ঐতিহাসিক চুক্তি 0 হায়দরাবাদ হাউসে স্বাৰর করেছেন শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিং 0 বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ভারতে 0 দ-াদেশপ্রাপ্ত অপরাধী হসত্মানত্মর 0 বিদু্যত খাতে সহযোগিতা
মামুন-অর-রশিদ দিলস্নীতে সোমবার হাসিনা-মনমোহন বৈঠকে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাৰর হয়েছে। দিলস্নীর হায়দরাবাদ হাউসে দু'ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সোমবার বিকেলে দীর্ঘকাঙ্ৰিত এই দ্বিপাৰিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তিসমূহের মধ্যে রয়েছে অপরাধ সংক্রানত্ম বিষয়ে দ্বিপাৰিক চুক্তি, দ-াদেশপ্রাপ্ত অপরাধী হসত্মানত্মর চুক্তি, আনত্মর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অবৈধ মাদক পাচার রোধ, বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চুক্তি এবং বিদু্যত খাতে সহযোগিতার বিষয়। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে প্রধানমন্ত্রীদ্বয় দু'দেশের পৰে সই করেন। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চারটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের ঘটনা হবে ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব। প্রতিবেশী দু'টি দেশের গণতান্ত্রিক শক্তির পারস্পরিক সহযোগিতার এই ইতিবাচক মানসিকতা দৰিণ এশিয়ার কূটনৈতিক সাফল্যের ইতিহাসে অনন্য। এর আগে সোমবার সকালে ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনাসভায় শেখ হাসিনা স্থিতিশীল দারিদ্র্যমুক্ত দৰিণ এশিয়া গড়ে তোলার ব্যাপারে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা বলেন।চারদিনের সরকারী সফরের প্রথম দিন সোমবার শেখ হাসিনা দিনভর ব্যসত্ম সময় কাটান। রাষ্ট্রপতি ভবনের সংবর্ধনার পর প্রধানমন্ত্রী রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে সৌজন্য সাৰাতে মিলিত হন। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী, লোকসভার বিরোধীদলীয় নেত্রী সুষমা স্বরাজ মৌর্য শেরাটনে শেখ হাসিনার সঙ্গে পৃথক পৃথক সৌজন্য সাৰাতে মিলিত হন। উলেস্নখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর। এই সফরকে ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশ-বিদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়।
উলেস্নখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারী সফরে রবিবার রাতে দিলস্নী পৌঁছেছেন। দিলস্নীর পালাম বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে নামার পর তাঁকে সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দরে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রণীত কাউর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান। বিমানবন্দর থেকে তিনি যান রাজধানীর পাঁচতলা হোটেল মৌর্য শেরাটনে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। ভারত সরকারের রীতি অনুযায়ী গতকাল সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা জানানো হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলৰে দিলস্নী এখন বর্ণাঢ্য সাজে রঙিন হয়ে উঠেছে। রাসত্মারা দু'পাশে শোভা পাচ্ছে দু'দেশের জাতীয় পতাকা। রাসত্মার আইল্যান্ডে আলোকসজ্জার জাঁকজমক কারম্নকার্য। নগরীর বিশেষ বিশেষ সড়কগুলো বর্ণিল হয়ে উঠেছে। দিলস্নীগেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন,সংসদ ভবন, নর্থ বস্নক, সাউথ বস্নকসহ সর্বত্র ছিল আলোঝিলমিল সাজসজ্জা। সোমবার অপরাহ্নে দিলস্নীর ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হয় হাসিনা-মনমোহন বৈঠক। আজ মঙ্গলবার তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ইন্দিরা গান্ধী শানত্মি পদক গ্রহণ করবেন। কাল বুধবার তিনি আজমীর শরিফে খাজা মইনুদ্দীন চিশতি (র) মাজার জিয়ারত শেষে দেশে ফিরে আসবেন। ৪১ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিসহ ১শ' ২৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই সরকারী সফর দু'দেশের সম্ভাবনার অনেক দ্বার খুলে দিচ্ছে।
প্রত্যাশা প্রাপ্তির মৌলিক হিসাব
১৯৭৫ সালের পর এই প্রথমবারের মতো দু'টি দেশের দু'টি সরকারের মৌলিক রাজনৈতিক দর্শনের মতৈক্য রয়েছে। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধকালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার তাঁর বক্তব্যে এ জন্য ভারতের প্রতি পুনর্বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই সফরের মাধ্যমে ভারত চায় বাংলাদেশে ভারতবিরোধী কোন সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়ে ওঠার সুযোগ যেন না পায়। ভারতের মূল প্রত্যাশা বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় সহায়ক ভূমিকা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারেরও আগ্রহের ঘাটতি নেই। তাই শেখ হাসিনার ভারত সফর দিলস্নী আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হিসেবেই বিবেচনায় নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্যবৈষম্য হ্রাস,যোগাযোগের ৰেত্র সম্প্রসারণ (কানেকটিভিটি), জ্বালানি সহায়তা, বাংলাদেশের নদীগুলোর ক্যাপিটাল ড্রেজিং বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা, রেল যোগাযোগে সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ তাদের দাবি তুলে ধরেন।
সৌজন্য সাৰাতে আলোচিত বক্তব্য
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রথম দিনে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারত শুল্কমুক্ত পণ্য আনার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। ইতোমধ্যে ৪৭টি পণ্যের তালিকা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত পণ্য ভারতে আসার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভারত চায় বাংলাদেশ থেকে বিনা শুল্কে অনেক পণ্য বাংলাদেশে আসুক। তাতে দু'দেশের বাণিজ্যঘাটতি হ্রাস পাবে। এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা বলেছেন, দু'দেশ পরস্পরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে সমর্থ হয়েছে। এখন ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার পালা।
প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি ভবনে লালগালিচা সংবর্ধনা
ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর মোটরবহর রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর তাঁকে অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে । তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন। সংৰিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা ও দিলস্নীর গবর্নরসহ তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মশিউর রহমান, শেখ রেহানার পুত্র রেদয়ান মুজিব সিদ্দিক ও কন্যা মিসেস পেপ্পি সিদ্দিক ও মিস আজিমা সিদ্দিকসহ তাঁর সফরসঙ্গীদের ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মিজারম্নল কায়েস, স্বরাষ্ট্র সচিব সোবহান শিকদার, বিদু্যত সচিব আবুল কালাম আজাদ, যোগাযোগ সচিব মোকাম্মেল হক খান, বিশেষ দূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। ভারত সরকারের লালগালিচা সংবর্ধনাসভার বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্থিতিশীল দৰিণ এশিয়া গড়ে তুলতে চাই। দারিদ্র্য মুক্ত শানত্মির আবাস হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাব।
গান্ধীর সমাধিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদন
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে লালগালিচা সংবর্ধনার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের সঙ্গে সাৰাত করেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পসত্মবক অর্পণ করেন। শেখ হাসিনা তাঁর সফরসঙ্গী দলের সদস্যসহ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে রাজঘাটে যান। তিনি অহিংস নীতির ধারক-প্রবর্তক গান্ধীর সমাধিস্থলে কিছুৰণ নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সমাধিস্থলে রাখা পরিদর্শক খাতায় স্বাৰর করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে তিনি লিখেছেন, 'আমার দেশের জনগণের পৰে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, সারাবিশ্বে শানত্মি প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই আমার কাম্য।'
ভারত চায় বাংলাদেশ থেকে বিনা শুল্কে অনেক পণ্য আসুক সৌজন্য সাৰাতে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী
স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে মৌর্য শেরাটন হোটেলে শেখ হাসনিার কৰে তাঁর সঙ্গে সাৰাত করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী। বৈঠক শেষে মুখার্জী সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে অত্যনত্ম ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছ। বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত পণ্য ভারতে আসার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত চায় বাংলাদেশ থেকে বিনা শুল্কে অনেক পণ্য আসুক। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনপর্্রতিষ্ঠায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফর দু'দেশের সম্পর্ককে একটি নতুন যুগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মনত্মব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর হোটেল সু্যটে সৌজন্য সাৰাত করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সন্ত্রাস, বিনিয়োগ, বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশিস্নষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এবং সব ৰেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কৃষ্ণা আশা প্রকাশ করেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা যাবে। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও পররাষ্ট্র সচিব মিজারম্নল কায়েস উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার দিলস্নীতে শেখ হাসিনার দিনভর ব্যসত্মতা
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী সোমবার সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা জানানো হয়। পরে তিনি রাজঘাটে গান্ধী সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। বেলা ১২টায় তিনি রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের সঙ্গে সাৰাত করেন। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে এলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাৰাত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা, ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী ও লোকসভার বিরোধী দলের নেতা সুষমা স্বরাজ। বিকেল ৪টায় তিনি সংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাৰাতে মিলিত হন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর হায়দ্রারাবাদ হাউসে শুরম্ন হয় দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক আলোচনা। এতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এই পর্বেই বাংলাদেশ ভারত পাঁচটি চুক্তি স্বাৰরিত হওয়ার কথা জানা গেছে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দেয়া প্রীতিভোজে অংশ নেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবারের কর্মসূচী
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল থেকে জওহর লাল নেহরম্ন, ইন্ধিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন। দিনের অবশিষ্ট সময়ে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের কাছ থেকে ইন্ধিরা গান্ধী শানত্মি পুরস্কার গ্রহণ করবেন। এরপর ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দর কুমার গুজরালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে ফিরে আসবেন হোটেলে। হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ভারতের রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এই দিন তিনি ব্যবসায়ীদের মধ্যাহ্নভাজে অংশ নিবেন। শেষ দিন বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলস্নী থেকে আকাশপথে জয়পুর হয়ে আজমীর শরীফ যাবেন। সেখানে খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (র) মাজার জেয়ারত শেষে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে জয়পুর ফিরে আসবেন। বুধবার বিকেলে জয়পুর বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে তিনি ঢাকায় ফিরে আসবেন।
No comments