দেশি-প্রবাসীর সেতুবন্ধ by অমিত চাকমা
পৃথিবীর ১৯০টি দেশ থেকে এখন প্রথম আলো পড়া হয়। প্রথম আলো বিশ্বের ১ নম্বর ওয়েবপোর্টাল। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সব সময় বাংলা ও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এই সংযোগে প্রথম আলো পালন করে অনন্য ভূমিকা—জানাচ্ছেন কানাডাপ্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অমিত চাকমা।
তিনি কানাডার অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও উপাচার্যত
প্রথম আলো জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সর্বপ্রচলিত দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তার গুণগত, নিরপেক্ষ এবং অকুতোভয় সাংবাদিকতার কারণে। এই প্রশংসনীয় সাফল্যের জন্য আমি প্রথম আলো এবং তার সম্পাদক মতিউর রহমানকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের প্রকাশ—আমার এবং বাংলাদেশের মাঝের সাতসমুদ্রের দূরত্বকে কমিয়ে দিয়েছে। দেশের অনেক পাঠকের মতো আমিও পরিণত হয়েছি প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠকে। প্রতিদিন কাজের শেষে বাড়ি ফিরেই আমার প্রথম কাজ হলো—ইন্টারনেটে প্রথম আলো পড়া। সময়ের ব্যবধানের কারণে আমরা যারা উত্তর আমেরিকায় বাস করি, তারা খুব সম্ভব দেশের অনেক পাঠকের ভোরবেলায় পত্রিকা পড়ার আগেই প্রথম আলো পড়ি। প্রথম আলোর পাতায় দেখতে পাই দেশের প্রতিচ্ছবি এবং জানতে পারি দেশের মানুষের সুখ-দুঃখের কাহিনি।
প্রথম আলোর মতো উন্নতমানের পত্রিকার জনপ্রিয়তা এবং বাণিজ্যিক সাফল্য বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সুখবর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশার কারণ। প্রথম আলোর পাঠকের সংখ্যা দেখে অনুমান করা যায়, দেশের সুশীল সমাজের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশ বড়। এই সুশীল সমাজকে যদি দেশের নৈতিক উন্নতির কাজে সমবেত করা যায়—তার প্রভাব হবে অকল্পনীয়। প্রথম আলোর ‘বদলে যাও বদলে দাও’ আন্দোলন সুশীল সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণের এক বলিষ্ঠ প্রয়াস।
প্রথম আলোর ই-সংস্করণ প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় আর দেশের মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছে। এরই ফলে আজ দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের দূরত্ব অনেক কমে গেছে। এই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারার কারণে প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের ঘনিষ্ঠতা বহুভাবে বেড়েছে। ‘out of sight-out of mind’-এর প্রভাব এই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে অনেকটা প্রশমিত হয়েছে। এসব কারণে প্রথম আলোর ওয়েবসাইট পৃথিবীর সর্বপ্রিয় বাংলা ওয়েবসাইটে পরিণত হয়েছে। প্রথম আলোর ওয়েবসাইটের এই জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে শুধু দেশি আর প্রবাসীদের মধ্যে নয়, বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের মধ্যেও সেতুবন্ধন সৃষ্টি করার দ্বার খুলেছে।
প্রথম আলোর হাতে এসেছে এক দৃষ্টান্তবিহীন Convening Poweৎ বা সমন্বয় শক্তি। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রথম আলোর পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হতে পারে। বিভিন্ন সম্ভাব্য কর্মসূচির মধ্যে দেশি এবং প্রবাসী সুশীল সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করাটাই বেশি প্রাধান্য পাওয়া উচিত বলে মনে করি। আমার সীমিত দৃষ্টিতে মনে হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন পদযাত্রায় সবচেয়ে বড় বাধা হলো আমাদের অতীতের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত নৈতিক অধঃপতন এবং আইনের শাসনের অভাব। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একাংশের নেতৃত্ব খুবই প্রশংসনীয়। প্রবাসী সুশীল সমাজের সদস্যদের পরিবেশগত কারণে নৈতিকতা এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে প্রগতিশীল চিন্তাধারা পোষণ করার কথা। তাই যদি প্রগতিশীল প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের সুশীল সমাজের বলিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়, তাতে দেশের নৈতিকতাবাদী সামাজিক আন্দোলন অধিকতর গতিশীল হবে।
অমিত চাকমা: প্রেসিডেন্ট ও উপাচার্য, ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, অন্টারিও, কানাডা।
প্রথম আলো জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সর্বপ্রচলিত দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তার গুণগত, নিরপেক্ষ এবং অকুতোভয় সাংবাদিকতার কারণে। এই প্রশংসনীয় সাফল্যের জন্য আমি প্রথম আলো এবং তার সম্পাদক মতিউর রহমানকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের প্রকাশ—আমার এবং বাংলাদেশের মাঝের সাতসমুদ্রের দূরত্বকে কমিয়ে দিয়েছে। দেশের অনেক পাঠকের মতো আমিও পরিণত হয়েছি প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠকে। প্রতিদিন কাজের শেষে বাড়ি ফিরেই আমার প্রথম কাজ হলো—ইন্টারনেটে প্রথম আলো পড়া। সময়ের ব্যবধানের কারণে আমরা যারা উত্তর আমেরিকায় বাস করি, তারা খুব সম্ভব দেশের অনেক পাঠকের ভোরবেলায় পত্রিকা পড়ার আগেই প্রথম আলো পড়ি। প্রথম আলোর পাতায় দেখতে পাই দেশের প্রতিচ্ছবি এবং জানতে পারি দেশের মানুষের সুখ-দুঃখের কাহিনি।
প্রথম আলোর মতো উন্নতমানের পত্রিকার জনপ্রিয়তা এবং বাণিজ্যিক সাফল্য বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সুখবর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশার কারণ। প্রথম আলোর পাঠকের সংখ্যা দেখে অনুমান করা যায়, দেশের সুশীল সমাজের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশ বড়। এই সুশীল সমাজকে যদি দেশের নৈতিক উন্নতির কাজে সমবেত করা যায়—তার প্রভাব হবে অকল্পনীয়। প্রথম আলোর ‘বদলে যাও বদলে দাও’ আন্দোলন সুশীল সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণের এক বলিষ্ঠ প্রয়াস।
প্রথম আলোর ই-সংস্করণ প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় আর দেশের মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছে। এরই ফলে আজ দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের দূরত্ব অনেক কমে গেছে। এই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারার কারণে প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের ঘনিষ্ঠতা বহুভাবে বেড়েছে। ‘out of sight-out of mind’-এর প্রভাব এই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে অনেকটা প্রশমিত হয়েছে। এসব কারণে প্রথম আলোর ওয়েবসাইট পৃথিবীর সর্বপ্রিয় বাংলা ওয়েবসাইটে পরিণত হয়েছে। প্রথম আলোর ওয়েবসাইটের এই জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে শুধু দেশি আর প্রবাসীদের মধ্যে নয়, বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের মধ্যেও সেতুবন্ধন সৃষ্টি করার দ্বার খুলেছে।
প্রথম আলোর হাতে এসেছে এক দৃষ্টান্তবিহীন Convening Poweৎ বা সমন্বয় শক্তি। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রথম আলোর পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হতে পারে। বিভিন্ন সম্ভাব্য কর্মসূচির মধ্যে দেশি এবং প্রবাসী সুশীল সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করাটাই বেশি প্রাধান্য পাওয়া উচিত বলে মনে করি। আমার সীমিত দৃষ্টিতে মনে হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন পদযাত্রায় সবচেয়ে বড় বাধা হলো আমাদের অতীতের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত নৈতিক অধঃপতন এবং আইনের শাসনের অভাব। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একাংশের নেতৃত্ব খুবই প্রশংসনীয়। প্রবাসী সুশীল সমাজের সদস্যদের পরিবেশগত কারণে নৈতিকতা এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে প্রগতিশীল চিন্তাধারা পোষণ করার কথা। তাই যদি প্রগতিশীল প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের সুশীল সমাজের বলিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়, তাতে দেশের নৈতিকতাবাদী সামাজিক আন্দোলন অধিকতর গতিশীল হবে।
অমিত চাকমা: প্রেসিডেন্ট ও উপাচার্য, ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, অন্টারিও, কানাডা।
No comments