সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় জনগণের দুর্ভোগ by আবদুর রাজ্জাক

সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কে কাদা জমে যায়। পৌরসভার রাস্তার কি কোনো লক্ষণ আছে? চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর শহরের প্রধান দুটি সড়ক শহীদ ছবুর ও ক্লাব রোডের বেহাল অবস্থা প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন পটিয়া ক্লাব মোড়ের একজন ওষুধের দোকানদার নুরুল আলম।


চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের পটিয়া থানার মোড় থেকে পটিয়া শহীদ আবদুস ছবুর ও ক্লাব রোডটি দুটি শহরের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়ক দুটিতে পানিনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে যায়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তেও পানি জমে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টি হলে কাদার কারণে বর্তমানে পটিয়া শহরে বিভিন্ন বিপণিবিতানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হাজার হাজার ক্রেতা হেঁটে চলাচল করতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
পটিয়া শহীদ ছবুর রোডের হাজী শপিং কমপ্লেক্স প্রসাধনী স্টোরের মালিক মোহামঞ্চদ আশরাফ বলেন, সড়কটি সংস্কার হওয়ার তিন বছর যেতে না যেতে সড়কের মাঝখানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্তে পানি জমে কাদা জমে যায়।
একই রোডের দন্ত চিকিৎসক পুলক আইচ জানান, ছবুর রোডের অর্ধেক অর্থাৎ তাঁদের দোকানের পর থেকে পানিনিষ্কাশনের নালা নেই। পটিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামশুদ্দিন আহমদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘শহীদ ছবুর রোডে এই কাদা কোথায় থেকে আসে তা খুঁজে বের করুন। অথচ সামান্য বৃষ্টি হলে কাদা ও পানির জন্য হাঁটা যায় না।’
পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনর রশিদ বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা নালার ওপর স্ল্যাব দিয়ে নালার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে সড়ক নিচু হয়ে যাওয়ায় সড়কের ওপর পানি জমে থাকে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা সড়কের ওপর বালু রেখে মার্কেট নির্মাণের কাজ করায় বৃষ্টি হলে সড়কে কাদা হচ্ছে। তবে কয়েক দিন আগে পৌরসভার সুইপারদের দিয়ে কাদা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং স্ল্যাব তুলে সড়ক দুটির নালা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছি। তবে শহীদ ছবুর রোডটি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) হওয়ায় গর্ত হওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’
পটিয়া সড়ক ও জনপথ অফিসের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই অফিসের এক কর্মচারী প্রথম আলোকে বলেন, দোকানিরা নালা বন্ধ করে দেওয়ায় সড়কের ওপর পানি জমে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.