সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন- নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে, যা থেকে উত্তেজনা ও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এটি একটি উদ্বেগের বিষয়।
প্রথমত, দুটি পক্ষ তৎপর হয়েছে ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগত স্বার্থে। অবশ্য চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী বলছেন, তিনি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী তৎপরতা প্রতিহত করতে আন্দোলন সংগঠিত করছেন। তাঁর প্রতিপক্ষ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফ। মাঝখানে রয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীদের ফোরাম। দুই বিবদমান পক্ষ তাদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টায় রত।
কিন্তু দেশের বৃহত্তম ও সর্বাধিক কার্যকর কনটেইনার টার্মিনালের পরিচালনার দায়িত্ব কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যথাযথ হবে, সেটা নির্ধারণ করা কোনো দলাদলি বা আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন ও বিধিবিধানগুলোই চূড়ান্ত নির্ধারক। মংলা বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অন্য সব টার্মিনাল দিয়ে গত অর্থবছর কনটেইনার ওঠানো-নামানো হয় ১২ লাখ ২১ হাজারটি। আর শুধু এনসিটির ক্ষমতা ব্যবহার করে কনটেইনার ওঠানো-নামানো সম্ভব অন্তত ১৩ লাখের বেশি। সুতরাং এই টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সর্বাধিক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব দিতে হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রীর প্রভাব খাটানোর অভিযোগগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা জরুরি।
টার্মিনালটি নির্মাণের পর প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও অপারেটর নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি মূলত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে। ২০০৯ সালে প্রথমবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল; কিন্তু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সেটা বাতিল করে। তারপর কতিপয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দফায় দফায় শিথিল করা হয়েছে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাকযোগ্যতার শর্তাবলি। প্রাথমিক বাছাইয়ের সময় সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড নামের একটি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো অসংগতির কথা উল্লেখ করে মূল্যায়ন কমিটির তিন সদস্য আপত্তি তুলেছিলেন। স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও এক চিঠিতে বলেছিলেন, ‘...এই দরদাতাকে বিশেষভাবে অনুগ্রহ করা হয়েছে।...পরে যখন আসল চুক্তির জন্য দরপত্র আসবে তখন এই অনুপযুক্ত দরদাতার জন্য জোরেশোরে তদবির শুরু হবে।’ খোদ অর্থমন্ত্রীর অভিযোগও আমলে নেওয়া হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দিতে মন্ত্রণালয় বারবার দরপত্রের শর্ত শিথিল, দলিল সংশোধন করেছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার পাঁচটি দেশি-বিদেশি কোম্পানি দরপত্র জমা দিয়েছে। এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যেন কোনো অনিয়ম না হয়, সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাই সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আরও জরুরি হলো, এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে বিবদমান পক্ষগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বন্দরের কাজে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করা।
কিন্তু দেশের বৃহত্তম ও সর্বাধিক কার্যকর কনটেইনার টার্মিনালের পরিচালনার দায়িত্ব কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যথাযথ হবে, সেটা নির্ধারণ করা কোনো দলাদলি বা আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন ও বিধিবিধানগুলোই চূড়ান্ত নির্ধারক। মংলা বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অন্য সব টার্মিনাল দিয়ে গত অর্থবছর কনটেইনার ওঠানো-নামানো হয় ১২ লাখ ২১ হাজারটি। আর শুধু এনসিটির ক্ষমতা ব্যবহার করে কনটেইনার ওঠানো-নামানো সম্ভব অন্তত ১৩ লাখের বেশি। সুতরাং এই টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সর্বাধিক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব দিতে হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রীর প্রভাব খাটানোর অভিযোগগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা জরুরি।
টার্মিনালটি নির্মাণের পর প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও অপারেটর নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি মূলত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে। ২০০৯ সালে প্রথমবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল; কিন্তু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সেটা বাতিল করে। তারপর কতিপয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দফায় দফায় শিথিল করা হয়েছে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাকযোগ্যতার শর্তাবলি। প্রাথমিক বাছাইয়ের সময় সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড নামের একটি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো অসংগতির কথা উল্লেখ করে মূল্যায়ন কমিটির তিন সদস্য আপত্তি তুলেছিলেন। স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও এক চিঠিতে বলেছিলেন, ‘...এই দরদাতাকে বিশেষভাবে অনুগ্রহ করা হয়েছে।...পরে যখন আসল চুক্তির জন্য দরপত্র আসবে তখন এই অনুপযুক্ত দরদাতার জন্য জোরেশোরে তদবির শুরু হবে।’ খোদ অর্থমন্ত্রীর অভিযোগও আমলে নেওয়া হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দিতে মন্ত্রণালয় বারবার দরপত্রের শর্ত শিথিল, দলিল সংশোধন করেছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার পাঁচটি দেশি-বিদেশি কোম্পানি দরপত্র জমা দিয়েছে। এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যেন কোনো অনিয়ম না হয়, সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাই সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আরও জরুরি হলো, এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে বিবদমান পক্ষগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বন্দরের কাজে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করা।
No comments