রং-তুলিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতি, অনন্য উপস্থাপনা- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী by মোরসালিন মিজান
এক সুতোয় গাঁথা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকে আঁকলে আলাদা করে বাংলাদেশ আঁকার প্রয়োজন হয় না। একইভাবে বাংলাদেশ আঁকা হলে আঁকা হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুকে। এ কারণেই হয়ত প্রদর্শনীর শিরোনামÑ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। বিশেষ এ প্রদর্শনী শুক্রবার চারুকলার জয়নুল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে।
জাতীয় শোক দিবস পালন পরিষদের ব্যানারে এ আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আগস্টের প্রথম দিকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর শিল্পকর্ম আহ্বান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশ নেন। নির্বাচিত এক শ’টি শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো হয়েছে গ্যালারি। ড্রইং, পেইন্টিং, স্কেচ, সিরামিক, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফিসহ হরেক মাধ্যমে কাজ করেছেন শিল্পীরা। ফলে বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে প্রদর্শনী। অধিকাংশই পোর্ট্রটে। জাতির জনকের এক একটি প্রতিকৃতি এক একটি সময়কে নির্দেশ করছে। বাঙালীর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
শেখ মুজিবকে রং তুলিতে এঁকেছেন রাসেল কান্তি দাস। একটু ভিন্নতর উপস্থাপনা এখানে। শিল্পীর ক্যানভাসে আরও কিছু ক্যানভাস আঁকা। একটির সঙ্গে অন্যটি হেলান দিয়ে আছে। পেছনের ক্যানভাস থেকে একটু একটু করে ফুটে উঠছেন বঙ্গবন্ধু। একেবারে সামনের ক্যানভাসে পূর্ণাঙ্গ অবয়বে পাওয়া যায় তাঁকে। চারুকলার শিক্ষক স্বপন কুমার সিরামিকে নিজের ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এ কাজটিও চমৎকার। পাশেই একটি ম্যুরাল। এর শিল্পী সরওয়ার জাহান। তাঁর এ ক্যানভাসে চোখ আটকে যায় যেন। ইউডার শিক্ষক শাহজাহান আহমেদ সাজিয়েছেন দুটো ক্যানভাস। একটিতে চোখের পানি মুছছেন মুজিব। অন্যটিতে সেই তিনি ধরা দিচ্ছেন প্রাণ খোলা হাসিতে। বরিশালের নবম শ্রেণীর ছাত্র অসীম চৌধুরীর ক্যানভাসটি দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। অসংখ্য ডটের সাহায্যে বঙ্গবন্ধুকে এঁকেছে সে। এ জন্য কাজ করতে হয়েছে দীর্ঘ তিন মাস। শিল্পী পলাশ বরণ বিশ্বাসের ছাপচিত্রে দেখা যায় গভীর চিন্তায় মগ্ন শেখ মুজিব। বার বার দেখা এ ছবি। এর পরও পলাশের ক্যানভাসে চোখ আটকে যায়। কারণ এ শিল্পীর উপস্থাপনাটি এক কথায় অনবদ্য। এটি জিতে নিয়েছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। দ্বিতীয় সেরা ক্যানভাসটি বিশাল মাপের। সিরামিক মাধ্যমে এখানে কাজ করেছেন শিল্পী সুমন কুমার বড়াল। একই ফ্রেমে জাতির জনকের কয়েকটি প্রতিকৃতি ব্যবহার করেছেন তিনি। এভাবে এঁকেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র। অসাধারণ এই শিল্পকর্ম দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার জিতেছে। তবে শুধু বড়রা নয়, কিশোর-কিশোরীরাও নিজেদের মতো করে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এঁকেছে। পুরস্কার জিতেছে। ছবিগুলো দেখে সত্যি চোখ জুড়িয়ে যায়। এইটুকুন বয়সে কচি হাতে তারা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে এঁকেছে। নিজের পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করেছে। এ তো কম বড় কথা নয়। অবশ্য তাদের প্রাপ্তিও অনেক। ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ছাড়াও তারা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যার নিজ হাতে সই করা সনদপত্র।
প্রদর্শনী আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মালেক সাজু জানান, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বহু বছর ধরে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে আসছে। প্রথমে এটি ধানম-ি ৩২ নম্বরে আয়োজন করা হতো। তার পর এটি চলে আসে চারুকলার জয়নুল গ্যালারিতে। জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আগামী দিনগুলোতেও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। দশ দিনব্যাপী প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
আগস্টের প্রথম দিকে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর শিল্পকর্ম আহ্বান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশ নেন। নির্বাচিত এক শ’টি শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো হয়েছে গ্যালারি। ড্রইং, পেইন্টিং, স্কেচ, সিরামিক, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফিসহ হরেক মাধ্যমে কাজ করেছেন শিল্পীরা। ফলে বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে প্রদর্শনী। অধিকাংশই পোর্ট্রটে। জাতির জনকের এক একটি প্রতিকৃতি এক একটি সময়কে নির্দেশ করছে। বাঙালীর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
শেখ মুজিবকে রং তুলিতে এঁকেছেন রাসেল কান্তি দাস। একটু ভিন্নতর উপস্থাপনা এখানে। শিল্পীর ক্যানভাসে আরও কিছু ক্যানভাস আঁকা। একটির সঙ্গে অন্যটি হেলান দিয়ে আছে। পেছনের ক্যানভাস থেকে একটু একটু করে ফুটে উঠছেন বঙ্গবন্ধু। একেবারে সামনের ক্যানভাসে পূর্ণাঙ্গ অবয়বে পাওয়া যায় তাঁকে। চারুকলার শিক্ষক স্বপন কুমার সিরামিকে নিজের ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এ কাজটিও চমৎকার। পাশেই একটি ম্যুরাল। এর শিল্পী সরওয়ার জাহান। তাঁর এ ক্যানভাসে চোখ আটকে যায় যেন। ইউডার শিক্ষক শাহজাহান আহমেদ সাজিয়েছেন দুটো ক্যানভাস। একটিতে চোখের পানি মুছছেন মুজিব। অন্যটিতে সেই তিনি ধরা দিচ্ছেন প্রাণ খোলা হাসিতে। বরিশালের নবম শ্রেণীর ছাত্র অসীম চৌধুরীর ক্যানভাসটি দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। অসংখ্য ডটের সাহায্যে বঙ্গবন্ধুকে এঁকেছে সে। এ জন্য কাজ করতে হয়েছে দীর্ঘ তিন মাস। শিল্পী পলাশ বরণ বিশ্বাসের ছাপচিত্রে দেখা যায় গভীর চিন্তায় মগ্ন শেখ মুজিব। বার বার দেখা এ ছবি। এর পরও পলাশের ক্যানভাসে চোখ আটকে যায়। কারণ এ শিল্পীর উপস্থাপনাটি এক কথায় অনবদ্য। এটি জিতে নিয়েছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। দ্বিতীয় সেরা ক্যানভাসটি বিশাল মাপের। সিরামিক মাধ্যমে এখানে কাজ করেছেন শিল্পী সুমন কুমার বড়াল। একই ফ্রেমে জাতির জনকের কয়েকটি প্রতিকৃতি ব্যবহার করেছেন তিনি। এভাবে এঁকেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র। অসাধারণ এই শিল্পকর্ম দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার জিতেছে। তবে শুধু বড়রা নয়, কিশোর-কিশোরীরাও নিজেদের মতো করে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এঁকেছে। পুরস্কার জিতেছে। ছবিগুলো দেখে সত্যি চোখ জুড়িয়ে যায়। এইটুকুন বয়সে কচি হাতে তারা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে এঁকেছে। নিজের পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করেছে। এ তো কম বড় কথা নয়। অবশ্য তাদের প্রাপ্তিও অনেক। ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ছাড়াও তারা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যার নিজ হাতে সই করা সনদপত্র।
প্রদর্শনী আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মালেক সাজু জানান, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বহু বছর ধরে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে আসছে। প্রথমে এটি ধানম-ি ৩২ নম্বরে আয়োজন করা হতো। তার পর এটি চলে আসে চারুকলার জয়নুল গ্যালারিতে। জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আগামী দিনগুলোতেও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। দশ দিনব্যাপী প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
No comments