ফিরে দেখা
চ্যানেলের গাড়িই ভরসা শরীফুল ইসলাম ॥ ১৭ জুলাই বিকেল ৪টা। সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্যান্টিনে মধ্যাহ্নভোজের পর বিভিন্ন পত্রিকার বেশ ক’জন রিপোর্টার অফিসে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কেউ সেখান থেকে বের হতে পারছেন না। রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।
কিভাবে অফিসে যাবেন তা নিয়ে সবাই টেনশনে। এমন সময় ডিআরইউ হলরুমে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ ক’টি টিভি চ্যানেলের গাড়ি তাদের রিপোর্টারদের নেয়ার জন্য সেখানে আসে। এ সময় ক্যান্টিনে অপেক্ষমাণ একজন পত্রিকার রিপোর্টার বলেন, বৃষ্টি থামার কোন লক্ষণ নেই তাই টিভি চ্যানেলের গাড়িই আজ ভরসা। এই বলে তিনি সবাইকে টিভি চ্যানেলের গাড়িতে উঠতে পরামর্শ দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে টিভি চ্যানেলের রিপোর্টারদের সঙ্গে একেক গাড়িতে ৩-৪ জন করে পত্রিকার রিপোর্টার নিজ নিজ রুট অনুসারে বিভিন্ন চ্যানেলের গাড়িতে উঠে পড়েন।
তিনি এখনও ‘তরুণ’
তৌহিদুর রহমান ॥ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি রাজধানীতে এক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। অনুষ্ঠানে যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা সবাই প্রবীণ। প্রধান অতিথিও প্রবীণ। সেমিনারের শেষ পর্যায়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য নাম ঘোষণা করা হলো প্রধান অতিথির। উপস্থাপক অনুরোধ করলেন প্রধান অতিথিকে টেবিলে বসেই বক্তব্য দেয়ার জন্য। যেন প্রধান অতিথির কোন কষ্ট না হয়। কিন্তু বাদ সাধলেন উপদেষ্টা। তিনি জানালেন, টেবিলে বসে নয়, মঞ্চেই দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেবেন। প্রায় চল্লিশ মিনিট তিনি দাঁড়িয়েই কথা বললেন। উপদেষ্টা বললেন, ‘বয়সে প্রবীণ হলেও আমি মনেপ্রাণে নবীন।’ উপদেষ্টার বক্তব্য শেষে উপস্থিত অনেকেই মন্তব্য করলেন, প্রকৃতপক্ষেই উপদেষ্টা প্রমাণ করলেন তিনি এখনও তরুণ।
অটোরিকশাচালকদের কা-
নিখিল মানখিন ॥ ঈদের আগ পর্যন্ত ইচ্ছেমতো ভাড়া নিতে পারব। ঈদের পর সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে। নির্ধারিত হবে নতুন ভাড়া। সরকারের এমন আশ্বাসে ধর্মঘট তুলে নিয়েছি আমরা। বুক ফুলিয়ে এমন কথা বলছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোঃ ওসমান। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিএনজি ধর্মঘট তুলে নেয়ার পর দিন মগবাজার সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। অটোরিকশাচালকের কথার প্রতিবাদ জানালেন কয়েকজন লোক। তাঁরা বলেন, ইচ্ছেমতো ভাড়া নেয়ার অধিকার অটোরিকশাচালকদের দেয়া হয়নি। এমনিতেই মিটার ব্যবহার করা হয় না। বাড়তি ভাড়ার শিকার হন সাধারণ মানুষ। মালিক ও চালকদের মধ্যে দৈনিক ভাড়া নিয়ে ঝামেলা থাকতে পারে। তার দায়ভার সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাড়তি ভাড়া আদায়কারী চালকদের আইনের হাতে তুলে দেয়া হবে। লোকজনের এমন হুমকিতে ভয় পেয়ে গেলেন চালক। তাড়াতাড়ি অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেন তিনি।
No comments