আট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন- অবৈধ ক্যাম্পাস
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই ২০০৭ সালে। এরপর পাঁচ বছর সময় পার হয়েছে। এখনো আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের অবৈধ শাখা ক্যাম্পাস চালাচ্ছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের অবৈধ ক্যাম্পাসের সংখ্যা নাকি এক শর কাছাকাছি।
এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি এতই শক্তিশালী যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ ক্ষেত্রে কিছুই করতে পারছে না!
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হওয়ার পর তা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, তেমনি শুরু থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অতি বাণিজ্যিক প্রবণতাও লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশের বিরুদ্ধেই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার চেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বেতন, ফি এবং নানা অজুহাতে তা বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অসন্তোষ ও ছাত্রবিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। দেখা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি। বর্তমানে দেশে যে ৫২টি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার মধ্যে বলা যায় ১০ থেকে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় মান ও শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। বাকিগুলো শর্ত পূরণ না করেই চলছে। এই যখন বাস্তবতা, তখন বর্তমান সরকার আরও নয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দিয়েছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই মূল বিষয় হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশের আর সব ক্ষেত্রের মতো উচ্চশিক্ষার এই বেসরকারি খাতটিও রাজনৈতিক বিচার-বিবেচনা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। আইন মেনে না চললেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে এসব কারণেই ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা প্রসঙ্গে শিক্ষাসচিব এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। মামলার কারণে কয়েকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, মামলা রয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে, বাকি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা কোথায়? এত দিনেও কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা যায়নি? দারুল ইহসান নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চার ভাগে বিভক্ত হয়ে সারা দেশে অবৈধ শাখা খুলে রীতিমতো বাণিজ্য করছে। সরকারের বিচার বিভাগীয় তদন্তে এ ধরনের প্রায় ১০০ অবৈধ শাখা পাওয়া গেছে। কমিশন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিলের সুপারিশ করলেও গত চার মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন তা করতে পারেনি, সেটাও এক বড় প্রশ্ন।
আমরা মনে করি, অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত এবং নিয়ম মেনে না চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির তরফে কঠোর অবস্থান প্রত্যাশা করছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা না গেলে প্রতারণার শিকার হবে দেশের সাধারণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ইউজিসি বৈধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মনে করি, অনলাইনে ও গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তালিকা প্রকাশ করা গেলে জনগণ এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটির বৈধতা ও অবৈধতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া এবং এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হওয়ার পর তা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, তেমনি শুরু থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অতি বাণিজ্যিক প্রবণতাও লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশের বিরুদ্ধেই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার চেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বেতন, ফি এবং নানা অজুহাতে তা বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অসন্তোষ ও ছাত্রবিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। দেখা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি। বর্তমানে দেশে যে ৫২টি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার মধ্যে বলা যায় ১০ থেকে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় মান ও শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। বাকিগুলো শর্ত পূরণ না করেই চলছে। এই যখন বাস্তবতা, তখন বর্তমান সরকার আরও নয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দিয়েছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই মূল বিষয় হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশের আর সব ক্ষেত্রের মতো উচ্চশিক্ষার এই বেসরকারি খাতটিও রাজনৈতিক বিচার-বিবেচনা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। আইন মেনে না চললেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে এসব কারণেই ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা প্রসঙ্গে শিক্ষাসচিব এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। মামলার কারণে কয়েকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, মামলা রয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে, বাকি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা কোথায়? এত দিনেও কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা যায়নি? দারুল ইহসান নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চার ভাগে বিভক্ত হয়ে সারা দেশে অবৈধ শাখা খুলে রীতিমতো বাণিজ্য করছে। সরকারের বিচার বিভাগীয় তদন্তে এ ধরনের প্রায় ১০০ অবৈধ শাখা পাওয়া গেছে। কমিশন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিলের সুপারিশ করলেও গত চার মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন তা করতে পারেনি, সেটাও এক বড় প্রশ্ন।
আমরা মনে করি, অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত এবং নিয়ম মেনে না চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির তরফে কঠোর অবস্থান প্রত্যাশা করছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা না গেলে প্রতারণার শিকার হবে দেশের সাধারণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ইউজিসি বৈধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মনে করি, অনলাইনে ও গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তালিকা প্রকাশ করা গেলে জনগণ এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটির বৈধতা ও অবৈধতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া এবং এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
No comments