সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ-অসভ্য ও অভদ্র! by আবু এনএম ওয়াহিদ
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় ঘটেছে একটি মারাত্মক ও জঘন্য সহিংস অপরাধ। খবরে যা দেখা যায় তাতে মনে হয়, উত্তেজিত আমজনতার সঙ্গে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দলের স্থানীয় অনেক রাজনৈতিক নেতাও এগিয়ে আসেন।
মিটিং-মিছিল, বক্তৃতা-বিবৃতি ও স্লোগান দেওয়া হয়। রাতের গভীরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা, লুটপাট, অগি্নসংযোগ এবং আরও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
বিএনপি বলছে, এ অপরাধ সরকার ও সরকারদলীয় লোকের কাজ। তারা স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকেও আঙুল তুলছে। তারা আরও বলছে, প্রশাসনের দায়িত্বে গাফিলতির আলামত স্পষ্ট। বিরোধী দলের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে সরকার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নতুন করে দমন-পীড়নের সুযোগ খুঁজছে। বিদেশিদের বলবে, বাংলাদেশে এখনও জঙ্গিবাদ আছে। এদের নির্মূল করার জন্য আওয়ামী লীগের আবার ক্ষমতায় আসা জরুরি।
আমার বিবেচনায় সহিংস ঘটনার পর সবচেয়ে জঘন্য যে কাজটি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে তা হলো, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চিরাচরিত রাজনৈতিক খিস্তিখেউর। তাদের মধ্যকার পরস্পর দোষারোপের মাধ্যমে আসল বিষয় ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে। প্রকৃত অপরাধীরা সাধারণের ও আইনের আড়ালে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
আমার দৃষ্টিতে এখানে একটি নয়, দুুটি নয়, বরং পরপর অনেক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং একটির চেয়ে আরেকটি জঘন্য। প্রথমত, যে-ই করে থাকুক, যেখান থেকে যেভাবেই এর উৎপত্তি হোক, কোরআনের অবমাননা একটি গুরুতর অপরাধ। আমি অন্তর থেকে এ অপকর্মের নিন্দা জানাই। দ্বিতীয়ত, একে কেন্দ্র করে যেভাবে শান্তিপ্রিয় সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর যে পাশবিকতার সঙ্গে সংখ্যাগুরুরা হামলে পড়ল, সেটা তার চেয়ে আরও বড় অপরাধ। অমি ঘৃণাভরে এরও নিন্দা জানাই। তৃতীয়ত, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ের হেফাজত করতে পারল না, সেটা আরও বড় অপরাধ। এর নিন্দা করার ভাষা আমার জানা নেই। সরকারের সবচেয়ে বড় ও পবিত্র দায়িত্ব তার স্থানীয় প্রশাসন ও আইন আদালতের মাধ্যমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সব নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। যারা অপরাধ করেছে তারা তো অবশ্যই অপরাধী; কিন্তু যারা তাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য ভুক্তভোগীদের জানমালের হেফাজত করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা আরও বড় অপরাধী। তারপর সরকার এবং বিরোধী দল যেভাবে পরস্পরকে দোষারোপ করছে, কাদা ছোড়াছুড়ি করছে সেটা আরও বিব্রতকর, আরও জঘন্য। এটাও এক ধরনের অপরাধ। আমি এরও নিন্দা জানাই।
যেসব জায়গায় অপরাধ হয়েছে বিরোধী দল সেসব জায়গা সফর করেছে, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছে। ফিরে এসে বলছে, এ অপরাধের জন্য সরকারদলীয় লোক দায়ী। আওয়ামী লীগের লোকজন উস্কানি দিয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসন চুপ থেকেছে, যার ফলে অপরাধ সহজেই সংঘটিত হয়েছে। ভালো কথা, সরকারদলীয় লোকেরা করেছে, তো আপনাদের লোকেরা এতে বাধা দিতে পারল না কেন? নিরপরাধ প্রতিবেশীদের বাঁচানোর জন্য দু'একজন শহীদ হতে পারল না? রাজনীতি তো জনসেবা। এর চেয়ে বড় জনসেবার সুযোগ তারা আর কি পেতে পারে? সাত-আট ঘণ্টা ধরে এমন তাণ্ডব চলল। আপনারা কি ঘুমাচ্ছিলেন? পরে খবর শুনে দলীয় তদন্ত কমিটি নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় গেলেন। আর যা-ই হোক, আপনাদের এ বিচারের দায়িত্ব কে দিয়েছে? তার ক'দিন পর সরকারপ্রধান সেখানে গিয়েছেন। তিনি স্থানীয় লোকদের জড়ো করেছেন, তাদের কথা শুনেছেন। সভা করেছেন এবং সেখানেই ঘোষণা দিয়েছেন, বিরোধীদলীয় এমপির উস্কানিতে ঘটেছে ওই অপরাধ। ভালো কথা, একজন বিএনপি এমপির ছত্রছায়ায় এতবড় অপরাধ ঘটল, তো আপনার প্রশাসন ও র্যাব-পুলিশ তখন কী করছিল? তারা কি ঘুমাচ্ছিল? টিআইবির প্রধান দুস্থ অঞ্চল সফর করে রামু থেকে ঢাকায় ফিরে এসে বলেছেন, দেশের তিক্ত রাজনৈতিক বিভাজনই এ জঘন্য অপরাদের জন্য দায়ী। আমরা দূর থেকে যা দেখছি এবং শুনছি তাতে আমরা অভ্যস্ত। এসব আমাদের দেশীয় রাজনীতি ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়ে গেছে। মিডিয়ায় কিছুদিন চিল্লাচিলি্ল হবে, লেখালেখি হবে, যা হওয়ার তা-ই হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। দুই দলের টানাহ্যাঁচড়া এবং ডামাডোলের মাঝে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। আবার কোনো মওকায় নতুন করে আরও বড়, আরও ঘৃণ্য, আরও জঘন্য অপরাধ ঘটানোর অপেক্ষায় তারা দিন গুনবে। যারা ফায়দা লোটার তারা দূর থেকে মুচকি হেসে হাততালি দেবে।
এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে একজন বিজ্ঞ লোকের একটি কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে আমি আমার আজকের নিবন্ধের ইতি টানতে চাই। কথাটি অনেক দিন আগে বলেছেন পদ্মা সেতু সম্পর্কিত বিশ্বব্যাংকের আনীত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সদ্য ছুটিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি সেদিন মিডিয়ার সামনে একটি উক্তি করে ঝড় তুলেছিলেন। তার কথার মানে এরকম করা যায়, যে জাতি প্রতিবেশী দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে যত বেশি ফি চায় সে জাতি তত বেশি অসভ্য এবং অভদ্র। ড. মসিউরের মুখ থেকে ওই কথা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। পাঠকরা বলতে পারেন_ ভালো কথা, তবে ড. মসিউরের বক্তব্যের সঙ্গে রামুর ঘটনার সম্পর্ক কী? প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই সত্যি, তবে পরোক্ষ একটি যোগসাজশ আছে বৈকি। এখনই সেটা খোলসা করে বলছি। আজ এই মুহূর্তে সাবেক সচিব সাহেবের কথার সঙ্গে আরেকজন বিদেশি রাষ্ট্রনায়কের একটি কথা মনে পড়ছে। পাঠকদের সঙ্গে সে কথাটিও শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। সত্তর দশকের শেষ দিকে অথবা আশির দশকের গোড়ার দিকে স্বাধীনতার দাবিতে কানাডার কুইবেক প্রদেশে গণভোটের প্রাক্কালে সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো যে কথা বলেছিলেন তার মর্মার্থ দাঁড়ায় এরকম, যে জাতি তার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যত খারাপ ব্যবহার করে সে জাতি তত বেশি অসভ্য এবং অভদ্র। এবার পাঠকরা বিবেচনা করুন আজকের প্রেক্ষাপটে কার কথা বেশি মূল্যবান এবং কার কথা বেশি গ্রহণযোগ্য_ ড. মসিউর রহমানের না পিয়েরে ট্রুডোর?
আবু এনএম ওয়াহিদ : অধ্যাপক টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; এডিটর জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ
awahid2569@gmail.com
বিএনপি বলছে, এ অপরাধ সরকার ও সরকারদলীয় লোকের কাজ। তারা স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকেও আঙুল তুলছে। তারা আরও বলছে, প্রশাসনের দায়িত্বে গাফিলতির আলামত স্পষ্ট। বিরোধী দলের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে সরকার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নতুন করে দমন-পীড়নের সুযোগ খুঁজছে। বিদেশিদের বলবে, বাংলাদেশে এখনও জঙ্গিবাদ আছে। এদের নির্মূল করার জন্য আওয়ামী লীগের আবার ক্ষমতায় আসা জরুরি।
আমার বিবেচনায় সহিংস ঘটনার পর সবচেয়ে জঘন্য যে কাজটি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে তা হলো, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চিরাচরিত রাজনৈতিক খিস্তিখেউর। তাদের মধ্যকার পরস্পর দোষারোপের মাধ্যমে আসল বিষয় ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে। প্রকৃত অপরাধীরা সাধারণের ও আইনের আড়ালে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
আমার দৃষ্টিতে এখানে একটি নয়, দুুটি নয়, বরং পরপর অনেক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং একটির চেয়ে আরেকটি জঘন্য। প্রথমত, যে-ই করে থাকুক, যেখান থেকে যেভাবেই এর উৎপত্তি হোক, কোরআনের অবমাননা একটি গুরুতর অপরাধ। আমি অন্তর থেকে এ অপকর্মের নিন্দা জানাই। দ্বিতীয়ত, একে কেন্দ্র করে যেভাবে শান্তিপ্রিয় সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর যে পাশবিকতার সঙ্গে সংখ্যাগুরুরা হামলে পড়ল, সেটা তার চেয়ে আরও বড় অপরাধ। অমি ঘৃণাভরে এরও নিন্দা জানাই। তৃতীয়ত, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ের হেফাজত করতে পারল না, সেটা আরও বড় অপরাধ। এর নিন্দা করার ভাষা আমার জানা নেই। সরকারের সবচেয়ে বড় ও পবিত্র দায়িত্ব তার স্থানীয় প্রশাসন ও আইন আদালতের মাধ্যমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সব নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। যারা অপরাধ করেছে তারা তো অবশ্যই অপরাধী; কিন্তু যারা তাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য ভুক্তভোগীদের জানমালের হেফাজত করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা আরও বড় অপরাধী। তারপর সরকার এবং বিরোধী দল যেভাবে পরস্পরকে দোষারোপ করছে, কাদা ছোড়াছুড়ি করছে সেটা আরও বিব্রতকর, আরও জঘন্য। এটাও এক ধরনের অপরাধ। আমি এরও নিন্দা জানাই।
যেসব জায়গায় অপরাধ হয়েছে বিরোধী দল সেসব জায়গা সফর করেছে, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছে। ফিরে এসে বলছে, এ অপরাধের জন্য সরকারদলীয় লোক দায়ী। আওয়ামী লীগের লোকজন উস্কানি দিয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসন চুপ থেকেছে, যার ফলে অপরাধ সহজেই সংঘটিত হয়েছে। ভালো কথা, সরকারদলীয় লোকেরা করেছে, তো আপনাদের লোকেরা এতে বাধা দিতে পারল না কেন? নিরপরাধ প্রতিবেশীদের বাঁচানোর জন্য দু'একজন শহীদ হতে পারল না? রাজনীতি তো জনসেবা। এর চেয়ে বড় জনসেবার সুযোগ তারা আর কি পেতে পারে? সাত-আট ঘণ্টা ধরে এমন তাণ্ডব চলল। আপনারা কি ঘুমাচ্ছিলেন? পরে খবর শুনে দলীয় তদন্ত কমিটি নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় গেলেন। আর যা-ই হোক, আপনাদের এ বিচারের দায়িত্ব কে দিয়েছে? তার ক'দিন পর সরকারপ্রধান সেখানে গিয়েছেন। তিনি স্থানীয় লোকদের জড়ো করেছেন, তাদের কথা শুনেছেন। সভা করেছেন এবং সেখানেই ঘোষণা দিয়েছেন, বিরোধীদলীয় এমপির উস্কানিতে ঘটেছে ওই অপরাধ। ভালো কথা, একজন বিএনপি এমপির ছত্রছায়ায় এতবড় অপরাধ ঘটল, তো আপনার প্রশাসন ও র্যাব-পুলিশ তখন কী করছিল? তারা কি ঘুমাচ্ছিল? টিআইবির প্রধান দুস্থ অঞ্চল সফর করে রামু থেকে ঢাকায় ফিরে এসে বলেছেন, দেশের তিক্ত রাজনৈতিক বিভাজনই এ জঘন্য অপরাদের জন্য দায়ী। আমরা দূর থেকে যা দেখছি এবং শুনছি তাতে আমরা অভ্যস্ত। এসব আমাদের দেশীয় রাজনীতি ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়ে গেছে। মিডিয়ায় কিছুদিন চিল্লাচিলি্ল হবে, লেখালেখি হবে, যা হওয়ার তা-ই হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। দুই দলের টানাহ্যাঁচড়া এবং ডামাডোলের মাঝে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। আবার কোনো মওকায় নতুন করে আরও বড়, আরও ঘৃণ্য, আরও জঘন্য অপরাধ ঘটানোর অপেক্ষায় তারা দিন গুনবে। যারা ফায়দা লোটার তারা দূর থেকে মুচকি হেসে হাততালি দেবে।
এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে একজন বিজ্ঞ লোকের একটি কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে আমি আমার আজকের নিবন্ধের ইতি টানতে চাই। কথাটি অনেক দিন আগে বলেছেন পদ্মা সেতু সম্পর্কিত বিশ্বব্যাংকের আনীত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সদ্য ছুটিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি সেদিন মিডিয়ার সামনে একটি উক্তি করে ঝড় তুলেছিলেন। তার কথার মানে এরকম করা যায়, যে জাতি প্রতিবেশী দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে যত বেশি ফি চায় সে জাতি তত বেশি অসভ্য এবং অভদ্র। ড. মসিউরের মুখ থেকে ওই কথা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। পাঠকরা বলতে পারেন_ ভালো কথা, তবে ড. মসিউরের বক্তব্যের সঙ্গে রামুর ঘটনার সম্পর্ক কী? প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই সত্যি, তবে পরোক্ষ একটি যোগসাজশ আছে বৈকি। এখনই সেটা খোলসা করে বলছি। আজ এই মুহূর্তে সাবেক সচিব সাহেবের কথার সঙ্গে আরেকজন বিদেশি রাষ্ট্রনায়কের একটি কথা মনে পড়ছে। পাঠকদের সঙ্গে সে কথাটিও শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। সত্তর দশকের শেষ দিকে অথবা আশির দশকের গোড়ার দিকে স্বাধীনতার দাবিতে কানাডার কুইবেক প্রদেশে গণভোটের প্রাক্কালে সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো যে কথা বলেছিলেন তার মর্মার্থ দাঁড়ায় এরকম, যে জাতি তার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যত খারাপ ব্যবহার করে সে জাতি তত বেশি অসভ্য এবং অভদ্র। এবার পাঠকরা বিবেচনা করুন আজকের প্রেক্ষাপটে কার কথা বেশি মূল্যবান এবং কার কথা বেশি গ্রহণযোগ্য_ ড. মসিউর রহমানের না পিয়েরে ট্রুডোর?
আবু এনএম ওয়াহিদ : অধ্যাপক টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; এডিটর জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ
awahid2569@gmail.com
No comments