উদ্বোধনের চার মাসেই ধসে গেল সড়ক
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের ছিন্না গ্রাম থেকে মাজনাবাড়ী গ্রাম পর্যন্ত কংক্রিটে নির্মিত সড়কটি উদ্বোধনের চার মাস যেতে না যেতেই ধসে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং চুক্তি অনুযায়ী কাজ না হওয়ার কারণে সড়কটি
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং চুক্তি অনুযায়ী কাজ না হওয়ার কারণে সড়কটি
ধসে গেছে। কাজীপুর উপজেলা সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে আইআরআইডিপি প্রকল্পের আওতায় সড়কটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। আল আমিন ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি ১৫ লাখ টাকার ওই প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ৬ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ তানভীর শাকিল সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের চার মাস যেতে না যেতেই সড়কটির কমপক্ষে ১৫টি স্থান ধসে গেছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চরগিরিশ ইউনিয়নের ওই সড়কের ১৫টি স্থানের প্রায় ৮০০ মিটার অংশ ধসে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ২৭ ইঞ্চি গাইড ওয়াল, তিন ইঞ্চি সিসি ঢালাই, ছয় ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই, আটটি করে রড এবং ছয় লাখ টাকার মাটি ফেলে সড়কটি নির্মাণের কথা ছিল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সড়কটি নির্মাণে ২৭ ইঞ্চি গাইড ওয়ালের স্থানে ১০-১২ ইঞ্চি গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। তিন ইঞ্চি সিসি ঢালাই করাই হয়নি। ছয় ইঞ্চি আরসিসি ঢালাইয়ের পরিবর্তে করা হয়েছে চার ইঞ্চি। আট ফুট প্রস্থের সড়কটির ঢালাইয়ের নিচে আটটি করে রড দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে চারটি রড। ঢালাইকাজে বালু ও খোয়ার সঙ্গে সিমেন্টের পরিমাণও কম দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে সড়কটি ধসে গেছে। ঠিকাদার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিন্টু মিয়া বলেন, চলতি বর্ষায় বৃষ্টির কারণে মাটি ধুয়ে যাওয়ায় গাইড ওয়াল ধসে গেছে। অনেক স্থানে পানি জমে যাওয়ার কারণে সেখানে দেবে গেছে।
সড়কটি নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাহাদত হোসেন বলেন, সড়কটি নির্মাণ করার পর চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হলেও জামানত জমা রয়েছে। ধসে যাওয়া স্থানগুলো মেরামত করার পর জামানত ফেরত দেওয়া হবে। তা ছাড়া, এলাকার কয়েকটি স্থানে গর্ত থাকায় সড়কটি নির্মাণের জন্য স্লাব প্রটেকশন তৈরির কথা বলা হয়। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় প্রকল্প থেকে স্লাব প্রটেকশন অংশটি বরাদ্দ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে গাইড ওয়াল ধসে গেছে। প্রকল্পটির বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে স্লাব প্রটেকশনের কাজ করা হবে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চরগিরিশ ইউনিয়নের ওই সড়কের ১৫টি স্থানের প্রায় ৮০০ মিটার অংশ ধসে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ২৭ ইঞ্চি গাইড ওয়াল, তিন ইঞ্চি সিসি ঢালাই, ছয় ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই, আটটি করে রড এবং ছয় লাখ টাকার মাটি ফেলে সড়কটি নির্মাণের কথা ছিল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সড়কটি নির্মাণে ২৭ ইঞ্চি গাইড ওয়ালের স্থানে ১০-১২ ইঞ্চি গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। তিন ইঞ্চি সিসি ঢালাই করাই হয়নি। ছয় ইঞ্চি আরসিসি ঢালাইয়ের পরিবর্তে করা হয়েছে চার ইঞ্চি। আট ফুট প্রস্থের সড়কটির ঢালাইয়ের নিচে আটটি করে রড দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে চারটি রড। ঢালাইকাজে বালু ও খোয়ার সঙ্গে সিমেন্টের পরিমাণও কম দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে সড়কটি ধসে গেছে। ঠিকাদার ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিন্টু মিয়া বলেন, চলতি বর্ষায় বৃষ্টির কারণে মাটি ধুয়ে যাওয়ায় গাইড ওয়াল ধসে গেছে। অনেক স্থানে পানি জমে যাওয়ার কারণে সেখানে দেবে গেছে।
সড়কটি নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাহাদত হোসেন বলেন, সড়কটি নির্মাণ করার পর চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হলেও জামানত জমা রয়েছে। ধসে যাওয়া স্থানগুলো মেরামত করার পর জামানত ফেরত দেওয়া হবে। তা ছাড়া, এলাকার কয়েকটি স্থানে গর্ত থাকায় সড়কটি নির্মাণের জন্য স্লাব প্রটেকশন তৈরির কথা বলা হয়। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় প্রকল্প থেকে স্লাব প্রটেকশন অংশটি বরাদ্দ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে গাইড ওয়াল ধসে গেছে। প্রকল্পটির বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে স্লাব প্রটেকশনের কাজ করা হবে।
No comments