বিএনপির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ॥ দুদিনের কর্মসূচী
আজ ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের এ দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি দু’দিনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচী অনুযায়ী আজ ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং
একইভাবে দেশব্যাপী জেলা- উপজেলাসহ সকল ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিশেষ মোনাজাত করবেন। শুক্রবার দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশব্যাপী বিএনপির জেলা, মহানগর, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিটগুলো স্ব স্ব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন এবং যথাসময়ে জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে বিদেশে অবস্থানরত দলের সকল সদস্য, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, দেশের এক ক্রান্তিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়। যখন আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করতে তৎপর, যখন দেশের তৎকালীন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী স্বাধীনতাত্তোর তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় কর্তৃত্বমূলক শাসন জারি করে মানুষের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়, যখন হত্যা ও খুন রাজনীতির জাতীয় জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়, মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা যখন চরমভাবে বিপন্ন ঠিক সেই অরাজককালে সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের ফল রাজনৈতিক অঙ্গনে আবির্ভূত হন জাতীয়তাবাদী নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অর্জিত স্বাধীনতাকে কেউ যাতে বিপন্ন করতে না পারে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কোনো অপশক্তি ধ্বংস করতে না পারে, সেই দৃঢ়প্রত্যয় নিয়েই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। খালেদা জিয়া তাঁর বাণীতে বর্তমানে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে দাবি করে বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ে, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিএনপি আবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে আমার বিশ্বাস। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার যে নীলনকশা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাকে প্রতিহত করতে সবাইকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। আজকের এই শুভ দিনে সেই দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণের জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাব।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বাণী দিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দু’দিনের কর্মসূচী অনুযায়ী শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, আসম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন আহমদ, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা প্রমুখ। এ ছাড়াও সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ফজলুর রহমান পটল, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক।
সভায় বক্তারা বলেন, দুর্নীতির কারণে সমগ্র বিশ্বের আঙ্গুল এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। দুর্নীতিতে প্রধানমন্ত্রীর পরিবার এবং তার উপদেষ্টারা জড়িত থাকার অভিযোগ করে নৈতিক কারণে সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে বিদেশে অবস্থানরত দলের সকল সদস্য, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, দেশের এক ক্রান্তিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়। যখন আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করতে তৎপর, যখন দেশের তৎকালীন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী স্বাধীনতাত্তোর তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় কর্তৃত্বমূলক শাসন জারি করে মানুষের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়, যখন হত্যা ও খুন রাজনীতির জাতীয় জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়, মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা যখন চরমভাবে বিপন্ন ঠিক সেই অরাজককালে সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের ফল রাজনৈতিক অঙ্গনে আবির্ভূত হন জাতীয়তাবাদী নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অর্জিত স্বাধীনতাকে কেউ যাতে বিপন্ন করতে না পারে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কোনো অপশক্তি ধ্বংস করতে না পারে, সেই দৃঢ়প্রত্যয় নিয়েই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। খালেদা জিয়া তাঁর বাণীতে বর্তমানে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে দাবি করে বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ে, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিএনপি আবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে আমার বিশ্বাস। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার যে নীলনকশা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাকে প্রতিহত করতে সবাইকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। আজকের এই শুভ দিনে সেই দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণের জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাব।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বাণী দিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দু’দিনের কর্মসূচী অনুযায়ী শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, আসম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন আহমদ, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা প্রমুখ। এ ছাড়াও সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ফজলুর রহমান পটল, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক।
সভায় বক্তারা বলেন, দুর্নীতির কারণে সমগ্র বিশ্বের আঙ্গুল এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। দুর্নীতিতে প্রধানমন্ত্রীর পরিবার এবং তার উপদেষ্টারা জড়িত থাকার অভিযোগ করে নৈতিক কারণে সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
No comments