বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ- স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্যের শিকার গরিব ও গ্রামের মানুষ by শিশির মোড়ল
বাংলাদেশে ধনী পরিবারের শিশুদের বেঁচে থাকার হার দরিদ্র পরিবারের শিশুদের চেয়ে বেশি। প্রসবের সময় দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা গ্রামের চেয়ে শহরের মায়েরা বেশি পান। আর নিরক্ষর মায়ের চেয়ে প্রসব-পূর্ব সেবা বেশি পান শিক্ষিত মায়েরা। এ রকম বৈষম্য আরও আছে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের এসব বৈষম্য তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান ২০১২’ প্রতিবেদনে ৮৬টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বৈষম্যের তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, শিক্ষার স্তর, পেশা, পরিবারের আয়, অবস্থান, লিঙ্গ, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়—এসব আর্থসামাজিক বিষয় বৈষম্য তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
আগস্ট মাসে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবেদনে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহার, প্রসব-পূর্ব স্বাস্থ্যসেবা, প্রসবের সময় দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতি, এক বছর বয়সী শিশুদের ডিটিপি-৩ টিকা প্রাপ্তি, পাঁচ বছরের কম বয়সী খর্বাকৃতির শিশুদের হার এবং পাঁচ বছরের শিশুদের মৃত্যুহার—এই ছয়টি ক্ষেত্রে বৈষম্য কী হচ্ছে, তার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের বৈষম্য নিয়ে গবেষণা করছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) প্রজনন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর বিধানকৃষ্ণ সরকার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সারা দেশে সমানভাবে জরুরি প্রসূতিসেবা কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ সেবা কম পাচ্ছে। একইভাবে দরিদ্র মানুষ অর্থ দিয়ে বেসরকারি সেবা কিনতে পারে না।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে না। সরকারি সেবার ক্ষেত্রে ধনী বা দরিদ্র, গ্রাম বা শহর, নিরক্ষর বা শিক্ষিত সবাই সমান। তিনি বলেন, কিছু মানুষ নানা কারণে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার বাইরে থেকে যাচ্ছে। কারা বাদ পড়ছে, কিছু ক্ষেত্রে সে হিসাবও নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা ধনীরা পায় বেশি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের সমাজের সবচেয়ে ধনিক শ্রেণীর এক বছর বয়সী ৯৫ শতাংশ শিশু ডিপিটি-৩ টিকা পায়। সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণীর শিশুদের ৯২ শতাংশ এই টিকা পায়। ধনিক শ্রেণীর পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৬ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে এই হার দ্বিগুণের বেশি, ৫৪ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে) ধনিক শ্রেণীতে ৪৩ আর দরিদ্র শ্রেণীতে ৮৫।
নিরাপদ প্রসব এবং প্রসূতি ও নবজাতকের সুস্থতার জন্য গর্ভবতী অবস্থায় চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে দরিদ্র শ্রেণীর মাত্র ৭ শতাংশ গর্ভবতী চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। ধনিক শ্রেণীর মধ্যে এই হার ৪৭ শতাংশ। একইভাবে মাত্র ৫ শতাংশ দরিদ্র প্রসূতি প্রসবকালে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান। আর ধনী প্রসূতিদের ৫১ শতাংশ এই সহায়তা পান। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধনী ও দরিদ্রের পার্থক্য কিছু কম। জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের হার দরিদ্র পরিবারে ৪৭ শতাংশ, ধনী পরিবারে ৪৯ শতাংশ।
বৈষম্যের শিকার গ্রাম: স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ এখনো পিছিয়ে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গ্রামের মাত্র ১৩ শতাংশ মা প্রসবকালে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান। শহরে এই হার ৩৭ শতাংশ। চারবার প্রসব-পূর্ব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন গ্রামের ১৪ শতাংশ গর্ভবতী। শহরে এই হার ৩৭ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের হার গ্রামে ৪৬ শতাংশ, শহরে ৫২ শতাংশ।
বাসস্থানের অবস্থানের কারণে শিশুরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে) গ্রামে ৭৬, আর শহরে ৬২। গ্রামের পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪৫ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। শহরে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে এই হার ৩৬ শতাংশ। গ্রামে এক বছর বয়সী ৯১ শতাংশ শিশু ডিপিটি-৩ টিকা পায়। শহরে শিশুদের ৯২ শতাংশ এই টিকা পায়।
নিরক্ষরতা বাধা হয়ে আছে: নিরক্ষরতা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, শিক্ষিত মা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিরক্ষর মায়ের চেয়ে এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে নিরক্ষর ও মাধ্যমিক স্তর পাস করা মায়ের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।
চারবার প্রসব-পূর্ব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান শিক্ষিত গর্ভবতী মায়েদের ৩৩ শতাংশ। অথচ নিরক্ষর মায়েদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬ শতাংশ। ৩৩ শতাংশ শিক্ষিত মা প্রসবকালে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান। নিরক্ষর মায়েদের মাত্র ৪ শতাংশ এই সুযোগ পান। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষিত ও নিরক্ষর নারীদের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। শিক্ষিত নারীদের ৪৮ শতাংশ কোনো না কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেন। নিরক্ষর নারীদের ৪৬ শতাংশ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
মা নিরক্ষর হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর। ৯৫ শতাংশ শিক্ষিত মায়ের শিশু ডিটিপি-৩ টিকা পায়। নিরক্ষর মায়েদের মধ্যে এই হার ৮৫ শতাংশ। ৫১ শতাংশ নিরক্ষর মায়ের শিশু বয়সের তুলনায় ওজন কম হয়। মা শিক্ষিত হলে সেই হার কমে দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশে। শিক্ষিত মায়েদের শিশুদের মধ্যে মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে) ৫২। নিরক্ষর মায়েদের মধ্যে এই হার ৯১ শতাংশ।
বিধানকৃষ্ণ সরকার বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে, মানুষ তথ্য পায় না বলে সেবা নেয় না বা সেবাকেন্দ্রে আসে না। সে কারণে না চাইলেও কিছু বৈষম্য তৈরি হয়। তিনি বলেন, মানুষকে তথ্য দিতে হবে, সচেতন করতে হবে। মানুষ সচেতন হলেও অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্য কমে যাবে।
আগস্ট মাসে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবেদনে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহার, প্রসব-পূর্ব স্বাস্থ্যসেবা, প্রসবের সময় দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতি, এক বছর বয়সী শিশুদের ডিটিপি-৩ টিকা প্রাপ্তি, পাঁচ বছরের কম বয়সী খর্বাকৃতির শিশুদের হার এবং পাঁচ বছরের শিশুদের মৃত্যুহার—এই ছয়টি ক্ষেত্রে বৈষম্য কী হচ্ছে, তার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের বৈষম্য নিয়ে গবেষণা করছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) প্রজনন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর বিধানকৃষ্ণ সরকার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সারা দেশে সমানভাবে জরুরি প্রসূতিসেবা কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ সেবা কম পাচ্ছে। একইভাবে দরিদ্র মানুষ অর্থ দিয়ে বেসরকারি সেবা কিনতে পারে না।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে না। সরকারি সেবার ক্ষেত্রে ধনী বা দরিদ্র, গ্রাম বা শহর, নিরক্ষর বা শিক্ষিত সবাই সমান। তিনি বলেন, কিছু মানুষ নানা কারণে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার বাইরে থেকে যাচ্ছে। কারা বাদ পড়ছে, কিছু ক্ষেত্রে সে হিসাবও নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা ধনীরা পায় বেশি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের সমাজের সবচেয়ে ধনিক শ্রেণীর এক বছর বয়সী ৯৫ শতাংশ শিশু ডিপিটি-৩ টিকা পায়। সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণীর শিশুদের ৯২ শতাংশ এই টিকা পায়। ধনিক শ্রেণীর পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৬ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে এই হার দ্বিগুণের বেশি, ৫৪ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে) ধনিক শ্রেণীতে ৪৩ আর দরিদ্র শ্রেণীতে ৮৫।
নিরাপদ প্রসব এবং প্রসূতি ও নবজাতকের সুস্থতার জন্য গর্ভবতী অবস্থায় চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে দরিদ্র শ্রেণীর মাত্র ৭ শতাংশ গর্ভবতী চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। ধনিক শ্রেণীর মধ্যে এই হার ৪৭ শতাংশ। একইভাবে মাত্র ৫ শতাংশ দরিদ্র প্রসূতি প্রসবকালে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান। আর ধনী প্রসূতিদের ৫১ শতাংশ এই সহায়তা পান। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধনী ও দরিদ্রের পার্থক্য কিছু কম। জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের হার দরিদ্র পরিবারে ৪৭ শতাংশ, ধনী পরিবারে ৪৯ শতাংশ।
বৈষম্যের শিকার গ্রাম: স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ এখনো পিছিয়ে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গ্রামের মাত্র ১৩ শতাংশ মা প্রসবকালে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান। শহরে এই হার ৩৭ শতাংশ। চারবার প্রসব-পূর্ব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন গ্রামের ১৪ শতাংশ গর্ভবতী। শহরে এই হার ৩৭ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের হার গ্রামে ৪৬ শতাংশ, শহরে ৫২ শতাংশ।
বাসস্থানের অবস্থানের কারণে শিশুরাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে) গ্রামে ৭৬, আর শহরে ৬২। গ্রামের পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪৫ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। শহরে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে এই হার ৩৬ শতাংশ। গ্রামে এক বছর বয়সী ৯১ শতাংশ শিশু ডিপিটি-৩ টিকা পায়। শহরে শিশুদের ৯২ শতাংশ এই টিকা পায়।
নিরক্ষরতা বাধা হয়ে আছে: নিরক্ষরতা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, শিক্ষিত মা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিরক্ষর মায়ের চেয়ে এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে নিরক্ষর ও মাধ্যমিক স্তর পাস করা মায়ের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে।
চারবার প্রসব-পূর্ব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান শিক্ষিত গর্ভবতী মায়েদের ৩৩ শতাংশ। অথচ নিরক্ষর মায়েদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬ শতাংশ। ৩৩ শতাংশ শিক্ষিত মা প্রসবকালে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান। নিরক্ষর মায়েদের মাত্র ৪ শতাংশ এই সুযোগ পান। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষিত ও নিরক্ষর নারীদের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। শিক্ষিত নারীদের ৪৮ শতাংশ কোনো না কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেন। নিরক্ষর নারীদের ৪৬ শতাংশ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
মা নিরক্ষর হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর। ৯৫ শতাংশ শিক্ষিত মায়ের শিশু ডিটিপি-৩ টিকা পায়। নিরক্ষর মায়েদের মধ্যে এই হার ৮৫ শতাংশ। ৫১ শতাংশ নিরক্ষর মায়ের শিশু বয়সের তুলনায় ওজন কম হয়। মা শিক্ষিত হলে সেই হার কমে দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশে। শিক্ষিত মায়েদের শিশুদের মধ্যে মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে) ৫২। নিরক্ষর মায়েদের মধ্যে এই হার ৯১ শতাংশ।
বিধানকৃষ্ণ সরকার বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে, মানুষ তথ্য পায় না বলে সেবা নেয় না বা সেবাকেন্দ্রে আসে না। সে কারণে না চাইলেও কিছু বৈষম্য তৈরি হয়। তিনি বলেন, মানুষকে তথ্য দিতে হবে, সচেতন করতে হবে। মানুষ সচেতন হলেও অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্য কমে যাবে।
No comments