বেতন বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ- মেরুল বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ॥ পরে মালিকপক্ষের প্রতিশ্রুতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক
বকেয়া বেতন ও ওভারটাইমসহ ঈদ বোনাসের দাবিতে রাজধানীর প্রগতি সরণির মেরুল বাড্ডায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকালে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন সংঘর্ষ বা যানবাহনে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। প্রায় ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধে পুরো এলাকা অচল হয়ে পড়ে।
এর প্রভাবে রাজধানীজুড়েই ছিল তীব্র যানজট। ২ ঘন্টা পর বিকেল ৫টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মালিক পক্ষের প্রতিশ্রুতির মুখে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে বিক্ষোভকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি না রাখলে কঠোর আন্দোলনে নামবে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তোবা গার্মেন্টেসের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রাস্তয় নামেন। তারা রাস্তায় নেমেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের ৩ মাসের (মে, জুন ও জুলাই ) বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন দিতে মালিকপক্ষ টালবাহানা করছে। এছাড়া ঈদ বোনাস ও ওভার টাইম দিতেও নানা ধরনের গড়িমসি শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে মালিক পক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। মালিক পক্ষের নানা আশ্বাসের মুখে শ্রমিকরা ইতোপূর্বে কয়েক দফায় উদ্যোগ নিয়েও বিক্ষোভ করেননি। নিয়মিত কাজ করেছেন।
বকেয়া বেতনের ইস্যুতে গার্মেন্টসটিতে দীর্ঘ দিন ধরেই অসন্তোষ চলে আসছে। শ্রমিকদের ধারণা ছিল ঈদ উপলক্ষে সবকিছু একত্রে দিয়ে দিবে। কিন্তু ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মালিকপক্ষ তত টালাবাহানা শুরু করেছে। এতে দিন দিন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে। বেতনের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওভারটাইমের টাকাও বকেয়া পড়ে। অথচ মালিক পক্ষের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, ওভার টাইম দেয়ার বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। বকেয়া বেতন নিয়ে নতুন করে টালবাহানা শুরু করে।
বকেয়া বেতন ও ওভার টাইমের দাবিতে কয়েক দফায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মালিকপক্ষের দেনদরবার হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো মালিকপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। সে মোতাবেক মালিকপক্ষের লোকজন কর্তৃক প্রায়ই শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, সামান্য অপরাধে গায়ে হাত তোলার ঘটনাও ঘটছে।
কয়েক দফা দেন দরবার শেষে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে শ্রমিকরা রীতিমত ফুঁসে উঠে। তারা পুরো রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকালে কুড়িল-বিশ্বরোড, বাড্ডা, আনন্দনগর, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী, এয়ারপোর্ট, যাত্রাবাড়ীসহ পুরো এলাকার প্রত্যেকটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানীতে। ফলে রাজধানীতে ছিল তীব্র যানজট।
খবর পেয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে তুলে দিতে চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলে পুরো এলাকায়। হাজার যানবাহন রাস্তায় আটকা পড়ে। পুরো এলাকা একেবারে অচল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা। পরে শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা ও মালিকপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মালিকপক্ষ মাইকযোগে শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। মাইকযোগে প্রতিশ্রুতি ঘোষণাকালে শ্রমিকরা ইতোপূর্বেও বহুবার মালিকপক্ষ এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু রাখেনি বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে মালিকপক্ষ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বকেয়া বেতন, ওভার টাইম ও ঈদ বোনাস দেয়া শুরুর ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জনকন্ঠকে জানান, বিকেল ৫টার দিকে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি কোন শ্রমিকের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপও করেনি পুলিশ। তোবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেন শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছেন। মালিকপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস দেয়া শুরু করেছে। মালিক পক্ষের এমন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের ফলে বিকেল ৫টার দিকে ওই এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে। পুরো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে শ্রমিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মালিকপক্ষ কথা না রাখলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনে যাবে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তোবা গার্মেন্টেসের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রাস্তয় নামেন। তারা রাস্তায় নেমেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের ৩ মাসের (মে, জুন ও জুলাই ) বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন দিতে মালিকপক্ষ টালবাহানা করছে। এছাড়া ঈদ বোনাস ও ওভার টাইম দিতেও নানা ধরনের গড়িমসি শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে মালিক পক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। মালিক পক্ষের নানা আশ্বাসের মুখে শ্রমিকরা ইতোপূর্বে কয়েক দফায় উদ্যোগ নিয়েও বিক্ষোভ করেননি। নিয়মিত কাজ করেছেন।
বকেয়া বেতনের ইস্যুতে গার্মেন্টসটিতে দীর্ঘ দিন ধরেই অসন্তোষ চলে আসছে। শ্রমিকদের ধারণা ছিল ঈদ উপলক্ষে সবকিছু একত্রে দিয়ে দিবে। কিন্তু ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মালিকপক্ষ তত টালাবাহানা শুরু করেছে। এতে দিন দিন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে। বেতনের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওভারটাইমের টাকাও বকেয়া পড়ে। অথচ মালিক পক্ষের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, ওভার টাইম দেয়ার বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। বকেয়া বেতন নিয়ে নতুন করে টালবাহানা শুরু করে।
বকেয়া বেতন ও ওভার টাইমের দাবিতে কয়েক দফায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মালিকপক্ষের দেনদরবার হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো মালিকপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। সে মোতাবেক মালিকপক্ষের লোকজন কর্তৃক প্রায়ই শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, সামান্য অপরাধে গায়ে হাত তোলার ঘটনাও ঘটছে।
কয়েক দফা দেন দরবার শেষে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে শ্রমিকরা রীতিমত ফুঁসে উঠে। তারা পুরো রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকালে কুড়িল-বিশ্বরোড, বাড্ডা, আনন্দনগর, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী, এয়ারপোর্ট, যাত্রাবাড়ীসহ পুরো এলাকার প্রত্যেকটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানীতে। ফলে রাজধানীতে ছিল তীব্র যানজট।
খবর পেয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে তুলে দিতে চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলে পুরো এলাকায়। হাজার যানবাহন রাস্তায় আটকা পড়ে। পুরো এলাকা একেবারে অচল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা। পরে শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা ও মালিকপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মালিকপক্ষ মাইকযোগে শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। মাইকযোগে প্রতিশ্রুতি ঘোষণাকালে শ্রমিকরা ইতোপূর্বেও বহুবার মালিকপক্ষ এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু রাখেনি বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে মালিকপক্ষ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বকেয়া বেতন, ওভার টাইম ও ঈদ বোনাস দেয়া শুরুর ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জনকন্ঠকে জানান, বিকেল ৫টার দিকে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি কোন শ্রমিকের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপও করেনি পুলিশ। তোবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেন শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছেন। মালিকপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস দেয়া শুরু করেছে। মালিক পক্ষের এমন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের ফলে বিকেল ৫টার দিকে ওই এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে। পুরো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে শ্রমিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মালিকপক্ষ কথা না রাখলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনে যাবে তারা।
No comments