বিশ্ববিদ্যালয় বটে- শিৰা বাণিজ্য
স্টাফ রিপোর্টার উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যৰ, রেজিস্ট্রার, ডিন, পরীৰা নিয়ন্ত্রক, বিভাগীয় প্রধান এমনকি কোন অধ্যাপকও নেই। কিন্তু তার পরেও এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
সাত বছর ধরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজী, কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে প্রতারণা করে শিৰার্থী ভর্তি করছে প্রতিষ্ঠানটি। অবিশ্বাস্য এবং বেআইনী হলেও ২০০৩ সাল থেকে এমন এক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে খোদ রাজধানীতে। শিৰার নামে বাণিজ্যরত এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম 'দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি'।সাধারণ কেউ নয় খোদ প্রতিষ্ঠানের শিৰার্থীরাই সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে শিৰার নামে বাণিজ্যের এই ভয়াবহ অভিযোগ তুলে ধরেছেন। শিৰার্থীরা কর্তৃপৰের বিরম্নদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে আরও বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি তাঁরা এ ব্যাপারে মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে শিৰার্থীরা জানিয়েছেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যৰ, রেজিস্ট্রার, ডিন, পরীৰা নিয়ন্ত্রক নেই। কোন বিভাগেই বিভাগীয় প্রধান এবং কোন অধ্যাপকও নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার শুরম্ন থেকে এর উপাচার্য একেএম ছিদ্দিক কোনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন বলে কোন নজির নেই। শিৰার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি অব্যাহতভাবে জানালে কর্তৃপৰ ড. জাইদি ছাত্তারকে একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি অফিসে আসা বন্ধ করলে জানা যায়, শিৰার্থীদের আইওয়াশের জন্য তাকে উপাচার্য বানিয়ে আনা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপৰ আরও ঘোষণা করেন, একজন রেজিস্ট্রার আছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি রেজিস্টার নন, ইংরেজী বিভাগের শিৰক। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মাহমুদা খাতুন। অভিযোগকারী এক শিৰার্থীর কাছ থেকে নম্বর নিয়ে এ বিষয়ে জানার জন্য মাহমুদা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাজধানীর মোমেনবাগে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর মালিকানা মূলত ৪ দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী বিএনপি নেতা ড. মঈন খান। সোমবার সংবাদ সম্মেলনের পরে বিভিন্ন পত্রিকায় কর্তৃপৰ একটি লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ- গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া স্বাৰরিত লিখিত বক্তব্যে শিৰার্থীদের অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেও প্রকারানত্মরে এর সত্যতা স্বীকারও করা হয়েছে। বলা হয়, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি চ্যান্সেলরের অনুমোদনের অপেৰায় রয়েছে।
No comments