পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে চেপে বসে একদলীয় বাকশালী শাসন ॥ খালেদা জিয়া
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
২৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তখন জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই এই অমানবিক মধ্যযুগীয় আইন পাস করে। এই একদলীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক, ব্যক্তি, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সব মৌলিক অধিকার হরণ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের অমানিশা ছড়িয়ে দেয়। এমনি এক দুঃসময়ে ’৭৫-এর ৭ নবেম্বর সিপাহী-জনতার সম্মিলিত শ্রোতধারায় জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। স্বেচ্ছাচারিতার লৌহ কপাটের ভেতর থেকে তিনি গণতন্ত্রকে অর্গলমুক্ত করেন। পুনরায় শুরু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা। নিশ্চিত হয় মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার।
খালেদা জিয়া বলেন, বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনই সভ্য রীতিম নীতি অনুসরণ করেনি। সুতরাং নব্য বাকশালী জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ, আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চেপেবসা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে আমাদের রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, বহু চক্রান্তের চোরাগলিপথে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে এখন আবারও সেই অগণতান্ত্রিক শক্তি বাকশালী চেতনায় নতুন করে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। এদের কাছে কখনই গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ থাকেনি। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণের ভোটের অধিকারও হরণ করেছে। একক কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার অলিক স্বপ্নে দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সঙ্কটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করছে না।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তখন জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই এই অমানবিক মধ্যযুগীয় আইন পাস করে। এই একদলীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক, ব্যক্তি, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সব মৌলিক অধিকার হরণ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের অমানিশা ছড়িয়ে দেয়। এমনি এক দুঃসময়ে ’৭৫-এর ৭ নবেম্বর সিপাহী-জনতার সম্মিলিত শ্রোতধারায় জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। স্বেচ্ছাচারিতার লৌহ কপাটের ভেতর থেকে তিনি গণতন্ত্রকে অর্গলমুক্ত করেন। পুনরায় শুরু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা। নিশ্চিত হয় মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার।
খালেদা জিয়া বলেন, বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনই সভ্য রীতিম নীতি অনুসরণ করেনি। সুতরাং নব্য বাকশালী জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ, আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চেপেবসা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে আমাদের রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, বহু চক্রান্তের চোরাগলিপথে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে এখন আবারও সেই অগণতান্ত্রিক শক্তি বাকশালী চেতনায় নতুন করে অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। এদের কাছে কখনই গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ থাকেনি। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণের ভোটের অধিকারও হরণ করেছে। একক কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার অলিক স্বপ্নে দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সঙ্কটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করছে না।
No comments