পৃথিবীর মতো ১৭০০ কোটি গ্রহ আছে আকাশগঙ্গায়
আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথে পৃথিবীর কাছাকাছি আকারের কমপক্ষে এক হাজার ৭০০ কোটি গ্রহ রয়েছে। আকাশগঙ্গার প্রতি ছয়টি নক্ষত্রের অন্তত একটিকে ঘিরে এ ধরনের গ্রহ ঘুরপাক খাচ্ছে। নাসার কেপলার টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণ নিয়ে নতুন এক গবেষণা শেষে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ গবেষণার ফলে মানুষের বসবাসের উপযোগী গ্রহ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২২১তম বৈঠকে গত সোমবার নতুন গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়। মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক বিশ্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানীরা ওই গবেষণা চালান। গবেষণায় নাসার কেপলার টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৯ সাল থেকে মহাকাশে স্থাপিত কেপলার টেলিস্কোপটি আমাদের সূর্যের মতো অন্যান্য নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরতে থাকা গ্রহ পর্যবেক্ষণের কাজ করছে।
গবেষণায় নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুরিত আলো পর্যবেক্ষণ করে গ্রহের হিসাব বের করা হয়েছে। কেপলার আকাশগঙ্গার নির্দিষ্ট একটি অংশে নক্ষত্রগুলোকে নির্দিষ্ট সময় ধরে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেন, নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুরিত আলোর সরল রেখা বাধাগ্রস্ত হওয়ার হিসাব থেকে গ্রহের সংখ্যা অনুমান করা হয়েছে। একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান গ্রহ ওই আলোক রেখাকে কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত করে। তবে গ্রহ ছাড়া মহাজাগতিক অন্যান্য বস্তুও এ রেখাকে বাধা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা আলো বাধাগ্রস্ত হওয়ার আকার ও সময় বিশ্লেষণ করে গ্রহের হিসাব বের করেছেন।
গবেষণা দলের সদস্য ফ্রাঙ্কো ফ্র্যাসিন বলেন, 'কেপলারের গ্রহের হিসাব অসম্পূর্ণ। আমরা নক্ষত্রের খুব কাছে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলোর হিসাব নিয়েছি। কিন্তু যে গ্রহগুলো অনেক দূর থেকে কেন্দ্রীয় নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে, সেগুলোর হিসাব নিতে পারিনি।'
বিজ্ঞানীদের হিসাবে আকাশগঙ্গায় প্রায় ১০ হাজার কোটি তারা আছে। এর মধ্যে অন্তত ১৭ শতাংশ নক্ষত্রের চারপাশে পৃথিবীর কাছাকাছি আকৃতির গ্রহ প্রদক্ষিণরত অবস্থায় আছে। ৮৫ দিন বা এরও কম সময়ের মধ্যে মাতৃনক্ষত্রের (হোস্ট স্টার) চারপাশে নিজের কক্ষপথে একবার ঘুরে আসে গ্রহগুলো। অন্তত এক চতুর্থাংশ মাতৃনক্ষত্রকে ঘিরে পৃথিবীর চেয়ে সোয়া বা দ্বিগুণ আকৃতির গ্রহ পরিভ্রমণ করছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ওই বৈঠকে নাসা জানায়, কেপলারের মাধ্যমে ৪৬১টি সম্ভাব্য গ্রহ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে চারটি গ্রহ পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ আকৃতির এবং নিজ নিজ সৌরমণ্ডলে বসবাসযোগ্য দূরত্বে অবস্থানে রয়েছে সেগুলো। গ্রহগুলোতে তরল পানি ও প্রাণের উপযোগী আবহাওয়াও থাকতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২২১তম বৈঠকে গত সোমবার নতুন গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়। মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক বিশ্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানীরা ওই গবেষণা চালান। গবেষণায় নাসার কেপলার টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৯ সাল থেকে মহাকাশে স্থাপিত কেপলার টেলিস্কোপটি আমাদের সূর্যের মতো অন্যান্য নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরতে থাকা গ্রহ পর্যবেক্ষণের কাজ করছে।
গবেষণায় নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুরিত আলো পর্যবেক্ষণ করে গ্রহের হিসাব বের করা হয়েছে। কেপলার আকাশগঙ্গার নির্দিষ্ট একটি অংশে নক্ষত্রগুলোকে নির্দিষ্ট সময় ধরে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেন, নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুরিত আলোর সরল রেখা বাধাগ্রস্ত হওয়ার হিসাব থেকে গ্রহের সংখ্যা অনুমান করা হয়েছে। একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান গ্রহ ওই আলোক রেখাকে কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত করে। তবে গ্রহ ছাড়া মহাজাগতিক অন্যান্য বস্তুও এ রেখাকে বাধা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা আলো বাধাগ্রস্ত হওয়ার আকার ও সময় বিশ্লেষণ করে গ্রহের হিসাব বের করেছেন।
গবেষণা দলের সদস্য ফ্রাঙ্কো ফ্র্যাসিন বলেন, 'কেপলারের গ্রহের হিসাব অসম্পূর্ণ। আমরা নক্ষত্রের খুব কাছে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলোর হিসাব নিয়েছি। কিন্তু যে গ্রহগুলো অনেক দূর থেকে কেন্দ্রীয় নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে, সেগুলোর হিসাব নিতে পারিনি।'
বিজ্ঞানীদের হিসাবে আকাশগঙ্গায় প্রায় ১০ হাজার কোটি তারা আছে। এর মধ্যে অন্তত ১৭ শতাংশ নক্ষত্রের চারপাশে পৃথিবীর কাছাকাছি আকৃতির গ্রহ প্রদক্ষিণরত অবস্থায় আছে। ৮৫ দিন বা এরও কম সময়ের মধ্যে মাতৃনক্ষত্রের (হোস্ট স্টার) চারপাশে নিজের কক্ষপথে একবার ঘুরে আসে গ্রহগুলো। অন্তত এক চতুর্থাংশ মাতৃনক্ষত্রকে ঘিরে পৃথিবীর চেয়ে সোয়া বা দ্বিগুণ আকৃতির গ্রহ পরিভ্রমণ করছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ওই বৈঠকে নাসা জানায়, কেপলারের মাধ্যমে ৪৬১টি সম্ভাব্য গ্রহ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে চারটি গ্রহ পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ আকৃতির এবং নিজ নিজ সৌরমণ্ডলে বসবাসযোগ্য দূরত্বে অবস্থানে রয়েছে সেগুলো। গ্রহগুলোতে তরল পানি ও প্রাণের উপযোগী আবহাওয়াও থাকতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments