ল্যানসেটের গবেষণার ফল-সবচেয়ে অলস দেশ মাল্টা, কর্মঠ গ্রিস
আলসেমির দিক থেকে অন্যদের ছাড়িয়ে গেছে মাল্টা, ব্রিটেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার লোকজন। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে অলস দেশগুলোর তালিকায় নাম উঠেছে তাদের দেশের। লন্ডনভিত্তিক চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি অলস মাল্টার লোকেরা। আর শারীরিকভাবে সবচেয়ে কর্মোদ্যোগী হচ্ছে গ্রিসের লোকেরা।
ল্যানসেট ১২২টি দেশের ওপর গবেষণাটি চালায়। তারা অলসতার মাপকাঠির ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করে। তালিকার সবার ওপরে রয়েছে মাল্টা। যুক্তরাজ্যের অবস্থান আটে। দেশটির ৬৩ দশমিক ৩ ভাগ লোক অলস। গবেষণা প্রতিবেদন মতে, বিশ্বে সবচেয়ে কম অলস দেশ গ্রিস। সেখানকার মাত্র ১৫ ভাগ লোক অলস। ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে অন্যতম সচেতন দেশটির অধিকাংশ লোককেই তুলনামূলকভাবে বসে বসে কাজ করতে হয়। তা সত্ত্বেও তালিকায় তারা সবচেয়ে নিচে রয়েছে। তবে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে অলস লোকের অনুপাত ৪০ ভাগের সামান্য বেশি।
গবেষণায় আরো দেখা যায়, বিশ্বে মোট লোকের এক-তৃতীয়াংশই অলস। তাঁরা শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না। আর কিশোরদের ৮০ ভাগই স্বাভাবিক মানদণ্ডের নিচে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বিশ্বে পুরুষদের তুলনায় নারীরা কম অলস। তবে সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল যেসব দেশে বিভিন্ন সামাজিক বাধ্যবাধকতার কারণে নারীদের কাজের সুবিধা কম সেসব দেশে নারীদের অলসতার হার বেশি। সৌদি আরব অলস দেশের তালিকায় ওপরের দিক থেকে তৃতীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানকার ৬৮ দশমিক ৮ ভাগ লোক অলস। এই হার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬২ দশমিক ৫ ভাগ এবং ভুটানে ৫২ দশমিক ৩ ভাগ।
অলসের তালিকার ওপরের দিকে থাকা ১০টি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে মাল্টা, সোয়াজিল্যান্ড, সৌদি আরব, সার্বিয়া, আর্জেন্টিনা, মাইক্রোনেশিয়া, কুয়েত, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া।
গবেষকরা লোকজনের আলস্য বাড়ার কারণও শনাক্তের চেষ্টা করেছেন। তাঁরা জানান, শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম না করা বর্তমানে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। তাঁদের মতে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ লোকই তাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কায়িক পরিশ্রমটুকু করেন না। সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা কায়িক পরিশ্রম করা দরকার। সূত্র : ডেইলি মেইল, হিন্দুস্তান টাইমস।
ল্যানসেট ১২২টি দেশের ওপর গবেষণাটি চালায়। তারা অলসতার মাপকাঠির ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করে। তালিকার সবার ওপরে রয়েছে মাল্টা। যুক্তরাজ্যের অবস্থান আটে। দেশটির ৬৩ দশমিক ৩ ভাগ লোক অলস। গবেষণা প্রতিবেদন মতে, বিশ্বে সবচেয়ে কম অলস দেশ গ্রিস। সেখানকার মাত্র ১৫ ভাগ লোক অলস। ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে অন্যতম সচেতন দেশটির অধিকাংশ লোককেই তুলনামূলকভাবে বসে বসে কাজ করতে হয়। তা সত্ত্বেও তালিকায় তারা সবচেয়ে নিচে রয়েছে। তবে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে অলস লোকের অনুপাত ৪০ ভাগের সামান্য বেশি।
গবেষণায় আরো দেখা যায়, বিশ্বে মোট লোকের এক-তৃতীয়াংশই অলস। তাঁরা শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না। আর কিশোরদের ৮০ ভাগই স্বাভাবিক মানদণ্ডের নিচে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বিশ্বে পুরুষদের তুলনায় নারীরা কম অলস। তবে সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল যেসব দেশে বিভিন্ন সামাজিক বাধ্যবাধকতার কারণে নারীদের কাজের সুবিধা কম সেসব দেশে নারীদের অলসতার হার বেশি। সৌদি আরব অলস দেশের তালিকায় ওপরের দিক থেকে তৃতীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানকার ৬৮ দশমিক ৮ ভাগ লোক অলস। এই হার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬২ দশমিক ৫ ভাগ এবং ভুটানে ৫২ দশমিক ৩ ভাগ।
অলসের তালিকার ওপরের দিকে থাকা ১০টি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে মাল্টা, সোয়াজিল্যান্ড, সৌদি আরব, সার্বিয়া, আর্জেন্টিনা, মাইক্রোনেশিয়া, কুয়েত, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া।
গবেষকরা লোকজনের আলস্য বাড়ার কারণও শনাক্তের চেষ্টা করেছেন। তাঁরা জানান, শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম না করা বর্তমানে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। তাঁদের মতে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ লোকই তাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কায়িক পরিশ্রমটুকু করেন না। সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা কায়িক পরিশ্রম করা দরকার। সূত্র : ডেইলি মেইল, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments