চরাচর-ইস্টিশনের অতিথি by বিশ্বজিৎ পাল বাবু
ওপরে খোলা আকাশ। নিচে মাটি কিংবা পাকা মেঝে, মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে যা বোঝায়, মাঝখানে একটু ছাদ কিংবা টিন, বেড়া অথবা ছনের ছাউনি- এসবের কিছুই মেলে না। চার পাশটাও থাকে ফাঁকা। তবু কী প্রশান্তির ঘুম তাদের।
কনকনে শীতও যেন তাদের ভোগায় না। ভর দুপুরের তপ্ত রোদটাও যেন তারা কিভাবে সয়ে নেয়। ব্যাঙের মতোই যেন তাদের সর্দির ভয় নেই। ভয় নেই গায়ের চামড়া কালো হয়ে যাওয়ার। পুলিশের প্যাঁদানিও তারা মুহূর্তেই ভুলে যায়।
তারা রেলওয়ে স্টেশনের 'অতিথি' ছেলে থেকে বুড়ো সবাই 'ইস্টিশনের অতিথি'।। রাতটা তাদের কাটে স্টেশনেই। কেউ কেউ আবার স্টেশনকেই বেছে নিয়েছে কর্মস্থল হিসেবে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা, দিনমজুর কিংবা ভিক্ষাবৃত্তি করা লোকজন রেলওয়ে স্টেশনকেই বেছে নিয়েছে তাদের বাড়িঘর, আয়ের জায়গা হিসেবে।
দেশের এমন কোনো স্টেশন নেই, যেখানে এমন 'অতিথিদের' দেখা মেলে না। রেলওয়ে জংশন কিংবা বড় জেলা শহরগুলোর স্টেশনে এসব 'অতিথির' আনাগোনা। 'অতিথিদের' তালিকায় রয়েছে। 'স্টেশন অতিথিদের' ঘুমানোর আয়োজনটা এ রকম- গায়ের নিচে সম্ভব হলে এক টুকরো চটের বস্তা। না হলে গোসলের সময় কাজে লাগানো গামছা। মাথার নিচে কোনো বালিশ নেই।
আমাদের দেশে এমন অনেক উঁচুতলার বাড়ি আছে, যেখানে ঘুমানোর লোক নেই। দু-চার বছর পর পর প্রবাস থেকে এসে থাকবেন, তাই করে রাখা হয়েছে আলিশান বাড়ি। কেউ ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা, তাই গ্রামের বাড়িতে মাঝেমধ্যে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় বানিয়েছেন বিশাল অট্টালিকা। কখনো শোনা যায়, এসব বাড়িতে নাকি গ্রামে থাকা মা-বাবারও ঠাঁই হয় না! ইচ্ছে করলেই সমাজের দরিদ্ররা যেতে পারে না এসব ঘরে।
রাতে স্টেশনে থাকতে গিয়ে সমস্যায়ও পড়তে হয় এসব অতিথিকে। ছিঁচকে চোর কিংবা মাদকসেবীরা ওই এক টুকরো চট থেকে শুরু করে টাকা-পয়সাও নিয়ে যায়। এমনও হয়েছে, ভিক্ষা করে প্রায় ১৫ বছর ধরে জমানো টাকাও নিয়ে গেছে চোর।
তাদের জীবনযাত্রাটা নজরে এলে সমাজের সচেতনদের মনে দাগ কাটে নিশ্চয়ই। কিন্তু তাদের সমাজের মানুষ ভেবে কয়জনই বা এগিয়ে আসে।
সবার সমান অধিকার নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অনেকে বড় বড় কথা বললেও এ নিয়ে কে কতটুকু বাস্তবে কাজ করেছে, স্টেশনগুলোয় গেলেই তার প্রমাণ মিলবে। রেলওয়ের হাজার হাজার কোটি টাকার জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে। যেখানে গড়ে উঠেছে বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। অথচ এ গরিব মানুষগুলো স্টেশন চত্বরে ঘুমাতে গেলেও পুলিশ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্যাঁদানির শিকার হতে হয়।
তারা রেলওয়ে স্টেশনের 'অতিথি' ছেলে থেকে বুড়ো সবাই 'ইস্টিশনের অতিথি'।। রাতটা তাদের কাটে স্টেশনেই। কেউ কেউ আবার স্টেশনকেই বেছে নিয়েছে কর্মস্থল হিসেবে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা, দিনমজুর কিংবা ভিক্ষাবৃত্তি করা লোকজন রেলওয়ে স্টেশনকেই বেছে নিয়েছে তাদের বাড়িঘর, আয়ের জায়গা হিসেবে।
দেশের এমন কোনো স্টেশন নেই, যেখানে এমন 'অতিথিদের' দেখা মেলে না। রেলওয়ে জংশন কিংবা বড় জেলা শহরগুলোর স্টেশনে এসব 'অতিথির' আনাগোনা। 'অতিথিদের' তালিকায় রয়েছে। 'স্টেশন অতিথিদের' ঘুমানোর আয়োজনটা এ রকম- গায়ের নিচে সম্ভব হলে এক টুকরো চটের বস্তা। না হলে গোসলের সময় কাজে লাগানো গামছা। মাথার নিচে কোনো বালিশ নেই।
আমাদের দেশে এমন অনেক উঁচুতলার বাড়ি আছে, যেখানে ঘুমানোর লোক নেই। দু-চার বছর পর পর প্রবাস থেকে এসে থাকবেন, তাই করে রাখা হয়েছে আলিশান বাড়ি। কেউ ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা, তাই গ্রামের বাড়িতে মাঝেমধ্যে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় বানিয়েছেন বিশাল অট্টালিকা। কখনো শোনা যায়, এসব বাড়িতে নাকি গ্রামে থাকা মা-বাবারও ঠাঁই হয় না! ইচ্ছে করলেই সমাজের দরিদ্ররা যেতে পারে না এসব ঘরে।
রাতে স্টেশনে থাকতে গিয়ে সমস্যায়ও পড়তে হয় এসব অতিথিকে। ছিঁচকে চোর কিংবা মাদকসেবীরা ওই এক টুকরো চট থেকে শুরু করে টাকা-পয়সাও নিয়ে যায়। এমনও হয়েছে, ভিক্ষা করে প্রায় ১৫ বছর ধরে জমানো টাকাও নিয়ে গেছে চোর।
তাদের জীবনযাত্রাটা নজরে এলে সমাজের সচেতনদের মনে দাগ কাটে নিশ্চয়ই। কিন্তু তাদের সমাজের মানুষ ভেবে কয়জনই বা এগিয়ে আসে।
সবার সমান অধিকার নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অনেকে বড় বড় কথা বললেও এ নিয়ে কে কতটুকু বাস্তবে কাজ করেছে, স্টেশনগুলোয় গেলেই তার প্রমাণ মিলবে। রেলওয়ের হাজার হাজার কোটি টাকার জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে। যেখানে গড়ে উঠেছে বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। অথচ এ গরিব মানুষগুলো স্টেশন চত্বরে ঘুমাতে গেলেও পুলিশ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্যাঁদানির শিকার হতে হয়।
No comments