গুজরাট দাঙ্গায় কোদনানির ২৮ বছর কারাদণ্ড
ভারতের গুজরাটের দাঙ্গায় জড়িত থাকার দায়ে ভারতীয় জনতা দলের (বিজেপি) সাবেক মন্ত্রী মায়া কোদনানিকে ২৮ বছর এবং হিন্দু কট্টরপন্থী বজরং দলের সাবেক প্রধান বাবু বজরঙ্গকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দোষী সাব্যস্ত অন্য ৩০ জনকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আহমেদাবাদ জেলার বিশেষ আদালত এই রায় দেন। এর আগে গত বুধবার আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
কোদনানি গুজরাটের নারোদা এলাকার বর্তমান এমপি। রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কোদনানি ওই এলাকা থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আহমেদাবাদের উপকণ্ঠে নারোদা পাটিয়া এলাকায় ৯৭ জন মুসলিমকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। ২০০২ সালে সবরমতি এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ জন হিন্দু পুণ্যার্থী মারা যাওয়ার পর পরই গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। মুসলিম সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে সন্দেহ করে হিন্দু চরমপন্থীরা গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমদের ওপর হামলে পড়ে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর হিসাবে দাঙ্গায় দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা যায়। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল মুসলিম। ২০০৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত এক তদন্তে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে ২০০৮ সালে গুজরাট রাজ্য সরকার পরিচালিত আরেকটি তদন্তে দাবি করা হয়, ষড়যন্ত্র করে সবরমতি ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে। গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে দাঙ্গা প্রতিরোধের চেষ্টা না করার অভিযোগ রয়েছে। তবে ২০০১ সাল থেকে রাজ্যের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। নারোদা পাটিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালের আগস্টে ৬২ জনের বিচার শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। বিচার চলাকালে অভিযুক্তদের একজন মারা যায়। অন্য ৬১ জনের মধ্যে ৩২ জনকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেন। আর অন্য ২৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। সূত্র : পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কোদনানি গুজরাটের নারোদা এলাকার বর্তমান এমপি। রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কোদনানি ওই এলাকা থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আহমেদাবাদের উপকণ্ঠে নারোদা পাটিয়া এলাকায় ৯৭ জন মুসলিমকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। ২০০২ সালে সবরমতি এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ জন হিন্দু পুণ্যার্থী মারা যাওয়ার পর পরই গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। মুসলিম সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে সন্দেহ করে হিন্দু চরমপন্থীরা গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমদের ওপর হামলে পড়ে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর হিসাবে দাঙ্গায় দুই হাজারেরও বেশি লোক মারা যায়। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল মুসলিম। ২০০৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত এক তদন্তে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে ২০০৮ সালে গুজরাট রাজ্য সরকার পরিচালিত আরেকটি তদন্তে দাবি করা হয়, ষড়যন্ত্র করে সবরমতি ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে। গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে দাঙ্গা প্রতিরোধের চেষ্টা না করার অভিযোগ রয়েছে। তবে ২০০১ সাল থেকে রাজ্যের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। নারোদা পাটিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালের আগস্টে ৬২ জনের বিচার শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। বিচার চলাকালে অভিযুক্তদের একজন মারা যায়। অন্য ৬১ জনের মধ্যে ৩২ জনকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেন। আর অন্য ২৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। সূত্র : পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments