নারায়ণগঞ্জে ব্লু-মুন উৎসব ॥ শীতলক্ষ্যা তীরে নীল জ্যোৎস্নায় অবগাহন হাজারো মানুষের
ব্লু-মুন বা নীল চাঁদ। নীল পূর্ণিমা। নীল জ্যোৎস্না উপভোগ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫নং সারঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ভিড় করেছিল চাঁদপ্রেমী দর্শনার্থীরা। নীল চাঁদকে বরণ করে নেয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
নদীর তীরে ঢেউয়ের শব্দের তালে তালে সঙ্গীতের মূর্ছনায় নীল জ্যোৎস্নায় গোসল করে বিনোদন পিপাসু দর্শনার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বাড়তে থাকে ভিড়। রাত যত হচ্ছিল দর্শনার্থীদের আগমন তত বাড়ছিল। নীল চাঁদ বরণ উৎসব সরাসরি সম্প্রচার করতে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরাও এসে জড়ো হন। শীতলক্ষ্যা নদীর অন্যরকম এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আয়োজকরা জানিয়েছে, রাত ১২টা পর্যন্ত তারা নীল চাঁদকে দেখবে। এরপরও যতি দর্শনার্থী থাকে তাহলে তারা রাত ১২টার পর থাকবে। দর্শনার্থীরা টেলিস্কোপের মাধ্যমে নীল চাঁদকে দেখার সুযোগ পেয়েছিল।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫নং ঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্লু-মুন উৎসব আয়োজন করে বিজ্ঞান সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্ট ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এই নীল চাঁদ উৎসবের আয়োজন করে।
উৎসবকে ঘিরে নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ’র সদ্য বাঁধানো রাস্তায় সাজানো ছিল ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচটি টেলিস্কোপ। চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্য আরও স্পষ্ট আরও কাছে চলে আসে টেলিস্কোপে।
চাঁদ দেখতে আসা শহরের খানপুর এলাকার বাসিন্দা পায়েল চৌধুরী জানান, অসাধারণ নীল চাঁদের সৌন্দর্য। কেউ না দেখলে তা উপলব্ধি করতে পারবে না। আর টেলিস্কোপে নীল চাঁদের সৌন্দর্য দেখার মজাই আলাদা।
শহরের জামতলার বাসিন্দা গৃহবধূ জান্নাত আরা টুইংকেল জানান, নীল চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পরিবার সবাইকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসেছি। চাঁদ তো দেখি। কিন্তু নীল চাঁদ দেখার মজাটা একটু অন্যরকম। সেই সঙ্গে চাঁদকে ঘিরের সঙ্গীতের মূর্ছনা সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি জানান, উৎসবে স্থানীয় সাংস্কৃতিককর্মীদের অংশগ্রহণে বসবে কবিতা ও গানে জোছনা বন্দনার আসর। ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে দেখানও হবে চাঁদে মানুষের প্রথম পদার্পণ বিষয়ে তথ্যচিত্র। এই আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব (সদ্য প্রয়াত) নীল আর্মস্ট্রংকে। চাঁদ নিয়ে নানান প্রশ্ন আলোচিত হবে এই অনুষ্ঠানে। যেমনÑ মা তার শিশুকে যতই বলুন না কেন, ‘আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।’ আসলে কিন্তু প্রতিবছরই পৃথিবী থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে!
‘নীল জোছনা’ উপভোগ করতে নদীর পারে কেনÑ এই প্রশ্নের উত্তরে উৎসবের উদ্যোক্তা আসিফ বলেন, ‘মানব সভ্যতার বীজও কি নদীর তীরে নয়? ইজিয়ান সাগরের পারে গড়ে ওঠা আয়োনীয় আবেগকেই তো আমরা বয়ে চলছি। নদী ছিল বলেই তো পিথাগোরাস বুঝতে পেরেছিলেন, পৃথিবীটা সমতল কোন পেট নয়, আসলে এ এক গোলক। নীল চাঁদ দেখতে সেই প্রাচীন আবেগকেই অনুভব করতে চায় মানব মন। নীল চাঁদ দেখতে তাই নীল তাঁবুর নিচে নদীর পারই নৈসর্গিক প্লাটফর্ম।’
এ সময় কল্পবিজ্ঞান লেখক ও ডিসকাশন প্রজেক্টের প্রেস মুখপাত্র শরীফ উদ্দিন সবুজ জানান, ‘যে মাসে দুটি পূর্ণিমা থাকে সে মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমাটিকে বলে ব্লু-মুন। যদিও ব্লু-মুনে চাঁদ নীল থাকে না। প্রতি পৌনে তিন বছর পর পর ব্লু-মুন দেখা যায়। এ ধরনের আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানের দিকে আগ্রহী করে তোলে। ডিসকাশন প্রজেক্ট ধারাবাহিকভাবে বিজ্ঞানবিষয়ক নানা আয়োজন করে যাচ্ছে তরুণদের বিজ্ঞানের দিকে আগ্রহী করে তুলতে।’
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫নং ঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্লু-মুন উৎসব আয়োজন করে বিজ্ঞান সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্ট ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এই নীল চাঁদ উৎসবের আয়োজন করে।
উৎসবকে ঘিরে নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ’র সদ্য বাঁধানো রাস্তায় সাজানো ছিল ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচটি টেলিস্কোপ। চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্য আরও স্পষ্ট আরও কাছে চলে আসে টেলিস্কোপে।
চাঁদ দেখতে আসা শহরের খানপুর এলাকার বাসিন্দা পায়েল চৌধুরী জানান, অসাধারণ নীল চাঁদের সৌন্দর্য। কেউ না দেখলে তা উপলব্ধি করতে পারবে না। আর টেলিস্কোপে নীল চাঁদের সৌন্দর্য দেখার মজাই আলাদা।
শহরের জামতলার বাসিন্দা গৃহবধূ জান্নাত আরা টুইংকেল জানান, নীল চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পরিবার সবাইকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসেছি। চাঁদ তো দেখি। কিন্তু নীল চাঁদ দেখার মজাটা একটু অন্যরকম। সেই সঙ্গে চাঁদকে ঘিরের সঙ্গীতের মূর্ছনা সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি জানান, উৎসবে স্থানীয় সাংস্কৃতিককর্মীদের অংশগ্রহণে বসবে কবিতা ও গানে জোছনা বন্দনার আসর। ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে দেখানও হবে চাঁদে মানুষের প্রথম পদার্পণ বিষয়ে তথ্যচিত্র। এই আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব (সদ্য প্রয়াত) নীল আর্মস্ট্রংকে। চাঁদ নিয়ে নানান প্রশ্ন আলোচিত হবে এই অনুষ্ঠানে। যেমনÑ মা তার শিশুকে যতই বলুন না কেন, ‘আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।’ আসলে কিন্তু প্রতিবছরই পৃথিবী থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে!
‘নীল জোছনা’ উপভোগ করতে নদীর পারে কেনÑ এই প্রশ্নের উত্তরে উৎসবের উদ্যোক্তা আসিফ বলেন, ‘মানব সভ্যতার বীজও কি নদীর তীরে নয়? ইজিয়ান সাগরের পারে গড়ে ওঠা আয়োনীয় আবেগকেই তো আমরা বয়ে চলছি। নদী ছিল বলেই তো পিথাগোরাস বুঝতে পেরেছিলেন, পৃথিবীটা সমতল কোন পেট নয়, আসলে এ এক গোলক। নীল চাঁদ দেখতে সেই প্রাচীন আবেগকেই অনুভব করতে চায় মানব মন। নীল চাঁদ দেখতে তাই নীল তাঁবুর নিচে নদীর পারই নৈসর্গিক প্লাটফর্ম।’
এ সময় কল্পবিজ্ঞান লেখক ও ডিসকাশন প্রজেক্টের প্রেস মুখপাত্র শরীফ উদ্দিন সবুজ জানান, ‘যে মাসে দুটি পূর্ণিমা থাকে সে মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমাটিকে বলে ব্লু-মুন। যদিও ব্লু-মুনে চাঁদ নীল থাকে না। প্রতি পৌনে তিন বছর পর পর ব্লু-মুন দেখা যায়। এ ধরনের আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানের দিকে আগ্রহী করে তোলে। ডিসকাশন প্রজেক্ট ধারাবাহিকভাবে বিজ্ঞানবিষয়ক নানা আয়োজন করে যাচ্ছে তরুণদের বিজ্ঞানের দিকে আগ্রহী করে তুলতে।’
No comments