সাভার ডিইপিজেডে ৩ কারখানায় শ্রমিক বিৰোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ১০ জানুয়ারি সাভারের ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ডিইপিজেড)-এর নতুন জোনে অবস্থিত 'স্টিস' ও পুরনো জোনে অবস্থিত 'এলাইন্স স্টিসেস লি.' ও 'আলফা পেটার্ন' নামের ৩টি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে রবিবার সকালে পৃথকভাবে বিক্ষোভ করেছে।
স্টিস গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা জানায়, কারখানার মালিক পক্ষ রবিবার সকাল ১০টার দিকে সকল শ্রমিকের জন্য একটি বিশেষ নোটিস জারি করে। নোটিসে উলেস্নখ করা হয়, কোন শ্রমিক কারখানার ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না, কোন শ্রমিক ছুটি নিলে তার হাজিরা বোনাস দেয়া হবে না, ডিউটি চলাকালে কোন শ্রমিক পাস নিয়ে বাইরে যেতে পারবে না। ওই কারখানার চার শতাধিক শ্রমিক এ নোটিসের প্রতিবাদে কর্ম বিরতি পালন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের কাজ না করলে কারখানা থেকে বের হয়ে যেতে বললেও শ্রমিকরা কারখানার ভেতরেই অবস্থান করতে থাকে। পরে ডিইপিজেডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসাররা শ্রমিকদের জোর করে কারখানা থেকে বের করে দিতে চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আনসারদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বেপজার হসত্মক্ষেপে নোটিসটি কারখানার মালিক পক্ষ পুনরায় বিবেচনার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়।এদিকে এলাইন্স স্টিসেস কারখানার শ্রমিকরা জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারখানাটির ৩য় তলার লাইন চীফ রফিক একই লাইনের সুপারভাইজার মিতুকে চড় মারে ও তার কাছ থেকে জোরপূর্বক রিজাইনপত্রে স্বাক্ষর নেয়। মিতু কারখানা থেকে বের হতে না চাইলে এক নিরাপত্তা কমর্ী তাকে ধাক্কা দেয়। পরে ওই কারখানার প্রায় ৮শ' শ্রমিক লাইন চীফ রফিকের অপসারণের দাবিতে কর্ম বিরতি পালন করে। পরে মালিক পক্ষ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ বন্ধ করে।
আলফা পেটার্ন-এর শ্রমিকরা জানায়, গত ডিসেম্বর মাসের বেতনের দাবিতে কারখানাটির ৪ শতাধিক শ্রমিক কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যনত্ম এ বিক্ষোভ চলে। পরে বেপজা কর্তৃপক্ষ ১৪ জানুয়ারি বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
No comments