সরকারকে আদালত-শিরানির অভিশংসন প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ
শ্রীলংকার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিরানি বন্দরনায়েকেকে অভিশংসিত করার কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল আদালত। গত সোমবার আদালত এ নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতিকে অভিসংশিত করার পদক্ষেপকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন আদালত।
ফলে বিচার বিভাগ ও শ্রীলংকা সরকারের মধ্যে সংকট আরো তীব্র হলো।
গত নভেম্বরে শিরানির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণসহ ১৪টি অভিযোগ আনে শ্রীলংকা সরকার। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে সরকার পার্লামেন্টারি সিলেক্ট (পিএসসি) কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি শিরানির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবি করে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অনুরোধ উপেক্ষা করেই পিএসসি প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসন করার কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল শঙ্কা প্রকাশ করে। তবে প্রধান বিচারপতি শিরানি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের সরকার গত বছর শিরানিকে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করেন। দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রধান নারী বিচারপতি।
আপিল আদালতের এক কর্মকর্তা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আনা রিটটি গ্রহণ করেছেন আদালত। এর অর্থ পার্লামেন্ট আইন মেনে কাজ করছে না।' তিনি আরো জানান, প্রধান বিচারপতিকে দোষী সাব্যস্ত করার পিএসসির কার্যক্রম বেআইনি ঘোষণা করেছেন আদালত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সরকারের এ পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেন। আইনজীবী দেশমাল ওয়ারনাসুরিয়া বলেন, 'প্রধান বিচারপতিরকে দোষী সাব্যস্ত করার কোনো অধিকার নেই পিএসসির। তাদের এ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।'
এদিকে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে নির্বাহী ক্ষমতাবলে অভিশংসন ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে সরাতে পারেন বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জামিনি লক্ষণ পিরিস। গত সোমবার সরকারের সংসদীয় কমিটির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বৈঠক করেন। এর পরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
গত নভেম্বরে শিরানির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণসহ ১৪টি অভিযোগ আনে শ্রীলংকা সরকার। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে সরকার পার্লামেন্টারি সিলেক্ট (পিএসসি) কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি শিরানির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবি করে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অনুরোধ উপেক্ষা করেই পিএসসি প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসন করার কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল শঙ্কা প্রকাশ করে। তবে প্রধান বিচারপতি শিরানি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের সরকার গত বছর শিরানিকে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করেন। দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রধান নারী বিচারপতি।
আপিল আদালতের এক কর্মকর্তা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আনা রিটটি গ্রহণ করেছেন আদালত। এর অর্থ পার্লামেন্ট আইন মেনে কাজ করছে না।' তিনি আরো জানান, প্রধান বিচারপতিকে দোষী সাব্যস্ত করার পিএসসির কার্যক্রম বেআইনি ঘোষণা করেছেন আদালত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সরকারের এ পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেন। আইনজীবী দেশমাল ওয়ারনাসুরিয়া বলেন, 'প্রধান বিচারপতিরকে দোষী সাব্যস্ত করার কোনো অধিকার নেই পিএসসির। তাদের এ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।'
এদিকে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে নির্বাহী ক্ষমতাবলে অভিশংসন ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে সরাতে পারেন বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জামিনি লক্ষণ পিরিস। গত সোমবার সরকারের সংসদীয় কমিটির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বৈঠক করেন। এর পরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments