বিজ্ঞানীদের দাবি-আধুনিক মানুষের সবচেয়ে কাছের প্রজাতি ডেনিসোভান
আধুনিক মানুষের জিন নকশার সঙ্গে প্রায় ৮০ হাজার বছরের আগেকার গুহাবাসী এক মানুষের জিন নকশার প্রায় হুবহু মিল পাওয়া গেছে। বর্তমান সময়ের মানুষের মতোই বাদামি রঙের চোখ, চুল ও ত্বক ছিল গুহাবাসী ওই মানুষের। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জার্মান বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, প্রায় ৩০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া নিয়ানডারটাল প্রজাতির মানুষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেই বর্তমান মানবপ্রজাতির সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে। বর্তমান মানবপ্রজাতি হোমোসেপিয়েন্সের সবচেয়ে কাছের প্রজাতি বিবেচনা করা হতো নিয়ানডারটালদের। ২০১০ সালে সাইবেরিয়ার ডেনিসোভা গুহায় প্রাচীন মানুষের একটি আঙুলের হাড় খুঁজে পান রাশিয়ার এক বিজ্ঞানী। জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর ইভল্যুশনারি অ্যানথ্রোপলজির বিজ্ঞানীদের কাছে সেটি পাঠিয়ে দেন তিনি। প্রাথমিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, এটি ৪১ হাজার বছর আগের গুহাবাসী এক মেয়ের আঙুলের হাড়। গবেষণার পরবর্তী পর্যায়ে হাড়টি ৮০ হাজার বছর পুরনো বলে চিহ্নিত করেন তাঁরা। নিয়ানডারটালদের একই সময়ের আদিম মানুষের ভিন্ন প্রজাতি দাবি করা হয় তাদের। ডেনিসোভা গুহার নাম অনুযায়ী প্রজাতির নাম দেওয়া হয় ডেনিসোভান। তবে এখন ডেনিসোভান প্রজাতির সঙ্গে হোমোসেপিয়েন্স প্রজাতির সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।
নিয়ানডারটাল ও বর্তমান মানবপ্রজাতির ১১টি জিন নকশার সঙ্গে ডেনিসোভান মেয়েটির জিন নকশার তুলনা করেন বিজ্ঞানীরা। জার্মান গবেষণাদলের প্রধান ডক্টর ম্যাথিয়াস মেয়ার বলেন, 'প্রত্যাশার চেয়েও বেশি শুদ্ধ জিন নকশা পেয়েছি আমরা। এমনকি বাবা-মায়ের কাছ থেকে ভিন্ন যে দুই জোড়া ক্রোমোজোম সে পেয়েছিল, সেগুলোর পার্থক্যও বের করতে পেরেছি।' আধুনিক মানুষের সঙ্গে ডেনিসোভান জিনের শুধু একটি ডিএনএতে পার্থক্য পাওয়া গেছে। আধুনিক মানুষের মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, চোখ ও চামড়ার গঠনে ভূমিকা রয়েছে এই ডিএনএর।
বিজ্ঞানীরা জানান, বর্তমানে পাপুয়া নিউগিনির মানুষদের জিন বৈশিষ্ট্যের অন্তত ৩ শতাংশ ডেনিসোভানদের কাছ থেকে এসেছে। চীনের হান ও ডাই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গেও ডেনিসোভানদের জিনগত সাদৃশ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা ডেনিসোভানদের খুব বেশি একটা জিনগত পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে তাঁদের ধারণা হচ্ছে, এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও ডেনিসোভান প্রজাতির লোকসংখ্যা ছিল খুবই কম। সূত্র : বিবিসি।
নিয়ানডারটাল ও বর্তমান মানবপ্রজাতির ১১টি জিন নকশার সঙ্গে ডেনিসোভান মেয়েটির জিন নকশার তুলনা করেন বিজ্ঞানীরা। জার্মান গবেষণাদলের প্রধান ডক্টর ম্যাথিয়াস মেয়ার বলেন, 'প্রত্যাশার চেয়েও বেশি শুদ্ধ জিন নকশা পেয়েছি আমরা। এমনকি বাবা-মায়ের কাছ থেকে ভিন্ন যে দুই জোড়া ক্রোমোজোম সে পেয়েছিল, সেগুলোর পার্থক্যও বের করতে পেরেছি।' আধুনিক মানুষের সঙ্গে ডেনিসোভান জিনের শুধু একটি ডিএনএতে পার্থক্য পাওয়া গেছে। আধুনিক মানুষের মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, চোখ ও চামড়ার গঠনে ভূমিকা রয়েছে এই ডিএনএর।
বিজ্ঞানীরা জানান, বর্তমানে পাপুয়া নিউগিনির মানুষদের জিন বৈশিষ্ট্যের অন্তত ৩ শতাংশ ডেনিসোভানদের কাছ থেকে এসেছে। চীনের হান ও ডাই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গেও ডেনিসোভানদের জিনগত সাদৃশ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা ডেনিসোভানদের খুব বেশি একটা জিনগত পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে তাঁদের ধারণা হচ্ছে, এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও ডেনিসোভান প্রজাতির লোকসংখ্যা ছিল খুবই কম। সূত্র : বিবিসি।
No comments