেঙ্গল ন্যাশনার চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে মেলার আয়োজন করে।
মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের ভেতর ও বাইরে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। লম্বা লাইনে মানুষ প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করছে। মেলা জমে উঠেছে_এমন দাবিই অধিকাংশ বিক্রেতার। এমনিতে কলকাতায় শীত ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘুরাফেরা করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি নকশিকাঁথা মিলছে প্যাভিলিয়নে। নূর নকশির নানা ডিজাইনের কাঁথা পেয়ে খুব খুশি শ্যামবাজারের বাসিন্দা মৌমিত ঘোষ। কালের কণ্ঠকে তিনি জানালেন, 'বাংলাদেশি নকশিকাঁথা মানেই অন্য রকম এক অনুভব।' স্টলের বিক্রেতারা জানালেন, 'এক হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকায় কাঁথা বিক্রি হচ্ছে।'
ঢাকাই মুসলিন ও টাঙ্গাইলের কোটা শাড়ি নিয়ে এসেছে ঢাকা মুসলিম হাউস। মেলায় শুরু থেকে বিক্রি কম হলেও শেষ দিকে তাঁর স্টলেও বিক্রি বেড়েছে অনেক। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মুসলিন শাড়ি কলকাতার ক্রেতাদের কাছে দারুণ প্রিয়।
দক্ষিণ ভারতের তৈরি সিল্কের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতি। বাংলাদেশে প্যাভিলিয়য়ে এদের স্টলে পাওয়া গেলে অবাঙালী বেশ কয়েকন মহিলাকে। মেরী শেঠি নামের এক ক্রেতার দাবি, সিল্কের জন্য দক্ষিণ ভারতের নাম বিখ্যাত হলেও বাংলাদেশের সিল্কও খুব উন্নতমানের। তবে প্রচার কম হওয়ায় অনেকেই এমন খবর জানেন না।
'প্রত্যায় ক্রফট'র পাঞ্চাবি-ফতুয়া এবং কটি দেখে মুগ্ধ কলকাতার ক্রেতারা। সংস্থার বিক্রিয় প্রতিনিধি মুরশিদা হুদা বললেন, ফ্যাশনেবল পাঞ্চাবি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।
কলকাতার বাজার থেকে প্লাস্টিক তুলতে পারেনি এখনও রাজ্য সরকার। তবে সচেতনতা বেড়েছে অনেক। তাই পাস্টিলের বদলে অনেকেই এখন পাটের ব্যাগ ব্যবহার করছে। এমটা বোঝা গেছে বাংলাদেশে প্যাভিলিয়নের পাট ও কাগুজে ব্যাগ বিক্রি দেখে। 'আসমা হ্যান্ডিক্রেফ' মূলত এসব পণ্য নিয়েই কলকাতার শিল্প-বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছে। সংস্থার মালিক ও বিক্রেতা শাহিদা বেগম চৌধুরী বললেন, বুননে বাংলাদেশি পাটের ব্যাগ কলকাতার ব্যাগের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার দাবি রাখে। মেলায় প্রচুর মানুষ ব্যাগ কিনেছেন বলেও তাঁর মন্তব্য।
পাঁচহাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের আদলে তৈরি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে এবার একাধিক জামদানী শাড়ির স্টল বসেছে। কলকাতায় যত গুলো আন্তর্জাতিক মেলা হয়, এর সিংহভাগ মেলাতেই জামদানি শাড়ির স্টল থাকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতার ঢাকাই জামদানীর ক্রেতা বেড়েছে। এসব স্টলের বিক্রিয় প্রতিনিধিরা জানান, ৫০০ টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকার দামের শাড়ি বিক্রি হয়েছে। শেষ দিনেও আরো বিক্রি আশা করছেন শাড়ি বিক্রেতারা। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ছাড়াও চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক এবং ভূটানের প্যাভিলিয়ন রয়েছে। তবে সব গুলো প্যাভিলিয়নের চেয়ে ভিড় বেশী বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নে। এর কারণ জানাতে চাওয়া হলে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কর্মাসের প্রাক্তন সভাপতি এস কে রায় বলেন, বরাবরই বাংলাদেশি পণ্যের উপর কলকাতার ক্রেতাদের একটা বাড়তি আগ্রহ দেখা যায়। এ কারণে বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নে মানুষ ভিড় জমান।
কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) ড. মহম্মদ ওমর ফারুক মনে করেন, 'বাংলাদেশি পণ্য অবাধ প্রবেশের অধিকার পেলে এখাকার ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ে প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশি পণ্যের উপর মানুষের আগ্রহ দেখে সেটা বোঝা যায়।'
কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রমহান জানিয়েছেন, বাংলাদেশি পণ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এধরণের মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। শুধু কলকাতাতেই নয় শিলিগুড়িতে বিভিন্ন মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে।
গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে কলকাতার অদূরে মিলনমেলায় গ্রাউন্ডে সপ্তাহব্যাপী ২৪ তম শিল্প-বাণিজ্য মেলা শুরু হয়। পূর্ব-ভারতের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন বেঙ্গল ন্যাশনার চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে মেলার আয়োজন করে।
No comments