নজিরবিহীন তাপমাত্রা-ভয়াবহ দাবানলের কবলে অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড তাপমাত্রা আর বাতাসের কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আবহাওয়াবিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, দেশটির ইতিহাসের উষ্ণতম ২০ দিনের মধ্যে পড়েছে এ বছরের প্রথম ছয় দিন।
গতকাল মঙ্গলবার নাগাদ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসেই ১৩০টিরও বেশি দাবানল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি এলাকাকে বিপজ্জনক অগি্নদুর্যোগ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এবারই প্রথম টানা ছয় দিন ধরে (২ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত) দেশটির গড় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থেকেছে। ধারাবাহিক এ উষ্ণতায় বেশ কয়েকটি অঞ্চল ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে। সরকারি সূত্র মতে, তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যে দাবানলে গত তিন দিনে শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়েছে। সেখানে আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তাসমানিয়া, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ভিক্টোরিয়া এবং রাজধানী ক্যানবেরাসহ নিউ সাউথ ওয়েলসের অন্যান্য অঞ্চলের নাগরিকদের আগুন জ্বালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দাবানলের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশটির বৃহত্তম শহর সিডনিও।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কথা শোনারও আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর নাগাদ নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকূলীয় এলাকার গড় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। এরপর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজ্যের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং রাজধানী ক্যানবেরায় ৪৩ ডিগ্রি হতে পারে। এ রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকাজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ক্যানবেরার আশপাশের এলাকায়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের চারটি এলাকা আইলাওয়ারা, শলহ্যাভেন. সাউদার্ন রেঞ্জেস এবং রিভেরিনাকে সবচেয়ে অগি্নদুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মানে হলো, এসব এলাকায় যেকোনো সময় দাবানল দেখা দেবে, তা হবে নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য এবং মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যেতে হবে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে নজিরবিহীন এ তাপমাত্রার জন্য দেশটির আবহাওয়া দপ্তর আবহাওয়ার পূর্বাভাসের চার্টের বর্ণবিন্যাস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ওই চার্টে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নির্দেশ করার ব্যবস্থা ছিল। এখন তারা ৫৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নির্দেশের ব্যবস্থা রাখবেন। ৫০ থেকে ৫২ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রার জন্য খয়েরি রঙ এবং ৫২ থেকে ৫৪ পর্যন্ত গোলাপি রঙ ব্যবহার করা হবে। নতুন এ চার্ট আগামী সোমবার থেকে চালু হবে। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল। এ সময় উচ্চমাত্রায় তাপপ্রবাহের কারণে প্রতিবছরই কম-বেশি দাবানলের ঘটনা ঘটে। সূত্র : সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, টেলিগ্রাফ।
এবারই প্রথম টানা ছয় দিন ধরে (২ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত) দেশটির গড় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থেকেছে। ধারাবাহিক এ উষ্ণতায় বেশ কয়েকটি অঞ্চল ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে। সরকারি সূত্র মতে, তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যে দাবানলে গত তিন দিনে শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়েছে। সেখানে আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তাসমানিয়া, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ভিক্টোরিয়া এবং রাজধানী ক্যানবেরাসহ নিউ সাউথ ওয়েলসের অন্যান্য অঞ্চলের নাগরিকদের আগুন জ্বালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দাবানলের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশটির বৃহত্তম শহর সিডনিও।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কথা শোনারও আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর নাগাদ নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকূলীয় এলাকার গড় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। এরপর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজ্যের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং রাজধানী ক্যানবেরায় ৪৩ ডিগ্রি হতে পারে। এ রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকাজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ক্যানবেরার আশপাশের এলাকায়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের চারটি এলাকা আইলাওয়ারা, শলহ্যাভেন. সাউদার্ন রেঞ্জেস এবং রিভেরিনাকে সবচেয়ে অগি্নদুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মানে হলো, এসব এলাকায় যেকোনো সময় দাবানল দেখা দেবে, তা হবে নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য এবং মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যেতে হবে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে নজিরবিহীন এ তাপমাত্রার জন্য দেশটির আবহাওয়া দপ্তর আবহাওয়ার পূর্বাভাসের চার্টের বর্ণবিন্যাস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ওই চার্টে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নির্দেশ করার ব্যবস্থা ছিল। এখন তারা ৫৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নির্দেশের ব্যবস্থা রাখবেন। ৫০ থেকে ৫২ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রার জন্য খয়েরি রঙ এবং ৫২ থেকে ৫৪ পর্যন্ত গোলাপি রঙ ব্যবহার করা হবে। নতুন এ চার্ট আগামী সোমবার থেকে চালু হবে। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল। এ সময় উচ্চমাত্রায় তাপপ্রবাহের কারণে প্রতিবছরই কম-বেশি দাবানলের ঘটনা ঘটে। সূত্র : সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, টেলিগ্রাফ।
No comments