এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকল্প থেকেও অর্থ তুলে নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক- বাস্তবায়নে ধীর গতি ॥ ৩৯ কোটি টাকা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি গোল্ডস্টেইনের by হামিদ-উজ-জামান মামুন
প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতির কারণে অসন্তুষ্ট হয়ে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকল্প থেকে অর্থ প্রত্যাহার করছে বিশ্বব্যাংক। পদ্মা সেতুর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্তিশালী প্রকল্প থেকে একটি অংশ প্রায় ৩৯ কোটি টাকা বাতিল করতে চায় সর্বোচ্চ ঋণ দাতা এ সংস্থাটি।
এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি এ্যালেন গোল্ডস্টেইন। সম্প্রতি এক পত্রের মাধ্যমে এ অনুরোধ জানান তিনি। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া ফিন্যান্স এ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্টের আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ শাহ নুর কাইয়ুম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, প্রকল্পের গতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব অর্থ খরচ করা সম্ভব নয়। এসব দিক বিবেচনায় আমরা ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার বাতিল করতে চাচ্ছি। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির দুটি অংশের কার্যক্রমের গতি ভাল। বিশেষ করে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ এবং অফিস আধুনিকায়নের। বাকি অন্য যেসব অংশ আছে সেগুলো বাস্তবায়নের গতি তুলনামূলক অনেক কম। আগামীতে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে আর সময় বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্পটির পরিচালকের বক্তব্য হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন চিঠি আসেনি।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ শীর্ষক একটি প্রকল্প শুরু হয়। চার বছর মেয়াদী প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৭ সালে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন কাজ শেষ না হওয়ায় সর্বশেষ গত জুনে প্রকল্পের মেয়াদ চতুর্থ দফায় বাড়ানো হয়েছে। মেয়াদ বাড়ানোয় ২০০৩ সালের এ প্রকল্পটি শেষ হবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। অর্থাৎ চার বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগছে ১০ বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গতি তুলনামূলক অনেক কম। ফলে বাকি কয়েক মাসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী একটি বড় অংশ অর্থ খরচ করা সম্ভব নয়। এজন্য চুক্তির ৩৯ কোটি টাকা বাতিল করতে চাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় ব্যাংকের নেটওয়ার্কিং ও ইলেক্ট্রনিক্যাল প্যাকেজ, ব্যাংকিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, এটারপ্রাইজ রিসোর্সেস প্ল্যানিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, এটারপ্রাইজ ডাটা ওয়্যারহাউস হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্যাকেজ ক্রয় এবং স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক অটোমেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা, মানবসম্পদ উন্নয়নে আধুনিক নীতিমালা প্রণয়ন করাই ছিল প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ্য।
সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির প্রথম চার বছর বাস্তবায়নের গতি খুব ধীর ছিল। এর পর চার বার সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত জুনে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছ চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। এর পর দাতা সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমতি দেয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রকল্প সংশোধনীর সময় পরিকল্পনা কমিশন অহেতুক সময় নষ্ট করেছে। ফলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের মতো কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে জটিলতার কারণে অন্যান্য প্রকল্পে প্রভাব পড়ে। ফলে পাইপলাইনে হাজার কোটি ডলার আটকে আছে। এসব দিক বিবেচনায় বাস্তবায়নকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। যাতে অন্য কোন সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহেলা করার সুযোগ না পায়।
সূত্র জানায়, মূল প্রকল্প অনুমোদনের সময় বাজেট ছিল ২৮৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করে ৭১ কোটি ৩০ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংক বাকি ২১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয়। প্রথম সংশোধনীতে বাড়ানো হয় ১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্প মেয়াদ বাড়ানো হয় এক বছর, জুন ২০০৮ পর্যন্ত । দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় বাড়ানো হয় ৮৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর মেয়াদ সাড়ে তিন বছর। তৃতীয় সংশোধনীতে সরকারী অর্থায়ন ৬৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্প সাহায্য ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর চতুর্থ দফায় সময় বাড়িয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু এ সময়ে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্পটির পরিচালকের বক্তব্য হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন চিঠি আসেনি।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ শীর্ষক একটি প্রকল্প শুরু হয়। চার বছর মেয়াদী প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৭ সালে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন কাজ শেষ না হওয়ায় সর্বশেষ গত জুনে প্রকল্পের মেয়াদ চতুর্থ দফায় বাড়ানো হয়েছে। মেয়াদ বাড়ানোয় ২০০৩ সালের এ প্রকল্পটি শেষ হবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। অর্থাৎ চার বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগছে ১০ বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গতি তুলনামূলক অনেক কম। ফলে বাকি কয়েক মাসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী একটি বড় অংশ অর্থ খরচ করা সম্ভব নয়। এজন্য চুক্তির ৩৯ কোটি টাকা বাতিল করতে চাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় ব্যাংকের নেটওয়ার্কিং ও ইলেক্ট্রনিক্যাল প্যাকেজ, ব্যাংকিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, এটারপ্রাইজ রিসোর্সেস প্ল্যানিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, এটারপ্রাইজ ডাটা ওয়্যারহাউস হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্যাকেজ ক্রয় এবং স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক অটোমেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা, মানবসম্পদ উন্নয়নে আধুনিক নীতিমালা প্রণয়ন করাই ছিল প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ্য।
সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির প্রথম চার বছর বাস্তবায়নের গতি খুব ধীর ছিল। এর পর চার বার সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত জুনে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছ চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। এর পর দাতা সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমতি দেয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রকল্প সংশোধনীর সময় পরিকল্পনা কমিশন অহেতুক সময় নষ্ট করেছে। ফলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের মতো কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে জটিলতার কারণে অন্যান্য প্রকল্পে প্রভাব পড়ে। ফলে পাইপলাইনে হাজার কোটি ডলার আটকে আছে। এসব দিক বিবেচনায় বাস্তবায়নকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। যাতে অন্য কোন সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নে অবহেলা করার সুযোগ না পায়।
সূত্র জানায়, মূল প্রকল্প অনুমোদনের সময় বাজেট ছিল ২৮৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করে ৭১ কোটি ৩০ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংক বাকি ২১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয়। প্রথম সংশোধনীতে বাড়ানো হয় ১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্প মেয়াদ বাড়ানো হয় এক বছর, জুন ২০০৮ পর্যন্ত । দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় বাড়ানো হয় ৮৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর মেয়াদ সাড়ে তিন বছর। তৃতীয় সংশোধনীতে সরকারী অর্থায়ন ৬৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্প সাহায্য ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর চতুর্থ দফায় সময় বাড়িয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু এ সময়ে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়নি।
No comments