নারী সহকর্মীকে জিম্মি করে যৌন নিপীড়নঃ গ্রেফতার ১
গোপালগঞ্জে অনিক এ্যাকোয়া ফার্মের এক নারী সহকর্মীকে জিম্মি করে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সত্ত্বাধিকারী শেখ শাহাদাত হোসেন (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ শহরের মোহাম্মদপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়ীতে হানা দিয়ে যৌন নিপীড়ন করার সময় শাহাদাতকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
এসময় পুলিশ সেখান থেকে (অনিতা বিশ্বাস ৩৬ নামের) নিপীড়নের শিকার ঐ নারীকে উদ্ধার করে। গণমাধ্যম কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলতে গেলে শাহাদাত তাতে বাধা দেন। এক পর্যায় তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেন ও আছড়ে ভেঙ্গে ফেলেন।
নিপীড়নের শিকার (অনিতা বিশ্বাস) ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, বেশি টাকা বেতন দেয়ার কথা বলে সভার কার্যবিবরণী লেখার জন্য শাহাদত হোসেন বিগত ২০০৩ সালে আমাকে তার মালিকানাধীন অনিক এ্যাকোয়া ফার্মে চাকরি দেন।
এর আগে আমি ঢাকায় বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের স্বাস্থ্য প্রকল্পে সার্ভিস প্রমোটর হিসেবে কর্মরত ছিলাম। চাকরি যোগদানের পরপরই শাহাদাতের আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে থাকে।
দেড় মাসের মাথায় ময়মনসিংহে একটি সেমিনারে যোগদানের কথা বলে আমাকে ময়মনসিংহে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলে আমি রাত্রিযাপন করতে বাধ্য হই। ওই রাতে সে আমাকে জোরপূর্বক যৌনহয়রানি করে।
এরপর আমি গোপালগঞ্জ সদরের তারগ্রামে অনিক এ্যাকোয়া ফার্মে চলে আসি। সেখানে আমার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিনিয়ত আমাকে সেখানে যৌন হয়রানি করা হয়।
একপর্যায় ভুল বুঝিয়ে সে আমার স্বামী থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তখন আমি আমার একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে ভীষন অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়ি।
এঅবস্থায় আমাকে তার যৌন লালসা পূরনে বাধ্য করে। আমি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু সে আমাকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করে। হলফনামায় আমার নাম আয়েশা বেগম লেখা হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি কয়েকবার তার জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু শাহাদাত প্রশাসন ও পুলিশকে হাত করে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন রকম হয়রানি করে।
আমি ও আমার ভাইদের মিথ্যা মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে থাকতে হয়। মামলা প্রত্যাহারের কথা বলে সে আবার আমার সাথে সখ্যতা গড়ে এবং আমাকে যৌন নিপীড়ন করতে থাকে।
এছাড়া সে বিভিন্ন নামে আমার একাধিক পাসপোর্ট করে। একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দেয়ার কথা বলে দু’বছর আগে সে আমাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন দেশে থেকে আসা খ্রীষ্টান মিশনারীদের সাথে আমাকে সে পরিচয় করায়।
থাইল্যান্ডে অবস্থানকালে সেখানেও আমাকে যৌন নিপীড়ন করে।
কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই। শাহাদাতের হাত অনেক লম্বা। শাহাদত আমাকে মেরে ফেলবে।
গোপালগঞ্জ সদরের খেলনা গ্রামের ঠান্ডু শেখের ছেলে শাহাদত। এলাকায় শাহাদাত হিসেবে জানলেও বিদেশে তাকে শাহ্ বলে পরিচিতি রয়েছে। শৈশব থেকেই চরম দারিদ্রের মাঝে বেড়ে উঠেছেন তিনি। হঠাৎ করে তার আকাশ সমান উত্থান সকলকে হতবাক করে দেয়। তার অঢেল অর্থ ও সম্পদের উৎস নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে তার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে।
শহরের মানুষ তাকে রহস্যময় ব্যক্তি হিসেবে জানেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।
বিত্ত বৈভব তাকে ভোগ বিলাসের চরমে পৌঁছে দিয়েছে। টাকা দিয়ে তিনি সব অন্যায়কে জায়েজ করতে চান। মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে সিদ্ধ হস্ত শাহাদাত এখন একজন মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত অনিক একুয়া ফার্ম’স এর মালিক শেখ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি অনিতার বিরুদ্ধে চুরি মামলা দিয়ে ছিলাম। তাকে ফার্ম’স থেকে বরখাস্ত করেছি। ওই মামলায় সমঝোতার কথা বলতে আমার কাছে এসেছিল। এ ছাড়া ওই মহিলার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
গোপালগঞ্জ ডিবি-পুলিশের ওসি আজিজুর রহমান জোয়ার্দার বলেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় গ্রেফতারকৃত অনিক একুয়া ফার্ম’স এর মালিক শেখ সাহাদাৎ হোসেন ভিকটিম অনিতা বিশ্বাসের সাথে কথা বলবেন।
পরে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সে মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সংবাদ২৪.নেট’কে জানান।
নিপীড়নের শিকার (অনিতা বিশ্বাস) ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, বেশি টাকা বেতন দেয়ার কথা বলে সভার কার্যবিবরণী লেখার জন্য শাহাদত হোসেন বিগত ২০০৩ সালে আমাকে তার মালিকানাধীন অনিক এ্যাকোয়া ফার্মে চাকরি দেন।
এর আগে আমি ঢাকায় বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের স্বাস্থ্য প্রকল্পে সার্ভিস প্রমোটর হিসেবে কর্মরত ছিলাম। চাকরি যোগদানের পরপরই শাহাদাতের আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে থাকে।
দেড় মাসের মাথায় ময়মনসিংহে একটি সেমিনারে যোগদানের কথা বলে আমাকে ময়মনসিংহে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলে আমি রাত্রিযাপন করতে বাধ্য হই। ওই রাতে সে আমাকে জোরপূর্বক যৌনহয়রানি করে।
এরপর আমি গোপালগঞ্জ সদরের তারগ্রামে অনিক এ্যাকোয়া ফার্মে চলে আসি। সেখানে আমার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিনিয়ত আমাকে সেখানে যৌন হয়রানি করা হয়।
একপর্যায় ভুল বুঝিয়ে সে আমার স্বামী থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তখন আমি আমার একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে ভীষন অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়ি।
এঅবস্থায় আমাকে তার যৌন লালসা পূরনে বাধ্য করে। আমি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু সে আমাকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করে। হলফনামায় আমার নাম আয়েশা বেগম লেখা হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি কয়েকবার তার জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু শাহাদাত প্রশাসন ও পুলিশকে হাত করে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন রকম হয়রানি করে।
আমি ও আমার ভাইদের মিথ্যা মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে থাকতে হয়। মামলা প্রত্যাহারের কথা বলে সে আবার আমার সাথে সখ্যতা গড়ে এবং আমাকে যৌন নিপীড়ন করতে থাকে।
এছাড়া সে বিভিন্ন নামে আমার একাধিক পাসপোর্ট করে। একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দেয়ার কথা বলে দু’বছর আগে সে আমাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন দেশে থেকে আসা খ্রীষ্টান মিশনারীদের সাথে আমাকে সে পরিচয় করায়।
থাইল্যান্ডে অবস্থানকালে সেখানেও আমাকে যৌন নিপীড়ন করে।
কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই। শাহাদাতের হাত অনেক লম্বা। শাহাদত আমাকে মেরে ফেলবে।
গোপালগঞ্জ সদরের খেলনা গ্রামের ঠান্ডু শেখের ছেলে শাহাদত। এলাকায় শাহাদাত হিসেবে জানলেও বিদেশে তাকে শাহ্ বলে পরিচিতি রয়েছে। শৈশব থেকেই চরম দারিদ্রের মাঝে বেড়ে উঠেছেন তিনি। হঠাৎ করে তার আকাশ সমান উত্থান সকলকে হতবাক করে দেয়। তার অঢেল অর্থ ও সম্পদের উৎস নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে তার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে।
শহরের মানুষ তাকে রহস্যময় ব্যক্তি হিসেবে জানেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।
বিত্ত বৈভব তাকে ভোগ বিলাসের চরমে পৌঁছে দিয়েছে। টাকা দিয়ে তিনি সব অন্যায়কে জায়েজ করতে চান। মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে সিদ্ধ হস্ত শাহাদাত এখন একজন মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত অনিক একুয়া ফার্ম’স এর মালিক শেখ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি অনিতার বিরুদ্ধে চুরি মামলা দিয়ে ছিলাম। তাকে ফার্ম’স থেকে বরখাস্ত করেছি। ওই মামলায় সমঝোতার কথা বলতে আমার কাছে এসেছিল। এ ছাড়া ওই মহিলার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
গোপালগঞ্জ ডিবি-পুলিশের ওসি আজিজুর রহমান জোয়ার্দার বলেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় গ্রেফতারকৃত অনিক একুয়া ফার্ম’স এর মালিক শেখ সাহাদাৎ হোসেন ভিকটিম অনিতা বিশ্বাসের সাথে কথা বলবেন।
পরে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সে মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সংবাদ২৪.নেট’কে জানান।
No comments