আজ যাত্রা শুরু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরম্ন হবে এর প্রাথমিক কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রবিবার বিকেল ৪টায় এ ভবনের উদ্বোধন করবেন।
বিশ্বের সকল দেশের ও জাতির মাতৃভাষার চর্চা, গবেষণা, উন্নয়ন, সংরৰণ ও বিলুপ্ত হওয়া থেকে রৰা করার বৃহত্তর লৰ্যে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ব্যবহার করা হবে। আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে বাংলা ভাষা, বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবার সুযোগ করে দেবে।বিশ্বের সকল মাতৃভাষার সংরৰণ, লালন ও বিকাশে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ১.০৩ একক জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। প্রবাসী বাঙালী রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালামসহ কানাডা ভিত্তিক বিভিন্ন ভাষা সংগঠনের উদ্যোগে এবং তৎকালীন আওয়ামী সরকারের চেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ১৭ নবেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রম্নয়ারিকে আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষাণা করে। এ ঘোষণার পেৰাপটে ১৯৯৯ সালের ৭ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় দেশে আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপনের ঘোষণা দেন। তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের উপস্থিতিতে সেগুনবাগিচায় ১.০৩ একর জমির ওপর এ ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রসত্মর স্থাপন করেন। ২০০৩ সালের ১ লা এপ্রিল শুরম্ন হয় এর নির্মাণ কাজ। কিন্তু বিএনপি জামাত জোট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দলীয় সংকীর্ণতার কারণে ৩০ সেপ্টেম্বর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ি ১২ তলা ভিত্তির ওপর ৫ তলা ভবন নির্মাণ করে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরম্নর কথা ছিল। সে সময় ৫ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৯ কোটি টাকা। কিন্তু দীর্ঘ ৬ বছর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার কারণে নির্মাণ ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ৫ তলা ভবন নির্মাণে যেখানে ব্যয় হওয়া কথা ছিল ১৯ কোটি টাকা। জানা গেছে সেখানে ৩ তলা ভবণ নির্মাণেই খরচ হয়েছে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। এ জন্য ৩ তলা ভবন নির্মাণের পরই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরম্নর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে ১২ তলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
বিশ্বের সকল দেশের ও জাতির মাতৃভাষার চর্চা, গবেষণা, উন্নয়ন সংরৰণ ও বিলুপ্ত হওয়া থেকে রৰা করার লৰ্যে পরিচালিত হবে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। এর মাধ্যমে মাতৃভাষাগুলোর প্রসার, প্রচার ও বিকাশেও নেয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ের প্রকল্পের অধীনে ভাষা বিষয়ে প্রতিষ্ঠা করা হবে লাইব্রেরী, মিউজিয়াম ও ভাষার ইতিহাস সম্বলিত আর্কাইভ। পরবর্তীতে শুরম্ন হবে বড় ধরণের কার্যক্রম। আগামী ৩০ জুন পর্যনত্ম এ প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত হবে। এরপর ভাষা ইনস্টিটিউটটি সরকারের আলাদা আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। এই আইন বলে লোকবল নিয়োগ বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম শুরম্ন করা হবে।
No comments