সিপিডির সংলাপ: রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ব্যাংক ব্যবহার করা উচিত নয়: রেহমান সোবহান হল-মার্কের অর্থ কারা পেল খোঁজার তাগিদ
অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ খুলে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা মোটেও ঠিক হয়নি। এই বিভাগ বিলুপ্ত করে বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করা উচিত হবে। ব্যাংক খাতের পুরো কর্তৃত্বই থাকতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকই ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক ব্যাংক খাতের সুশাসন পরিস্থিতি’ শীর্ষক সংলাপে গতকাল সোমবার এসব কথা বলা হয়। সংলাপে আরও বলা হয়, হল-মার্কের অর্থের আসলে সুবিধাভোগী কারা, তা খুঁজে দেখতে হবে। এ জন্য জালিয়াতি করা অর্থের গতি-প্রকৃতি অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এ সময় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ব্যাংক খাতকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
আলোচকেরা হল-মার্ক জালিয়াতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার দুর্বলতাকে বড়ভাবে দায়ী করেন। ব্যাংকের টাকা আদায় ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করারও সুপারিশ আসে সংলাপে।
রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এই সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার গবেষণা বিভাগের প্রধান ফাহমিদা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, আর্থিক খাতে সুশাসনের যে অভাব, তার পরিণতিতেই এ ধরনের জালিয়াতি ঘটেছে। সোনালী ব্যাংকের একটি ছোট্ট শাখা থেকে একটি প্রতিষ্ঠান তিন হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করে নিয়ে গেল, অথচ কেউই তা দেখল না—এটা বিস্ময়কর।
প্যানেল আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হল-মার্কের এটা কোনো ঋণ নয়, এটা কেলেঙ্কারি। এটা হচ্ছে লোভ, দুর্নীতি ও পদ্ধতির ব্যর্থতার সম্মিলনে একটি পরিকল্পিত জালিয়াতির ঘটনা। বলা হচ্ছে, সোনালী ব্যাংকের পরিদর্শনে এত বড় অনিয়ম চোখে পড়েনি কিংবা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিছুই জানত না—এসব কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, হল-মার্কের জালিয়াতির পর ব্যাংকের দৃষ্টিতে টাকা আদায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু নাগরিকত্বের দিক থেকে এই অপরাধের শাস্তির দাবিটি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, জালিয়াতির এই টাকা কোথায় গেল, তা বের করা এখন সবচেয়ে জরুরি। এই টাকা দিয়ে কতটুকু সম্পত্তি কেনা হয়েছে কিংবা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে কি না, শেষ পর্যন্ত এর সুবিধাভোগী কারা—তা অনুসন্ধান করে বের করা প্রয়োজন। এই দায়িত্বটাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরই। তিনি ব্যাংক খাত সংস্কারের সঙ্গে বিমা খাতকেও যুক্ত করে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই সরকারের আমলে প্রথমে শেয়ারবাজার ও পরে অর্থবাজারে বড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক এই বিপর্যয় হচ্ছে, আর পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
আমীর খসরু বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী শেয়ারবাজারসহ পুরো অর্থনীতিকে শোষণ করে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের পকেটে পুরছে। শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা এসইসির হাতে নয়, ওই গোষ্ঠীর হাতে। ব্যাংকিং বিভাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই বিভাগকে উদ্দেশ্য হাসিলের মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারা কত ঋণ পাবে, কার কমিশন কত হবে, ওই বিভাগ তা নিয়ন্ত্রণ করছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং হল-মার্ক কেলেঙ্কারি তদন্তে গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, পর্যালোচনা করতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন, ব্যাংকিং নিয়মাচারের কোনো কিছুই এখানে ছিল না। শুধু টাকা লুট হয়েছে। এই টাকা উদ্ধারের প্রশ্নটিই এখন আসল বিষয়। তিনি বলেন, যদি দেখা যায় অপরাধীর চার-পাঁচ বছর জেল হলো, অথচ টাকা উদ্ধার হলো না। তা হলে অনেকে জালিয়াতিতে উৎসাহিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য এম এ মান্নান ব্যাংকিং বিভাগের দরকার নেই উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংককে সেরা ব্যাংক পুরস্কার দিয়েছে এবং ব্যাংক তা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ফলাও করে প্রচার করছে। হল-মার্কের মতো এত বড় জালিয়াতির পরও এটা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম বলেন, ব্যাংকিং খাত তদারকিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাশিত নয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও অডিট-ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটতে পেরেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও দায়দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ (রুমী) আলী বলেন, হল-মার্কের ঘটনা ব্যাংকিং খাতের পদ্ধতিগত ব্যর্থতা নয়, ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ব্যর্থতা।
ব্যাংকের এমডিদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, প্রতিটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে একটি সম্পদ-দায় ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকে। পরিচালনা পর্ষদের আওতায় একটি নিরীক্ষা কমিটি থাকে। এসব কমিটি ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করলে হয়তো হল-মার্কের অনিয়ম অনেক আগেই ধরা পড়ত। হল-মার্কের ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের দায়দায়িত্ব এড়াতে পারে না বলে তিনিও মত দেন।
ফাহমিদা খাতুন তাঁর প্রবন্ধে রূপসী বাংলা শাখায় আর্থিক কেলেঙ্কারির অর্থমূল্য তুলে ধরে বলেন, এটি সোনালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ৩২০ শতাংশ। দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। হল-মার্কের ঘটনা শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, এটি ব্যাংকিং খাতের গ্রাহকের আস্থার ওপর আঘাত। এটি শুধু সোনালী ব্যাংকের নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক ব্যাংক খাতের সুশাসন পরিস্থিতি’ শীর্ষক সংলাপে গতকাল সোমবার এসব কথা বলা হয়। সংলাপে আরও বলা হয়, হল-মার্কের অর্থের আসলে সুবিধাভোগী কারা, তা খুঁজে দেখতে হবে। এ জন্য জালিয়াতি করা অর্থের গতি-প্রকৃতি অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এ সময় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ব্যাংক খাতকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
আলোচকেরা হল-মার্ক জালিয়াতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার দুর্বলতাকে বড়ভাবে দায়ী করেন। ব্যাংকের টাকা আদায় ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করারও সুপারিশ আসে সংলাপে।
রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এই সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার গবেষণা বিভাগের প্রধান ফাহমিদা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, আর্থিক খাতে সুশাসনের যে অভাব, তার পরিণতিতেই এ ধরনের জালিয়াতি ঘটেছে। সোনালী ব্যাংকের একটি ছোট্ট শাখা থেকে একটি প্রতিষ্ঠান তিন হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি করে নিয়ে গেল, অথচ কেউই তা দেখল না—এটা বিস্ময়কর।
প্যানেল আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হল-মার্কের এটা কোনো ঋণ নয়, এটা কেলেঙ্কারি। এটা হচ্ছে লোভ, দুর্নীতি ও পদ্ধতির ব্যর্থতার সম্মিলনে একটি পরিকল্পিত জালিয়াতির ঘটনা। বলা হচ্ছে, সোনালী ব্যাংকের পরিদর্শনে এত বড় অনিয়ম চোখে পড়েনি কিংবা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিছুই জানত না—এসব কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, হল-মার্কের জালিয়াতির পর ব্যাংকের দৃষ্টিতে টাকা আদায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু নাগরিকত্বের দিক থেকে এই অপরাধের শাস্তির দাবিটি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, জালিয়াতির এই টাকা কোথায় গেল, তা বের করা এখন সবচেয়ে জরুরি। এই টাকা দিয়ে কতটুকু সম্পত্তি কেনা হয়েছে কিংবা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে কি না, শেষ পর্যন্ত এর সুবিধাভোগী কারা—তা অনুসন্ধান করে বের করা প্রয়োজন। এই দায়িত্বটাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরই। তিনি ব্যাংক খাত সংস্কারের সঙ্গে বিমা খাতকেও যুক্ত করে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই সরকারের আমলে প্রথমে শেয়ারবাজার ও পরে অর্থবাজারে বড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক এই বিপর্যয় হচ্ছে, আর পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
আমীর খসরু বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী শেয়ারবাজারসহ পুরো অর্থনীতিকে শোষণ করে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের পকেটে পুরছে। শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা এসইসির হাতে নয়, ওই গোষ্ঠীর হাতে। ব্যাংকিং বিভাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই বিভাগকে উদ্দেশ্য হাসিলের মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারা কত ঋণ পাবে, কার কমিশন কত হবে, ওই বিভাগ তা নিয়ন্ত্রণ করছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং হল-মার্ক কেলেঙ্কারি তদন্তে গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, পর্যালোচনা করতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন, ব্যাংকিং নিয়মাচারের কোনো কিছুই এখানে ছিল না। শুধু টাকা লুট হয়েছে। এই টাকা উদ্ধারের প্রশ্নটিই এখন আসল বিষয়। তিনি বলেন, যদি দেখা যায় অপরাধীর চার-পাঁচ বছর জেল হলো, অথচ টাকা উদ্ধার হলো না। তা হলে অনেকে জালিয়াতিতে উৎসাহিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য এম এ মান্নান ব্যাংকিং বিভাগের দরকার নেই উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংককে সেরা ব্যাংক পুরস্কার দিয়েছে এবং ব্যাংক তা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ফলাও করে প্রচার করছে। হল-মার্কের মতো এত বড় জালিয়াতির পরও এটা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম বলেন, ব্যাংকিং খাত তদারকিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাশিত নয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও অডিট-ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটতে পেরেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও দায়দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ (রুমী) আলী বলেন, হল-মার্কের ঘটনা ব্যাংকিং খাতের পদ্ধতিগত ব্যর্থতা নয়, ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ব্যর্থতা।
ব্যাংকের এমডিদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, প্রতিটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে একটি সম্পদ-দায় ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকে। পরিচালনা পর্ষদের আওতায় একটি নিরীক্ষা কমিটি থাকে। এসব কমিটি ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করলে হয়তো হল-মার্কের অনিয়ম অনেক আগেই ধরা পড়ত। হল-মার্কের ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের দায়দায়িত্ব এড়াতে পারে না বলে তিনিও মত দেন।
ফাহমিদা খাতুন তাঁর প্রবন্ধে রূপসী বাংলা শাখায় আর্থিক কেলেঙ্কারির অর্থমূল্য তুলে ধরে বলেন, এটি সোনালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ৩২০ শতাংশ। দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। হল-মার্কের ঘটনা শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, এটি ব্যাংকিং খাতের গ্রাহকের আস্থার ওপর আঘাত। এটি শুধু সোনালী ব্যাংকের নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
No comments