কুয়ালালামপুরের এখানে ওখানে by ড. স্বপ্না রায়

বাইরের পৃথিবী আমাকে সবসময়ই টানতে থাকে। কোথাও থেকে ঘুরে আসার পর কিছুদিন কাটতে না কাটতেই আবার ডানা মেলার জন্য অস্থির হয়ে উঠি। সুযোগ মিলে গেলে চেষ্টা করি তা হাতছাড়া না করার। এভাবেই মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর যাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেল।


ভিসা, ডলার ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি হয়ে থাকলাম। রাত আটটায় ছাড়ার কথা থাকলেও এগারোটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে ঢাকা শাহ্জালাল বিমানবন্দর ছাড়ল আমাদের প্লেনটি। কোনো জার্নিতেই ঘুমানোর অভ্যেস নেই আমার। সময় কাটানোর জন্য কয়েকটা ম্যাগাজিন এনেছিলাম সঙ্গে করে। কিন্তু সেসবে মন বসাতে পারছি কই! রাতের শূন্যপথ যাত্রায়, জানালা দিয়ে তাকিয়ে কিছুই দেখার উপায় নেই। একরাশ পেঁজা তুলোর মধ্যে ভাসতে থাকার দৃশ্যটিও যে এখন অন্ধকারের তলায়। ঘুমোবার জন্য চেষ্টার ফল হবে অযথাই ঘাড়ে ব্যথা করে তোলা। তার চেয়ে যেখানে যাচ্ছি, তার সম্পর্কেই একটু খোঁজখবর নেয়া ভালো বলে মনে হলো। আমার সফরসঙ্গীদের একজন ঘুমিয়ে পড়েছে, অন্যজন এখনো জেগে আছে দেখে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পর, সে ব্যাগ হাতড়ে একটা পুস্তিকা বের করে দিল। এটি পড়ে জানলাম কিছু ঐতিহাসিক তথ্য।
ছেষট্টিতম বৃহৎ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তির দেশ এই মালয়েশিয়া। একে প্রাচীন ভারতীয় বনিকরা উচ্চারণ করত ‘মালয়াদ্ভিপা’ বলে, যার অর্থ ‘পাহাড়ের দেশ।’ তামিল শব্দ ‘মালাই’কে বিশ্লেষণ করলেও একই অর্থ দাঁড়ায়। দেশটি স্বাধীন ভূখণ্ড লাভ করেছে ১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট। ৩২৯.৮৪৭ কি.মি সীমানার এ দেশটিতে মুসলিম, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মসম্প্রদায় মিলে অধিবাসীর সংখ্যা প্রায় ২৮ মিলিয়ন। অনুমান করা হয় যে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত জনগোষ্ঠী এ ভূখণ্ডের আদি মানব। এরা তিনটি জাতিতে বিভক্ত ছিলÑনেগ্রিটোজ, সেনোইজ এবং প্রোটো-মালয়। এখানকার প্রথম আধিবাসীরা খুব সম্ভব নেগ্রিটোজ গোত্রভুক্ত ছিল। পুরনো ও নতুন প্রস্তর যুগের এই শিকারী মানবরা প্রধানত সেমাঙ অঞ্চলে বসবাস করত। মালয় পেনিনসুলায় নেগ্রিটোদের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেনোইজদের সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে, পুরুষানুক্রমে পূর্ব অবস্থান ছেড়ে সেমাঙে আসা ইন্দো-চীনাদের উপাদানে গঠিত উপশাখা এরা। পণ্ডিতরা মনে করেনÑতারা প্রাচীন অস্ট্রোনেশীয়দের বংশধর, যারা প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বে ভাষা ও কৃষি-প্রযুক্তিকে পেনিনসুলার দক্ষিণাংশে নিয়ে এসেছিল। আর প্রোটো-মালয়দের উৎস ছিল বিচিত্রতর। মালয়েশিয়ায় অবস্থান নিয়েছিল তারা খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সালে। বিগত বরফযুগে, খুব বেশি হলে ২০ হাজার বছর আগে। তাদের কিছু অংশের পূর্বপুরুষ ছিল ইন্দো-চীনা মানবগোষ্ঠী। নৃ-বিজ্ঞানীরাও মনে করেন যে, প্রোটো-মালয়রা চীনা-উদ্ভূত। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০-য়ের কাছাকাছি সময়ে তারা ছিল বর্তমান মালয়েশীয় মালেদের পূর্বপুরুষ। উন্নত চাষাবাদ ও পশুপালন প্রযুক্তি তাদের আয়ত্তে ছিল।
মালে এবং মালয়েশীয় সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মালয়েশীয় জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মালে। বুমিপুতেরা (অর্থাৎ ভূমির সন্তান) নামের উপদলকে নিজেদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে, রাজনীতি ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব করে এসেছে তারা। তাদের নিজস্ব ভাষার নাম ‘বাহাসা’, যা এখানকার জাতীয় ভাষা। ভৌগোলিক স্বাতন্ত্র্য দু’টি বিন্যাস রয়েছেÑ পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও পূর্ব মালয়েশিয়া। প্রথমটিতে, ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বেশি। অন্যটি খ্রিস্টানপ্রধান। মালে, চীনা, ভারতীয়, ইউরোপীয় প্রভৃতি জাতির প্রভাবে এখানে তৈরি হয়েছে এক মিশ্র সংস্কৃতি। মসজিদের পাশাপাশি পরিলক্ষিত হয় অসংখ্য হিন্দুমন্দির, চীনা মন্দির ও গির্জা। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকে আনন্দ উপভোগের ক্ষেত্রটি। এখানকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, কিন্তু তা হলেও, ধর্মীয় রক্ষণশীলতা বর্জিত, সহনশীল এক উদার রাষ্ট্রনীতি আশ্রয় করে বিভিন্ন দেশের বিচিত্র ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করেছে এ দেশটি। এখানকার হিন্দু মন্দিরগুলোর কারুকার্যের মধ্যে, রান্নাবান্নায়, নৃত্য, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ইত্যাদির মধ্যে তাদের শিল্পসংস্কৃতির পরিচয় মেলে। এদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা নিজেদের মধ্যে মালয়ালাম, তেলুগু, হিন্দি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি অঞ্চলভিত্তিক ভাষা ব্যবহার করে। পুস্তিকাটি পড়তে পড়তে সময়টা ভালভাবেই কেটে গেল।
আমাদের বহনকারী শূন্যযানটি যখন কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভূমি স্পর্শ করল, রাত তখন তিনটা বিশ। রাজধানীর পঞ্চাশ কি.মি. দক্ষিণে, সেপাঙ নামক স্থানে অবস্থিত এ বিমানবন্দরটি। প্লেন থেকে নেমে পৌঁছলাম কাস্টমস্ এ্যান্ড ইমিগ্রেশন কাউন্টারে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে লাগেজ সংগ্রহ করে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি নতুন কেনা বাহন নিয়ে অপেক্ষা করছে আমার সঙ্গীদের পূর্বপরিচিত সেলিম নামের এক যুবক। এদেশে অবস্থান দৃঢ় করার জন্য মালয়েশীয় কন্যার পাণিগ্রহণ করেছে সে। যেতে যেতে দেখছিÑআকাশের ফুটি ফুটি আলোয় রাস্তার বাতিগুলো ক্রমেই ম্লান হয়ে আসছে, একটু পরেই চারদিক ফর্সা হয়ে যাবে। বুক ভরে নতুন বাতাস টেনে প্রথম দেখা দেশটির দিকে তাকালাম। দেশের বৃহত্তম নগরী কুয়ালালামপুর! রাস্তার পাশে একটু দূরে দূরে লেখা রয়েছেÑসালামত ডাটাঙ। মনে হলো ঘুমভাঙা চোখ মেলে দেশটি আমাকেই যেন অভ্যর্থনা জানিয়ে বলছেÑ সালামত্ ডাটাঙ্। যতই এগোচ্ছি, নগরী তার সুষমা আর ঐশ্বর্য তুলে ধরছে আমার চোখের সামনে। মন চাইছে এ পথ যেন ফুরিয়ে না যায়। যতক্ষণ পারি, দৃষ্টির চুমুকে চুমুকে এর সৌন্দর্য বৈচিত্র্য শুষে নিতে চাই। মাঝে মাঝেই চোখে পড়ছে পাম গাছের ঘন বন। পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে এই গাছগুলো। সরকারের আয়ের অন্যতম বড় উৎস পাম অয়েল। অবশ্য, পাম তেল ছাড়াও পেট্রোলিয়াম, রাবার, কাঠ এগুলোরও অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে যথেষ্ট। আকরিক লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, ট্যাংস্টেন, বক্সাইট, খনিজ তেল, সোনা, টিন ইত্যাদি খনিজ সম্পদের দিক দিয়েও এর অবস্থানকে গৌণ বিবেচনা করার উপায় নেই।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমাদের গন্তব্যস্থল জালানিপো শহর। ঝকঝকে তকতকে নির্জন চওড়া রাস্তা, মাত্র পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছান গেল জালানিপোর পুত্রা ম্যাজেস্টিক ভবন এলাকায়। সেখানে রয়েছে আমার পুরনো ছাত্র আনোয়ার হোসেন শুভোর রেস্তরাঁ সার কর্নার। ভবনটির এ নামকরণের তাৎপর্য উপলব্ধি করেছিলাম কিছুদিন পরে। মাত্র বিশ বছর আগেও নাকি এ জায়গাটি ছিল বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ। মাথা উঁচু করে একসারিতে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি ছাব্বিশ তলা ভবন। এগুলোর নিচের তলায় দোকানপাট, রেস্তরাঁ, কনফেকশনারি। উপরের তলাগুলোয় রয়েছে আবাসিক হোস্টেল, সাইবার ক্যাফে ইত্যাদি। শুভোর বসবাস এরই একটি বিল্ডিংয়ের সাত তলায়। পাশের বিল্ডিংয়ে আট তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সাবলেট দেয়ার জন্য তিনটি কক্ষকে গেস্টহাউজের ধরনে সাজিয়ে রেখেছে শওকত নামের এক যুবক। আমার ঠাঁই হলো তারই একটিতে। লিফটে ওঠানামার সময়ে আমার ছাত্র কামালের সাথে দেখা হলো। দু’দিন পর আমাকে এখানকার বিখ্যাত পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার দেখাতে নিয়ে গেল কামাল। যেতে যেতে তার কাছ থেকে জানলাম কুয়ালালামপুরের স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য সাক্ষ্য বহনকারী এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম বিল্ডিং এগুলো। মালে ভাষায় এদের নাম মেনারা বারকেম্বার পেট্রোনাস। ২০০১ সালে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হয়ে যাবার পর ১৯৯৮Ñ২০০৪ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর উচ্চতম টাওয়াররূপে বিবেচিত হতো এগুলো। জালান আমপঙ এলাকায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটির কাছে পৌঁছে, প্রথমে গেলাম এর সংলগ্ন কেলসিসি পার্কের দিকে। চোখে পড়লÑপরিচ্ছন্ন ঝকঝকে রাস্তাটিতে হাঁটাচলা করছে লোকে, কেউবা করছে জগিং। পথের দু’পাশে নানারকম আকৃতি ও অবয়ব।
কামাল দেখাল জগিংয়ের সুবিধের জন্য রাস্তার একটি পাশ রাবারের কার্পেট দিয়ে আবৃত করা আছে। এক জায়গায় লেখা রয়েছে এর নকশাকারের নাম রবার্টো বুরলে মার্ক্স। ২০ হেক্টর জায়গাজুড়ে, সবুজায়নকে গুরুত্ব দিয়ে ১৯৮০ সালে তৈরি করা হয়েছে পার্কটি। ভেতরে ঢুকেই ভাল লাগল কোলাহল থেকে মুক্ত, লতাগুল্মের ঝোপ ও গাছগাছালির সমবায়ে এক শান্ত আবহ । বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ গাছগাছালি লাগানো রয়েছে। কিছু কিছু গাছের সঙ্গে পরিচয় হলো অধিকাংশই ফুল কিংবা ফলের গাছ হলেও নানান রোগের ঔষধরূপেও কোন কোনটির গুরুত্ব ও কার্যকারিতা লিখে রাখা হয়েছে। ঘুরে ঘুরে দেখা হলো শিশুপার্ক, লেক, কৃত্রিম ওয়াটার ফল।
পার্ক থেকে বেরিয়ে পা বাড়ালাম বহু আকাক্সিক্ষত টুইন টাওয়ারের দিকে। কাছাকাছি পৌঁছে, তাকালাম চার শ’ বায়ান্ন মিটার উঁচু আটাশি তলাবিশিষ্ট ভবনগুলোর দিকে। নকশায় মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রধর্মÑইসলামী শিল্পের প্রতিফলন রয়েছে। এক্সেলেটরে কত তলা পর্যন্ত উঠলাম, খেয়াল করিনি। অনেকটা ওঠার পর থামতে হলো। এর উপরে গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো রয়েছে, সেখানে যাওয়া জনসাধারণের জন্য অনুমোদিত নয়। দোকানপাট, রেস্তরাঁ, সেলুন, ইত্যাদি রয়েছে এর বিভিন্ন তলায়। বড় একটি বইয়ের দোকান দেখে ভেতরে ঢুকলাম। টুইন টাওয়ার সম্পর্কে একটু বিশদভাবে জানার জন্য আগ্রহ ছিল। শেলফে শেলফে সাজানো রয়েছে লেমিনেটেড করা অসংখ্য বই। নাম এবং প্রচ্ছদ দেখে কিনতে হবে, পৃষ্ঠা উল্টেপাল্টে দেখার কোনো সুযোগ নেই। দুটি বই কিনে বেরোলাম। তারপর ঘুরে ঘুরে দেখে, হাল্কা নাস্তা করে নিম্নাভিমুখী যাত্রা। নামার সময়ে এবার আর এক্সেলেটরে নয়, উঠলাম ক্যাপস্যুল-লিফ্টে। এতটা উপর থেকে, নিচের লোকজনকে দেখা যাচ্ছে পিঁপড়ের সারির মতো।
সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসছিল, পেছনে তাকিয়ে দেখলাম পড়ন্ত বিকেলে দেখা টুইন টাওয়ারের রূপ বদলে গেছে নতুন সৌন্দর্যে। নিচের তলায় রয়েছেÑসুরিয়া কেলসিসি মল। সামনের দিকে অবয়বে অপূর্ব বাঁক তুলে অবস্থান করা লেকটিকে দেখা গেল। সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা ফোয়ারাগুলো থেকে উত্থিত জলের ধারা প্রায় ২১/২২ মিটার পর্যন্ত উপরে পৌঁছে যাচ্ছে। সন্ধ্যা অতিক্রান্ত হবার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠা আলোর প্রতিফলনে নয়নাভিরাম হয়ে ধরা পড়ল এর রূপ। স্বল্প দূরত্বের মধ্যে রয়েছে কুয়ালালামপুর টাওয়ার। এটিকে মিনারা কুয়ালালামপুরও বলা হয়। পৃথিবীর উঁচুতম টেলি কমিউনিকিশন টাওয়ারয়ের সারিতে সপ্তম স্থান অধিকার করে আছে এটি। এরও নির্মাণবৈশিষ্ট্যে মালয়েশীয় ইসলামী সংস্কৃতির ছাপ স্পষ্ট। ১৯৯১-সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে ১৯৯৫-তে। জনসাধারণের জন্য একে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে ১৯৯৬-য়ে।
ঘরে ফিরে সদ্য কিনে আনা মালয়েশিয়ার ৫০ বছরের নির্মাণাদি সম্পর্কে লেখা বইটি খুললাম। উল্টেপাল্টে দেখতে দেখতে টুইন টাওয়ার সম্পর্কে পাওয়া গেল বেশকিছু তথ্য। আর্জেন্টেনীয় স্থপতি সিজার পেলির পরিকল্পনায়, ফিলিপিন-মালয়েশীয় ইঞ্জিনিয়ার ডী জয় সরিকোর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে এগুলো। প্রতিষ্ঠানটির স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন থর্নটন টোমাসেট্টি। ১৯৯২ সালে এ ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে ১৯৯৮-য়ের আগস্ট মাসে। পৃথিবীর গভীরতম ১২০ মিটার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে এগুলো। লোহার রড, কংক্রিট, স্টীল, গ্লাস ইত্যাদি উপকরণে তৈরি এ দুটি টাওয়ারের মাঝখানে ৪১ ও ৪২Ñএই দুটি তলার উচ্চতা জুড়ে রয়েছে একটি সংযোগ-সেতু। জনসাধারণের জন্য পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ১৯৯৯ সালের ৩১ আগস্ট। এগুলো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। (চলবে)

No comments

Powered by Blogger.