আমাদের দেশ, আমাদের অহংকার by শুভঙ্কর গুপ্ত
গত ২৮ ডিসেম্বর ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপের আরামদায়ক উষ্ণতা ছেড়ে উঠে পড়তে হলো লিটনকে। কারণ, যশোর বন্ধুসভার সম্মেলনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ছিল ওই দিন এবং লিটনের ওপর ছিল নিবন্ধনের দায়িত্ব।
খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল থেকে অতিথি বন্ধুরা যশোর পৌঁছে যাবেন আর নিবন্ধনের বুথ খুলবে না, তা কি হয়?
সকাল সাড়ে আটটায় সাদিয়া যখন শাড়ি পরে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন রিকশার খোঁজে, তখন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা। হঠাৎ দেখেন হারিকেন নিয়ে কেউ আসছেন। টিমটিমে আলোটা অতি দ্রুত এগিয়ে এল; কাছে এলে বোঝা গেল আলোটা মোটরসাইকেলের হেডলাইটের। এমন তীব্র শীতে আর ঘোর কুয়াশার মধ্যেও সাদিয়ার মতো শত বন্ধু এসে হাজির যশোরের ‘টাউন হল’ মাঠে। উদ্দেশ্য, যশোর বন্ধুসভার ষষ্ঠ সম্মেলনে যোগ দেওয়া।
বেলা ১১টায় ‘রওশন আলী স্মৃতিমঞ্চে’ পৌঁছে গেলেন উদ্বোধক আবদুস সাত্তার, ভিসি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। যশোর বন্ধুসভার সভাপতি শুভঙ্কর গুপ্তের সভাপতিত্বে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ শ্রী তারাপদ দাস ও মনিরুল ইসলাম, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়। সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা হাতেখড়ির মোড়ক উন্মোচন করেন তারাপদ দাস। বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস, উদীচীর সভাপতি সোমেশ মুখার্জি, বিবর্তনের সভাপতি সানোয়ার আলম খান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করে যশোর শহরের প্রধান সড়কগুলো। বন্ধুরা উৎসবের স্মারক গেঞ্জি পরে ঢাকঢোল নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। সম্মেলনস্থলে ফিরে এসে বন্ধুরা ‘সাংগঠনিক অধিবেশনে’ যোগ দেন। ততক্ষণে সূর্য মাথার ওপর; পাকস্থলীতে যেন কিছু একটার তীব্র অভাব অনুভূত হচ্ছে। দুপুরের খাবারের তালিকা অনুযায়ী সবজি-খিচুড়ি, খাসির মাংস আর কোমল পানীয় পৌঁছে যায় বন্ধুদের হাতে হাতে। বিকেলের অধিবেশনের শুরুতেই বেলা তিনটায় ছিল ‘বন্ধুকথা’ পর্ব। নড়াইল, কেশবপুর, খুলনার বন্ধুরা প্রত্যেকে নিজেদের পরিচয় দেন মঞ্চে এসে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথমেই যশোর বন্ধুসভার বন্ধুরা অনামার্জিয়া এ্যানির নির্দেশনায় পরিবেশন করেন ‘আমাদের দেশ, আমাদের অহংকার’। কবিতা, অভিনয়, নৃত্য পরিবেশন করেন নড়াইল ও কেশবপুরের বন্ধুরা। বন্ধুসভার শিল্পীরা ছাড়াও যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের বন্ধুরা সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন। উদীচী, বিবর্তন, পুনশ্চ, চাঁদেরহাটের বন্ধুদের পরিবেশনায় দর্শকেরা মেতে ওঠেন। পড়ন্ত বিকেলে উম্মে মাকসুদাকে সভাপতি ও নাসির উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ জনের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ (এক বছর মেয়াদি) ঘোষণা করা হয়। প্রাণদীপ্ত সম্মেলনে বন্ধুদের মিলনমেলা যেন ভাঙতেই চায় না। আমরাও জানি অক্ষয় হয়ে বন্ধুদের স্মৃতিপটে থাকবে এই সম্মেলন।
সকাল সাড়ে আটটায় সাদিয়া যখন শাড়ি পরে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন রিকশার খোঁজে, তখন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা। হঠাৎ দেখেন হারিকেন নিয়ে কেউ আসছেন। টিমটিমে আলোটা অতি দ্রুত এগিয়ে এল; কাছে এলে বোঝা গেল আলোটা মোটরসাইকেলের হেডলাইটের। এমন তীব্র শীতে আর ঘোর কুয়াশার মধ্যেও সাদিয়ার মতো শত বন্ধু এসে হাজির যশোরের ‘টাউন হল’ মাঠে। উদ্দেশ্য, যশোর বন্ধুসভার ষষ্ঠ সম্মেলনে যোগ দেওয়া।
বেলা ১১টায় ‘রওশন আলী স্মৃতিমঞ্চে’ পৌঁছে গেলেন উদ্বোধক আবদুস সাত্তার, ভিসি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। যশোর বন্ধুসভার সভাপতি শুভঙ্কর গুপ্তের সভাপতিত্বে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ শ্রী তারাপদ দাস ও মনিরুল ইসলাম, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়। সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা হাতেখড়ির মোড়ক উন্মোচন করেন তারাপদ দাস। বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস, উদীচীর সভাপতি সোমেশ মুখার্জি, বিবর্তনের সভাপতি সানোয়ার আলম খান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করে যশোর শহরের প্রধান সড়কগুলো। বন্ধুরা উৎসবের স্মারক গেঞ্জি পরে ঢাকঢোল নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। সম্মেলনস্থলে ফিরে এসে বন্ধুরা ‘সাংগঠনিক অধিবেশনে’ যোগ দেন। ততক্ষণে সূর্য মাথার ওপর; পাকস্থলীতে যেন কিছু একটার তীব্র অভাব অনুভূত হচ্ছে। দুপুরের খাবারের তালিকা অনুযায়ী সবজি-খিচুড়ি, খাসির মাংস আর কোমল পানীয় পৌঁছে যায় বন্ধুদের হাতে হাতে। বিকেলের অধিবেশনের শুরুতেই বেলা তিনটায় ছিল ‘বন্ধুকথা’ পর্ব। নড়াইল, কেশবপুর, খুলনার বন্ধুরা প্রত্যেকে নিজেদের পরিচয় দেন মঞ্চে এসে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথমেই যশোর বন্ধুসভার বন্ধুরা অনামার্জিয়া এ্যানির নির্দেশনায় পরিবেশন করেন ‘আমাদের দেশ, আমাদের অহংকার’। কবিতা, অভিনয়, নৃত্য পরিবেশন করেন নড়াইল ও কেশবপুরের বন্ধুরা। বন্ধুসভার শিল্পীরা ছাড়াও যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের বন্ধুরা সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন। উদীচী, বিবর্তন, পুনশ্চ, চাঁদেরহাটের বন্ধুদের পরিবেশনায় দর্শকেরা মেতে ওঠেন। পড়ন্ত বিকেলে উম্মে মাকসুদাকে সভাপতি ও নাসির উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ জনের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ (এক বছর মেয়াদি) ঘোষণা করা হয়। প্রাণদীপ্ত সম্মেলনে বন্ধুদের মিলনমেলা যেন ভাঙতেই চায় না। আমরাও জানি অক্ষয় হয়ে বন্ধুদের স্মৃতিপটে থাকবে এই সম্মেলন।
No comments