৭০ পরিবারকে ভূমিহীন করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন!
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২৯৭টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ৭০টি পরিবার ভূমিহীন হতে যাচ্ছে। জমির দাম কম ধরায় এসব মালিক অধিগ্রহণের দেড় বছরেও টাকা নেননি, জমির দখলও ছাড়েননি।
কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২৯৭টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ২০১১ সালের জুনে খনির পাশের হামিদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশবাড়ী মৌজার ধুলাউদালে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এই জমির মালিক দক্ষিণ পলাশবাড়ী, পাটিকাঘাট ও খলিলপুর সরদারপাড়া গ্রামের ১০৪ জন কৃষক। তাঁদের মধ্যে ৭০ জনের মালিকানাধীন সবটুকু জমিই অধিগ্রহণ এলাকায় পড়েছে। এ কারণে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ওই ৭০টি পরিবার ভূমিহীন হয়ে পড়বে।
অধিগ্রহণ করা জমির মালিক, দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, জাকির হোসেন, বাসেরা খাতুন, আজিজুর রহমান, পাটিকাঘাটের আবদুল ওহাব গাছুয়া, বাহাদুর গাছুয়া, আবদুর রাজ্জাক, খলিলপুর সরদারপাড়ার সাদ্দাক হোসেন জানান, তাঁদের সব জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তাঁরা বলেন, দক্ষিণ পলাশবাড়ী মৌজায় প্রতি শতাংশ কৃষিজমির দাম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু সরকার তাঁদের জমির দাম ধরেছে ছয় হাজার ৯০০ টাকা। অথচ এখান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় প্রতি শতাংশ কৃষিজমি ২০ হাজার টাকা ও বাস্তুভিটা ২৫ হাজার টাকা মূল্যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, কয়লাখনি এলাকার দরেই তাঁদের জমির দাম দেওয়া হবে। অথচ এখন বলা হচ্ছে অন্য কথা। এ জন্য তাঁরা এখনো জমির দাম নেননি, দখলও ছাড়েননি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন অধিগ্রহণকৃত জমি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি জমির মালিকদের বলেন, ‘অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য বৃদ্ধির জন্য আপনাদের দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানান, দক্ষিণ পলাশবাড়ী মৌজার অধিগ্রহণকৃত এই জমির সরকারি দাম অনেক কম ধরা হয়েছে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হামিদুল হক জানান, ধুলাউদালে ১০৪ জন নয়, ৭০ জনের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ জমির দাম বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারের। বেশি দামের আশায় দুজন ছাড়া কেউ জমির দাম গ্রহণ করেননি। তিনি স্বীকার করেন, ভূমি অধিগ্রহণের কারণে নতুন করে কিছু লোক ভূমিহীন হতে পারে।
অধিগ্রহণ করা জমির মালিক, দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, জাকির হোসেন, বাসেরা খাতুন, আজিজুর রহমান, পাটিকাঘাটের আবদুল ওহাব গাছুয়া, বাহাদুর গাছুয়া, আবদুর রাজ্জাক, খলিলপুর সরদারপাড়ার সাদ্দাক হোসেন জানান, তাঁদের সব জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তাঁরা বলেন, দক্ষিণ পলাশবাড়ী মৌজায় প্রতি শতাংশ কৃষিজমির দাম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু সরকার তাঁদের জমির দাম ধরেছে ছয় হাজার ৯০০ টাকা। অথচ এখান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় প্রতি শতাংশ কৃষিজমি ২০ হাজার টাকা ও বাস্তুভিটা ২৫ হাজার টাকা মূল্যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, কয়লাখনি এলাকার দরেই তাঁদের জমির দাম দেওয়া হবে। অথচ এখন বলা হচ্ছে অন্য কথা। এ জন্য তাঁরা এখনো জমির দাম নেননি, দখলও ছাড়েননি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন অধিগ্রহণকৃত জমি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি জমির মালিকদের বলেন, ‘অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য বৃদ্ধির জন্য আপনাদের দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানান, দক্ষিণ পলাশবাড়ী মৌজার অধিগ্রহণকৃত এই জমির সরকারি দাম অনেক কম ধরা হয়েছে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হামিদুল হক জানান, ধুলাউদালে ১০৪ জন নয়, ৭০ জনের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ জমির দাম বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারের। বেশি দামের আশায় দুজন ছাড়া কেউ জমির দাম গ্রহণ করেননি। তিনি স্বীকার করেন, ভূমি অধিগ্রহণের কারণে নতুন করে কিছু লোক ভূমিহীন হতে পারে।
No comments