এখনও স্বজনরা খুঁজে ফিরে কবর by জাহিদ রহমান
শরীফুল_ আর্টিলারি কোরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা। পুরো নাম মোঃ শরীফুল ইসলাম। বাড়ির সবাই এবং গ্রামবাসী যাকে আদর করে 'ফুল' বলে ডাকতেন। বিভিন্ন সূত্র মতে, ৪ এপ্রিল যশোরে পাকসেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি। শরীফুলের বাবার নাম মরহুম বিল্লাল হোসেন এবং মায়ের নাম মরহুমা সুন্দরী বেগম।
ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার অন্য বড় দুই ভাইয়ের নাম মোঃ সাইদুর রহমান ওরফে সৈয়দ মাস্টার এবং মোঃ ওয়াজেদ আলী। বাড়ি মাগুরা জেলার পারনান্দুয়ালীর ব্যাপারী পাড়াতে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই তরুণ রচনা করে গেছেন এক অন্যরকম ইতিহাস।
২৫ মার্চের কালরাত্রির পরপরই মাগুরার যেসব তরুণ সর্বাগ্রে অস্ত্র হাতে নিয়ে স্বদেশ ভূমির স্বাধীনতার জন্য মা-বাবা, ঘরসংসার পেছনে ফেলে দেশের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি তাদেরই একজন। বড় সাহসী ছিলেন বলেই শরীফুল কৈশোরে বেছে নিয়েছিলেন সৈনিক জীবন। ১৯৬৯ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান পাকিস্তানের কোহাটে। ওখানেই প্রশিক্ষণ নেন তিনি। কোহাট পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি জেলা, যেখানে রয়েছে বিশাল ক্যান্টনমেন্ট। মূলত দুই পাকিস্তানের যেসব সৈনিক আর্টিলারি কোরে যোগ দিতেন মূলত তাদেরই দক্ষ প্রশিক্ষণ ওখানে হতো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে পাকিস্তানের কোহাট থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন সৈনিক শরীফুল। বাড়িতে এসে বিয়েও করেন পয়ারী গ্রামে। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ক্র্যাকডাউন হলে শরীফুল দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। প্রথমেই তিনি নিজ গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ মিয়া (মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ছিলেন), নুরুল চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে পরামর্শ করতে থাকেন। এর মধ্যে ক্র্যাকডাউনের পরপরই বৃহত্তর যশোর জেলার সেই সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রূপকার মাগুরার কৃতী সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা এমএনএ অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন তার কলেজপাড়ার বাসভবনে পাকিস্তান থেকে ছুটিতে আসা সেনাবাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের তলব করেন। সোহরাব হোসেনের ডাকে তার বাসায় যান সৈনিক শরীফুল ইসলাম, বরুনাতৈল গ্রামের মোঃ গোলাম সরোয়ার, মোহাম্মদপুর থানার আবুসহ আরও কয়েকজন। উল্লেখ্য, তারা সবাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সোহরাব হোসেনের নির্দেশ মোতাবেক সশস্ত্র এই সৈনিক দলটি পায়ে হেঁটে শহরের ভায়না মোড় হয়ে যশোরের পথে রওনা হন। প্রথমে তারা হাঁটতে হাঁটতে শালিখা থানার সীমাখালী বাজারে পেঁৗছান। এর মধ্যে এই সশস্ত্র দলটির দেখা হয় ক্যাপ্টেন আবদুল ওয়াহাবের সঙ্গে। ক্যাপ্টেন আবদুল ওয়াহাবের বাড়ি মাগুরা মহকুমার শ্রীপুর থানার টুপিপাড়াতে। যশোর ক্যান্টনমেন্ট পাকবাহিনী দখলে নেওয়ায় তিনি নিরস্ত্র অবস্থায় চলে আসেন। এরপর তার নেতৃত্বে এই দলটি প্রথমে যশোরের নিকটবর্তী হাশিমপুর বাজারে গিয়ে কোনো এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন।
শরীফুলের সহযোগী ছিলেন আরেক সৈনিক মোঃ গোলাম সরোয়ার, বাড়ি পারনান্দুয়ালী সংলগ্ন পাশের বরুনাতৈল গ্রামে। বর্তমানে এই মুক্তিযোদ্ধা বিআরটিসির চিফ সিকিউরিটি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এ দু'জন প্রায় একই সময়ে ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। চাকরিতে যোগদানের পর শরীফুল ট্রেনিং নিতে যান পাকিস্তানের কোহাটে। অন্যদিকে গোলাম সরোয়ার চলে যান চট্টগ্রামের ইবিআরসিতে। শরীফুলের সৈনিক জীবনের বন্ধু গোলাম সরোয়ার জানান, একাত্তরের ৪ এপ্রিল শরীফুল তার সামনেই পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হন। ঘটনাস্থল থেকে তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এ ঘটনার আগে ও পরের স্মৃতি স্মরণে এনে তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মাগুরার এমএনএ সোহরাব হোসেন সৈনিক শরীফুল, সুরুজ, মান্নান এবং অন্যদেরসহ আমাকে তার শহরের বাসায় ডাকেন। এক পর্যায়ে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং আমাদের করুণীয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এখন আর বসে থাকা চলবে না। বাঙালি সৈনিকদের এখনই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এক সময় আমাদের হাতে কিছু অস্ত্র তুলে দিয়ে বলেন, আমরা যেন যশোর ইপিআরে গিয়ে রিপোর্ট করি। সোহরাব হোসেনের নির্দেশমতো আমরা অস্ত্রসহ একটি দল যশোরের পথে পায়ে হেঁটে রওনা দিই। আমাদের নেতৃত্বে থাকে সাহসী সৈনিক শরীফুল। শালিখার সীমাখালী বাজারে গিয়েই আমরা দেখতে পাই ইপিআররা যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে। এর মধ্যে বাঙালি তরুণ অফিসার ক্যাপ্টেন আবদুল ওয়াহাব যার বাড়ি শ্রীপুরে তার সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে এক সময় আমরা যশোরের দিকে মুভ করি। বেশ কয়েকটা অপারেশনেও অংশ নিই। এর মধ্যে শরীফুল, আবু, রহমান এবং আমি ইপিআর হেডকোয়ার্টারের দিকে চলে আসি। একাত্তরের ৪ এপ্রিল, শরীফুল শহীদ হন। এদিন সকাল ১০টার দিকে আমরা সশস্ত্র অবস্থায় ইপিআর হেডকোয়ার্টারে থাকা অবস্থায় পাকসেনারা আমাদের এক পাশ থেকে বেপরোয়া আক্রমণ শুরু করে। শরীফুল এবং আমি কাউন্টার আক্রমণ করতে থাকি। এক পর্যায়ে শরীফুল গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়।
মোঃ গোলাম সরোয়ারের মতে, শরীফুল ছিল বাংলার এক সাহসী দামাল ছেলে। ওর আকাশছোঁয়া দেশপ্রেম ছিল বলেই সবার আগে রাইফেল হাতে শত্রু প্রতিরোধে ছুটেছিল। ওর দেশপ্রেমের তুলনা হয় না। শরীফুলের মেজোভাই মোঃ ওয়াজেদ আলী বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ব্যবসায়িক কাজে তিনি গোয়ালন্দ চলে যান। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পাকসেনারা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ হত্যা শুরু করে। এ সময় তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে আসেন। কিন্তু বাড়িতে এসেই শুনতে পান ছোট ভাই সাহসী সৈনিক শরীফুল দেশ স্বাধীন করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বাড়ি ছেড়ে যশোরের দিকে চলে গেছেন। তারপর প্রিয় ছোট ভাই শরীফুল আর ফিরে আসেনি। চলি্লশ বছরেও তারা জানতে পারেননি শরীফুলকে কোথায় দাফন করা হয়েছিল। কোথায় শুয়ে আছে এই বীরযোদ্ধা।
২৫ মার্চের কালরাত্রির পরপরই মাগুরার যেসব তরুণ সর্বাগ্রে অস্ত্র হাতে নিয়ে স্বদেশ ভূমির স্বাধীনতার জন্য মা-বাবা, ঘরসংসার পেছনে ফেলে দেশের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি তাদেরই একজন। বড় সাহসী ছিলেন বলেই শরীফুল কৈশোরে বেছে নিয়েছিলেন সৈনিক জীবন। ১৯৬৯ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান পাকিস্তানের কোহাটে। ওখানেই প্রশিক্ষণ নেন তিনি। কোহাট পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি জেলা, যেখানে রয়েছে বিশাল ক্যান্টনমেন্ট। মূলত দুই পাকিস্তানের যেসব সৈনিক আর্টিলারি কোরে যোগ দিতেন মূলত তাদেরই দক্ষ প্রশিক্ষণ ওখানে হতো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে পাকিস্তানের কোহাট থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন সৈনিক শরীফুল। বাড়িতে এসে বিয়েও করেন পয়ারী গ্রামে। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ক্র্যাকডাউন হলে শরীফুল দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। প্রথমেই তিনি নিজ গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ মিয়া (মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ছিলেন), নুরুল চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে পরামর্শ করতে থাকেন। এর মধ্যে ক্র্যাকডাউনের পরপরই বৃহত্তর যশোর জেলার সেই সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রূপকার মাগুরার কৃতী সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা এমএনএ অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন তার কলেজপাড়ার বাসভবনে পাকিস্তান থেকে ছুটিতে আসা সেনাবাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের তলব করেন। সোহরাব হোসেনের ডাকে তার বাসায় যান সৈনিক শরীফুল ইসলাম, বরুনাতৈল গ্রামের মোঃ গোলাম সরোয়ার, মোহাম্মদপুর থানার আবুসহ আরও কয়েকজন। উল্লেখ্য, তারা সবাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সোহরাব হোসেনের নির্দেশ মোতাবেক সশস্ত্র এই সৈনিক দলটি পায়ে হেঁটে শহরের ভায়না মোড় হয়ে যশোরের পথে রওনা হন। প্রথমে তারা হাঁটতে হাঁটতে শালিখা থানার সীমাখালী বাজারে পেঁৗছান। এর মধ্যে এই সশস্ত্র দলটির দেখা হয় ক্যাপ্টেন আবদুল ওয়াহাবের সঙ্গে। ক্যাপ্টেন আবদুল ওয়াহাবের বাড়ি মাগুরা মহকুমার শ্রীপুর থানার টুপিপাড়াতে। যশোর ক্যান্টনমেন্ট পাকবাহিনী দখলে নেওয়ায় তিনি নিরস্ত্র অবস্থায় চলে আসেন। এরপর তার নেতৃত্বে এই দলটি প্রথমে যশোরের নিকটবর্তী হাশিমপুর বাজারে গিয়ে কোনো এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন।
শরীফুলের সহযোগী ছিলেন আরেক সৈনিক মোঃ গোলাম সরোয়ার, বাড়ি পারনান্দুয়ালী সংলগ্ন পাশের বরুনাতৈল গ্রামে। বর্তমানে এই মুক্তিযোদ্ধা বিআরটিসির চিফ সিকিউরিটি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এ দু'জন প্রায় একই সময়ে ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। চাকরিতে যোগদানের পর শরীফুল ট্রেনিং নিতে যান পাকিস্তানের কোহাটে। অন্যদিকে গোলাম সরোয়ার চলে যান চট্টগ্রামের ইবিআরসিতে। শরীফুলের সৈনিক জীবনের বন্ধু গোলাম সরোয়ার জানান, একাত্তরের ৪ এপ্রিল শরীফুল তার সামনেই পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হন। ঘটনাস্থল থেকে তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এ ঘটনার আগে ও পরের স্মৃতি স্মরণে এনে তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মাগুরার এমএনএ সোহরাব হোসেন সৈনিক শরীফুল, সুরুজ, মান্নান এবং অন্যদেরসহ আমাকে তার শহরের বাসায় ডাকেন। এক পর্যায়ে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং আমাদের করুণীয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এখন আর বসে থাকা চলবে না। বাঙালি সৈনিকদের এখনই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এক সময় আমাদের হাতে কিছু অস্ত্র তুলে দিয়ে বলেন, আমরা যেন যশোর ইপিআরে গিয়ে রিপোর্ট করি। সোহরাব হোসেনের নির্দেশমতো আমরা অস্ত্রসহ একটি দল যশোরের পথে পায়ে হেঁটে রওনা দিই। আমাদের নেতৃত্বে থাকে সাহসী সৈনিক শরীফুল। শালিখার সীমাখালী বাজারে গিয়েই আমরা দেখতে পাই ইপিআররা যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে। এর মধ্যে বাঙালি তরুণ অফিসার ক্যাপ্টেন আবদুল ওয়াহাব যার বাড়ি শ্রীপুরে তার সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে এক সময় আমরা যশোরের দিকে মুভ করি। বেশ কয়েকটা অপারেশনেও অংশ নিই। এর মধ্যে শরীফুল, আবু, রহমান এবং আমি ইপিআর হেডকোয়ার্টারের দিকে চলে আসি। একাত্তরের ৪ এপ্রিল, শরীফুল শহীদ হন। এদিন সকাল ১০টার দিকে আমরা সশস্ত্র অবস্থায় ইপিআর হেডকোয়ার্টারে থাকা অবস্থায় পাকসেনারা আমাদের এক পাশ থেকে বেপরোয়া আক্রমণ শুরু করে। শরীফুল এবং আমি কাউন্টার আক্রমণ করতে থাকি। এক পর্যায়ে শরীফুল গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়।
মোঃ গোলাম সরোয়ারের মতে, শরীফুল ছিল বাংলার এক সাহসী দামাল ছেলে। ওর আকাশছোঁয়া দেশপ্রেম ছিল বলেই সবার আগে রাইফেল হাতে শত্রু প্রতিরোধে ছুটেছিল। ওর দেশপ্রেমের তুলনা হয় না। শরীফুলের মেজোভাই মোঃ ওয়াজেদ আলী বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ব্যবসায়িক কাজে তিনি গোয়ালন্দ চলে যান। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পাকসেনারা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ হত্যা শুরু করে। এ সময় তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে আসেন। কিন্তু বাড়িতে এসেই শুনতে পান ছোট ভাই সাহসী সৈনিক শরীফুল দেশ স্বাধীন করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বাড়ি ছেড়ে যশোরের দিকে চলে গেছেন। তারপর প্রিয় ছোট ভাই শরীফুল আর ফিরে আসেনি। চলি্লশ বছরেও তারা জানতে পারেননি শরীফুলকে কোথায় দাফন করা হয়েছিল। কোথায় শুয়ে আছে এই বীরযোদ্ধা।
No comments