রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি-নতুন বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের চার পরামর্শ
কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে নতুন বছরে চার ধরনের কৌশল নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে_অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রবৃদ্ধিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া, নতুন বাজারে রপ্তানির প্রসার,
নতুন পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ ও শ্রমবাজারের প্রসার ঘটানো। সদ্য সমাপ্ত বছরে দেশের আর্থিক খাতসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি। আর তা করতে হলে সবার জন্য অগ্রগতির সুযোগ উন্মুক্ত হবে_এমন উন্নয়ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা প্রয়োজন। এতে আরো বলা হয়, দেশের রপ্তানির প্রসার বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন বাজারের অনুসন্ধান জরুরি। সনাতনী পশ্চিমা বাজারগুলোর পাশাপাশি দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ যেমন ভারত, চীন ও জাপানসহ পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় রপ্তানি বাজার প্রসারের জন্য বেশ সম্ভাবনাময়। এ ব্যাপারে রপ্তানিকারকদের জন্য সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এসব দেশ থেকে প্রাপ্ত সুবিধার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া রপ্তানি খাতে বস্ত্র ও পোশাকের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুকূল শুল্ক সুবিধা পেতে পারে_এমন নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের শ্রমবাজারের প্রসার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের জনশক্তি রপ্তানি কমেছে। মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ কম করায় দেশের জনশক্তি রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। ফলে জনশক্তি রপ্তানি বাবদ বৈদেশিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে চাহিদায় ভাটা পড়লেও পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতিতে দক্ষ ও অদক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির ঘাটতি পূরণে এসব অঞ্চলে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্বমন্দার প্রভাব কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্রমেই গতি সঞ্চার হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ছিল না। জুলাই-অক্টোবর ২০১০-এ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বড় কোনো বিপর্যয় না ঘটলে চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি। আর তা করতে হলে সবার জন্য অগ্রগতির সুযোগ উন্মুক্ত হবে_এমন উন্নয়ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা প্রয়োজন। এতে আরো বলা হয়, দেশের রপ্তানির প্রসার বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন বাজারের অনুসন্ধান জরুরি। সনাতনী পশ্চিমা বাজারগুলোর পাশাপাশি দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ যেমন ভারত, চীন ও জাপানসহ পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় রপ্তানি বাজার প্রসারের জন্য বেশ সম্ভাবনাময়। এ ব্যাপারে রপ্তানিকারকদের জন্য সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এসব দেশ থেকে প্রাপ্ত সুবিধার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া রপ্তানি খাতে বস্ত্র ও পোশাকের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুকূল শুল্ক সুবিধা পেতে পারে_এমন নতুন নতুন পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের শ্রমবাজারের প্রসার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের জনশক্তি রপ্তানি কমেছে। মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ কম করায় দেশের জনশক্তি রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। ফলে জনশক্তি রপ্তানি বাবদ বৈদেশিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে চাহিদায় ভাটা পড়লেও পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতিতে দক্ষ ও অদক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির ঘাটতি পূরণে এসব অঞ্চলে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্বমন্দার প্রভাব কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্রমেই গতি সঞ্চার হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ছিল না। জুলাই-অক্টোবর ২০১০-এ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বড় কোনো বিপর্যয় না ঘটলে চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
No comments