বইয়ের পোকা
পদ্মাতে নতুন পানির শোরগোল পড়ে গেছে। পদ্মা নিজেকে বিস্তীর্ণ করেছে, যে জমিগুলো কোনো প্রকারে মাথা জাগিয়ে রোদ পোহানো কুমিরের মতো সূর্যের তলে নিজেকে প্রকাশ করেছিল, সেগুলো আবার ঢেকে দিচ্ছে; কিন্তু ভাসিয়ে নিচ্ছে, আর দুই ধারের দুই দিগন্ত স্পর্শ করবার ব্যাকুলতা নিয়ে সে মুহূর্তে-মুহূর্তে নিজের সবল দেহ প্রসারিত করছে, ফুলে-ফুলে গর্জে-গর্জে হিংস্র ঔদার্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ওধারে ঘোলাটে আকাশে কেমন হাওয়া। থেকে-থেকে সে হাওয়া এত প্রবল হয়ে ওঠে যে মনিরুদ্দিনের ঘাসি-নৌকাটি কাত হয়ে ওঠে। হাল ধরেছে সে নিজেই, মাঝি দুটো ছইয়ের এধারে উবু হয়ে বসে রাতের রান্নার ব্যবস্থা করছে। ছইয়ের ভেতরে ওদিকটায় দুটি প্রাণী—স্বামী আর স্ত্রী; তাঁরা যাত্রী। কলকাতা থেকে আসছেন তাঁরা, সম্ভবত ধনী। বেশভূষা আর চেহারা দেখে তাই মনে হয়। মাঝি দুটো আড়চোখে কখনো-সখনো তাকিয়ে দেখে। দেখে তাঁদের লোভ হয়। হয়তো সৌন্দর্য দেখার লোভ বা ধনীকে দেখার লোভ: একবার দেখে সাধ মেটে না। পরক্ষণেই আবার তাকাতে হয়।
আলোচিত একটি গল্পের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে গল্পটি ও এর লেখকের নাম কী?
আলোচিত একটি গল্পের শুরুর অংশ এটি। বলতে হবে গল্পটি ও এর লেখকের নাম কী?
No comments