শিক্ষকদের আন্দোলন-সম্মানজনক সমাধান কাম্য
দেশের শিক্ষা বিস্তারে এবং সর্বস্তরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে সরকার সচেষ্ট। নানা রকম প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দও হয়েছে আশাব্যঞ্জক। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষ বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে সরকারের প্রতিশ্রুতি ও আচরণে।
মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা মিলে প্রায় সাত হাজার প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। ২০১২ সালেও তাঁদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার একাধিকবার আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে, সর্বশেষ ১১ ডিসেম্বর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই শিক্ষকদের দাবি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু সে আলোচনাও কোনো এক অজানা কারণে স্থগিত করা হয়েছে। ফলে বিষয়টিকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা বলেই মনে করছেন। তাই আবারও তাঁরা 'নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট' ব্যানারে জোর আন্দোলনে নেমেছেন। সোমবার প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এসব নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের অবদান রেখে চলেছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নন-এমপিওভুক্ত স্কুল। এ ধরনের কোনো স্কুলের দু-চার মাইলের মধ্যে কোনো সরকারি বা এমপিওভুক্ত স্কুল নেই। অথচ নন-এমপিওভুক্ত এ স্কুলগুলো সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই অবদান রেখে চলেছে। তাই অবহেলা করার সুযোগ নেই। তার চেয়ে বড় কথা জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষকরা একটি সভ্য দেশে অবহেলিত থাকতে পারেন না। আমরা মনে করি, এ স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের দায়িত্বশীল মহল আলোচনা করে তাঁদের জন্য একটি সন্তোষজনক সমাধানের ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা খাতে বাজেট থাকা সত্ত্বেও দেশের বিশাল শিক্ষক সম্প্রদায় যথোপযুক্ত বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত বলেই আমরা মনে করি। বরং শিক্ষকদের বিশেষ স্কেল প্রদান করা গেলে আরো ভালো হতো। কিন্তু সরকারের সামর্থ্যের প্রশ্ন যখন রয়েছে, তখন শিক্ষকদের জীবনযাপনের জন্য নিরাপদ এমন বেতন-ভাতা আশা করা অন্যায্য নয়। এসব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষা বিস্তারে আরো গতি আসবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সরকারের প্রতি জোর আবেদন রাখব, দ্রুত এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তিসহ দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসে একটি সমাধানে পৌঁছে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শিক্ষাদানে মনোনিবেশের সুযোগ করে দেওয়া হোক। দেশের জনগণ শিক্ষকদের এ দীর্ঘদিনের আন্দোলনের অবসান দেখতে চায়।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের অবদান রেখে চলেছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নন-এমপিওভুক্ত স্কুল। এ ধরনের কোনো স্কুলের দু-চার মাইলের মধ্যে কোনো সরকারি বা এমপিওভুক্ত স্কুল নেই। অথচ নন-এমপিওভুক্ত এ স্কুলগুলো সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই অবদান রেখে চলেছে। তাই অবহেলা করার সুযোগ নেই। তার চেয়ে বড় কথা জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষকরা একটি সভ্য দেশে অবহেলিত থাকতে পারেন না। আমরা মনে করি, এ স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের দায়িত্বশীল মহল আলোচনা করে তাঁদের জন্য একটি সন্তোষজনক সমাধানের ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা খাতে বাজেট থাকা সত্ত্বেও দেশের বিশাল শিক্ষক সম্প্রদায় যথোপযুক্ত বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত বলেই আমরা মনে করি। বরং শিক্ষকদের বিশেষ স্কেল প্রদান করা গেলে আরো ভালো হতো। কিন্তু সরকারের সামর্থ্যের প্রশ্ন যখন রয়েছে, তখন শিক্ষকদের জীবনযাপনের জন্য নিরাপদ এমন বেতন-ভাতা আশা করা অন্যায্য নয়। এসব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষা বিস্তারে আরো গতি আসবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সরকারের প্রতি জোর আবেদন রাখব, দ্রুত এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তিসহ দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসে একটি সমাধানে পৌঁছে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শিক্ষাদানে মনোনিবেশের সুযোগ করে দেওয়া হোক। দেশের জনগণ শিক্ষকদের এ দীর্ঘদিনের আন্দোলনের অবসান দেখতে চায়।
No comments