সর্বাগ্রে দরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি- পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদে রদবদল
পুলিশের কাছে রাইফেলের অবৈধ গুলি পাওয়া যায়। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের পুলিশ সহযোগিতা ও প্রশ্রয় দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। চাঁদাবাজির অভিযোগ তো অহরহ পাওয়া যায়।
এ অবস্থায় অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ও দৃষ্টান্তস্থানীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা যখন জরুরি, তখন দেখা গেল পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদে রদবদলই যেন বড় ব্যাপার হয়ে উঠেছে। এসব রদবদলে যে পুলিশের দক্ষতা ও জবাবদিহি বাড়বে, তার নিশ্চয়তা কী?
সব চাকরিতেই বদলি একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যখন একসঙ্গে ছয়জন উপমহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত শনিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এসব বদলির তালিকা অনেক আগে থেকেই মন্ত্রণালয়ের টেবিলে টেবিলে ঘুরছিল। এ তালিকা কয়েকবার সংশোধনও করা হয়। এসব বদলির পেছনে তদবির ও দেনদরবার কাজ করেছে—এটা পরিষ্কার। অর্থাৎ, এই বড় ধরনের উদ্যোগের পেছনে কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছিল না; থাকলে প্রতিটি বদলির বিবেচ্য বিষয়গুলো অন্তত সামনে আনা হতো। তা না করায় বদলির ব্যাপারটি হয়ে গেছে মূলত কিছু ব্যক্তির তুষ্টিসাধন।
পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পদ ও পদের মর্যাদাও ক্ষেত্রবিশেষে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাড়ছে না দক্ষতা। খুন, ডাকাতি, গুম ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার মতো ভয়াবহ ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। চাঞ্চল্যকর খুন ও ডাকাতির কিছু ঘটনায় আপাতদৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টতাহীন কিছু ব্যক্তিকে ধরে এনে মামলার আসামি বানানোর মতো হাস্যকর ঘটনাও ঘটছে। এভাবে মানুষের চক্ষুধোলাইয়ের চেষ্টা সব সময় হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়।
পুলিশের মধ্যে অনেক দক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। এসব কর্মকর্তা ও কর্মীদের ভালো কাজের যথার্থ মূল্যায়ন করে দায়িত্বশীল পদে বদলি করা জরুরি। উদ্দেশ্যহীন বদলি কেবল অদক্ষতার বোঝা বাড়ায়। সেদিকে না গিয়ে বরং সর্বাগ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকার। পুলিশ বিভাগের দক্ষতা বাড়াতে এদিকে মনোযোগ দেওয়া হোক।
সব চাকরিতেই বদলি একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যখন একসঙ্গে ছয়জন উপমহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৫১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত শনিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এসব বদলির তালিকা অনেক আগে থেকেই মন্ত্রণালয়ের টেবিলে টেবিলে ঘুরছিল। এ তালিকা কয়েকবার সংশোধনও করা হয়। এসব বদলির পেছনে তদবির ও দেনদরবার কাজ করেছে—এটা পরিষ্কার। অর্থাৎ, এই বড় ধরনের উদ্যোগের পেছনে কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছিল না; থাকলে প্রতিটি বদলির বিবেচ্য বিষয়গুলো অন্তত সামনে আনা হতো। তা না করায় বদলির ব্যাপারটি হয়ে গেছে মূলত কিছু ব্যক্তির তুষ্টিসাধন।
পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পদ ও পদের মর্যাদাও ক্ষেত্রবিশেষে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাড়ছে না দক্ষতা। খুন, ডাকাতি, গুম ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার মতো ভয়াবহ ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। চাঞ্চল্যকর খুন ও ডাকাতির কিছু ঘটনায় আপাতদৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টতাহীন কিছু ব্যক্তিকে ধরে এনে মামলার আসামি বানানোর মতো হাস্যকর ঘটনাও ঘটছে। এভাবে মানুষের চক্ষুধোলাইয়ের চেষ্টা সব সময় হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়।
পুলিশের মধ্যে অনেক দক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। এসব কর্মকর্তা ও কর্মীদের ভালো কাজের যথার্থ মূল্যায়ন করে দায়িত্বশীল পদে বদলি করা জরুরি। উদ্দেশ্যহীন বদলি কেবল অদক্ষতার বোঝা বাড়ায়। সেদিকে না গিয়ে বরং সর্বাগ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকার। পুলিশ বিভাগের দক্ষতা বাড়াতে এদিকে মনোযোগ দেওয়া হোক।
No comments