দেশ বিক্রি হয়নি, নজরম্নলও ভাগ হননি by শেখর ইমতিয়াজ
রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পচন ধরেছে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট থেকে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে এদেশের শ্রমজীবী অথচ শানত্মিপ্রিয় ও গণতন্ত্রের প্রতি সশ্রদ্ধ সাধারণ মানুষকে। সংবিধানে বর্ণিত একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার পেতেই কেবল তাঁরা রাষ্ট্র এবং সরকারের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন; অধিক কিছুতে তাঁরা যুক্ত হতে চান না, নাক গলাতে তো নয়ই।
তবে ইদানীং বৈদেশিক সম্পর্ককে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী হিতকর অবস্থানে দেখছেন_ অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং শিৰাৰেত্রে সুদূরপ্রসারী মান নির্ণয় ও অর্জনের জন্য। প্রতিবেশী এবং দীর্ঘকালের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাষ্ট্রীয়ভাবে ছিন্ন হলে বাঙালী জাতি তা মানবে না। কারণ বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের আত্মীয়স্বজন বসবাস করছেন সেখানে। আমাদের যেতে হয় সেখানে, তাদেরও আসতে হয় এখানে। কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়, একানত্মই পারিবারিক মেলবন্ধনের জন্য। আবার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে ভারতকে শত্রম্ন ভাবলে খুব বেশি লাভবান কি হবে বাংলাদেশ? বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ই ভারতে অবস্থিত অনেক তীর্থস্থানে ভ্রমণ করেন। ভারতের হিন্দু-মুসলমানও বাংলাদেশের দিনাজপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বেড়াতে আসেন একই কারণে। সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিলনমেলা এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি বিকাশের অন্যতম স্থান ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে_ প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের সাথে ভারত থেকেও অগণিত মুসলমান এখানে সমবেত হন, বিশ্ব এজতেমায়। এ ছাড়া দুদেশের অসংখ্য মনীষীর গ্রন্থ দু'দেশের পাঠকদের চেতনাকে ঋদ্ধ করছে।শুরম্ন করেছিলাম রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে। পচন ধরেছে বলেছি। বলার প্রেৰাপট ১৭ জানুয়ারিতে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্য। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিতাপের বিষয়, যুদ্ধার্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র ক্রয়-বিক্রয়ের বস্তু নয়_ এটি খালেদা জিয়া জানেন না; অথচ তিনি দুই মেয়াদকাল এই বাংলাদেশেরই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অবশ্য দেশ বিক্রির কথা এবং তার সঙ্গে ভারতকে কল্পনা করে রূপকথার মতো আজগুবি বাক্য অসংখ্যবার ব্যবহার করেছেন। যখন ব্যবহার করেন তখন উনি একেবারেই ভুলে যান তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরউত্তম। রাষ্ট্র কখনও গুলশানের বাড়ি, দিনাজপুরের কিংবা ফেনীর কয়েক একর জমি নয়, তা ছাড়া কোন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিমালিকানার সম্পত্তিও নয়_ সুতরাং দেশ বিক্রি করার কথা বলা নিতানত্মই অর্বাচীনতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর যদি ব্যর্থ হয়ই তাহলে তার সমালোচনা করার অধিকার বিএনপির চেয়ারপার্সনের আছে। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে কেউই সমালোচনা করতে পারেন। তবে সমালোচকের শিৰা, সংস্কৃতি, দৃষ্টি, উদারতা ও রাজনৈতিক বোধ পরিশীলিত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যনত্ম যেসব মনত্মব্য বিএনপির চেয়ারপার্সন ও মহাসচিবের কাছ থেকে শোনা গেল তাতে সাধারণ মানুষও হতভম্ব হয়েছে। সমালোচনা পরিশীলিত না হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পুনর্গঠন তো করাই যাবে না, বরং পচন রোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। দায় ভোগ করতে হবে জনগণকে।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিল। সে সময় এক কোটিরও বেশি শরণাথর্ী ভারতে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিৰণ নেয় ভারতে। অতঃপর বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ানত্ম বিজয় এনে দেয়। প্রত্যাশা ছিল দুটি দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শানত্মির পথে এগিয়ে যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে প্রত্যাশার মধ্যে চিড় ধরানো হয়। শুধু তাই নয়, অবিশ্বাস আর বিশ্বাস ভঙ্গের কূটকৌশল ছড়ানো হয় পরিকল্পিতভাবে। ৰতিগ্রসত্ম হয় বাংলাদেশই_ রাজনীতিতে ভারত বিদ্বেষী অপপ্রচারণা জন্ম দেয় কুৎসিত রাজনীতি। সাময়িকভাবে বাংলাদেশের রাজপথ গরম হলেও তাতে হিমালয়ের বরফ গলেনি। ভারতের কাছে দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়নি, আদায় করতে কার্যকর পদৰেপ নিতে পারেনি এসব বিদ্বেষপ্রবণ রাজনীতির সরকার। এবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত গেলেন। সেখানে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনটি চুক্তি ও দুটি স্মারক স্বাৰরিত হয়। এ প্রসঙ্গে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বিসত্মারিতভাবে প্রকাশ করেন।
ভারতের সঙ্গে তিনটি নিরাপত্তা চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারকে স্বাৰর হয়েছে। সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দমনে দুদেশ একে অপরকে সাহায্য করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাৰরিত ঐতিহাসিক ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে সকল সীমানত্ম সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে উভয়পৰ ঐকমত্যে পেঁৗছেছে। তিনবিঘা করিডরের মাধ্যমে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় বিদু্যত সরবরাহের কাজ শুরম্ন হয়েছে। সীমানত্ম চোরাচালান রোধে সীমানত্ম রৰীবাহিনীর দুটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে। এক বিলিয়ন ডলার ঋণও দেবে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে অবকাঠামো নির্মাণ, রেল ইঞ্জিন ও কোচ ক্রয়, সৈয়দপুর রেল ওয়ার্কশপের উন্নয়ন, বাস ক্রয় ও নদী খনন ইত্যাদি।
ভুটান, নেপাল ও ভারতকে চট্টগ্রাম মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক রফতানি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর। উলেস্নখ্য, মংলার ১০ ভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ৪০ ভাগ ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই বন্দর দুটির উন্নয়ন করে পুরোপুরি ব্যবহারের উপযুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশের আয় হবে প্রচুর পরিমাণে। রামগড়-সাবরম্নম এবং দেমাগিরি-তেগামুখ স্থলবন্দর চালু করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভুটানকে ভারত সরকার ট্রানজিট দেবে যাতে নেপাল ও ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। ভারতের সঙ্গে তিসত্মাসহ অভিন্ন ৫২টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত তুমুল আন্দোলনের কথা বলে আসছে তা নিয়ে ভারত আশ্বাস দিয়েছে, বাংলাদেশের ৰতি হয় এমন কিছু ভারত করবে না। বাংলাদেশকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদু্যত প্রদান করবে ভারত। এসব প্রাপ্তি বা চুক্তির কোথায় বাংলাদেশের নতজানু হওয়ার কথা আছে? দেশই-বা বিক্রি হলো কেমন করে?
অথচ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ইশতেহারকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নাকি বাংলাদেশের সবকিছু ভারতকে উজাড় করে দিয়ে এসেছেন। খালেদা জিয়ার মতে, আড়াই শ' মেগাওয়াট বিদু্যত নিয়ে মাতামাতি হাস্যকর, পানির হিস্যার বিষয়টি ভারতের করম্নণার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে; টিপাইমুখ নিয়ে অজ্ঞতা অমার্জনীয়; কবি নজরম্নলের প্রতি ঔদাসীন্য জনগণকে হতাশ করেছে; সুতরাং আন্দোলনের বিকল্প নেই।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রীর, সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য যেদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হলো সেদিনই একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে, সেটি হচ্ছে : ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করবে না তারা।
উপরন্তু আরও উলেস্নখ করতে হচ্ছে ২০০৩ সালের মার্চে যখন আপনি প্রধানমন্ত্রী তখন ভারত অভিযোগ করে, বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গীদের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের পৰ থেকে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। একই বছর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত থেকে জঙ্গীরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে এবং প্রশিৰণ নিচ্ছে। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করে লস্কর-ই-তৈয়বাসহ বেশ কিছু জঙ্গী সংগঠন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সরকারকে তাদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে। ২০০৫-এর অক্টোবরে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে পাকিসত্মানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়। এ রিপোর্ট পররাষ্ট্র দফতরে পাঠানো হলেও ঢাকা কোন প্রতিবাদ করেনি। ২০০৬ সালের ২০ মার্চ বাংলাদেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী আপনি, তিন দিনের ভারত সফরে যান। এই সফরে গঙ্গার পানি চুক্তি, পার্বত্য চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি প্রসঙ্গ আপনার বা বাংলাদেশের পৰ থেকে উত্থাপিত হয়নি।
কাউকে প্রশংসা করা মানে কি অন্যজনকে নিন্দা করা? কারও ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করার কথা বলা হলে সেই ব্যক্তিত্বের স্নেহভাজন আরেকজন জন্ম নেননি_ এমন কথা তো বলা হচ্ছে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব শিল্পপথিক। তাঁর জন্মবার্ষিকীর একটি তারকাখচিত রেখায়ন সামনে। তা বিশ্বব্যাপী পালিত হবে। সে মুহূর্তটিকে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে পালন করলে কাজী নজরম্নল ইসলামের আত্মা খুশি হবে। এই নজরম্নল ইসলামকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'বসনত্ম' শীর্ষক নাটক উৎসর্গ করেছিলেন। নজরম্নল তাঁর 'সঞ্চিতা' উৎসর্গ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথকে। দু'জনের মধ্যে সম্পর্কটি ছিল নিবিড়তার_ একজনের অপার শ্রদ্ধা, আরেকজনের অসীম স্নেহ। রবীন্দ্রনাথ ও নজরম্নল আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অপরিমেয় সাহস যুগিয়েছেন যোদ্ধাদের মননে_ কবিতায় ও সঙ্গীতে। দু'জনের সাহিত্যই মানবতার সাহিত্য, প্রেমের সাহিত্য, জগৎ চেনবার সাহিত্য_ মোটকথা আত্মপরিচয়ের উৎস সন্ধানের সাহিত্য। তাঁদের সাথে বিশ্বজনের সাথে বাঙালীর কথা কইবার সাহিত্য। জাতির জনক নজরম্নল ইসলামকে এবং রবীন্দ্রনাথকে আমাদের অনেকের চেয়ে ভালভাবে বুঝতেন, জানতেন। নজরম্নলকে ঢাকায় নিয়ে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর দেশ, তাঁর কন্যা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নজরম্নলকে অশ্রদ্ধা কিংবা উদাসীনতা প্রদর্শন করবেন, এটা সুস্থ মসত্মিষ্কের কেউ বিশ্বাস করবেন। মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী, কাজী নজরম্নল ইসলামকে খ-িত করবেন না, তিনি যে মানুষের কবি।
দেশ বিক্রি হয়নি। হিমালয়ের ঠা-া বাতাস শুধু ভারতেই বইছে না। ভারতের পাখি বাংলাদেশে উড়ে চলে আসে। আসে মেঘও। বাংলাদেশের মসজিদে আজানের ধ্বনি সীমানত্ম পাড়ি দিয়ে ভারতেও পেঁৗছায়। ভারতের মুসলমানরাও ইসলামী বিধান মেনে চলছে।
আন্দোলন করবেন, সে তো ভাল কথা। আন্দোলন না হলে সমাজের শুভ পরিবর্তন আসে না। কিন্তু আপনাকে যাঁরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন পাঁচ বছরের জন্য, তাঁদের দুঃখ-কষ্টের কথা, তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের বঞ্চনার কথা বলবেন যেখানে সেটি সংসদ। আপনাকে ১৬ জানুয়ারিতেও প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন সংসদে গিয়ে কথা বলার জন্য। রাজপথ গরম করার আগে সংসদে উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষের দুঃখ কিংবা ৰোভ প্রকাশ করম্নন। জনগণ আপনাকে অভিনন্দন জানাবে। জনগণ এখন সত্য-মিথ্যা যাচাই করার যোগ্যতা রাখে।
No comments