নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ-আলেপ্পো দখলের দাবি সরকার ও বিদ্রোহীদের-তেহরানে সম্মেলন
সিরিয়ার আলেপ্পো নগরীতে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। শহরের সালাহ আল-দিন জেলার দখল নিয়ে পরস্পরবিরোধী খবর পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সরকারি বাহিনী জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানানোর পর বিদ্রোহীরা দাবি করে, পাল্টা হামলায় তা দখল করেছে তারা।
এ ছাড়া আরো কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের এ খবর এমন এক সময় পাওয়া গেল যখন সিরিয়া বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠক আয়োজন করছে ইরান। ওই অঞ্চলে সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান জানিয়েছে, এ সংকট নিয়ে 'যথাযথ' অবস্থানে আছে এমন দেশগুলোকে নিয়েই আলোচনায় বসবে তারা। রাজধানী তেহরানে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই এ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। এতে রাশিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইরাকসহ ৩০টি দেশের প্রতিনিধীরা অংশ নেন।
এদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়ায়েল আল-হালকির নাম ঘোষণা করা হয়। রিয়াদ হিজাবের স্থলাভিষিক্ত হলেন হালকি। গত সপ্তাহে রিয়াদ স্বপক্ষ ত্যাগ করেন।
আলেপ্পোর বেশ কয়েকটি জেলায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় গত বুধবার হামলা শুরু করে সরকারি বাহিনী। তিন সপ্তাহ আগে এলাকাগুলো দখল করে বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সালাহ আল-দিন জেলার রাস্তায়ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সিরিয়ার সর্ববৃহৎ শহর আলেপ্পোর এই জেলাটি দক্ষিণ দিক থেকে আসা সরকারি বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ লাইন হিসেবে বিবেচিত। সরকারি প্রচারমাধ্যম গত বুধবার জানায়, এ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছেন তারা। এ সময় শতাধিক বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তার অথবা হত্যা করা হয়েছে। তবে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) দাবি করেছে, পাল্টা হামলা চালিয়ে জেলা আবার দখল করেছে তারা। সরকারি বাহিনীর ট্যাংক সাঁজোয়া যান ধ্বংসসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তাদের কারো দাবিই যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া আলেপ্পোর হানানো, সাইফ আল-দাওলা, শার ও শাকুর এলাকায় সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা। গত বুধবারের সহিংসতায় ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, তেহরানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে 'সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে যথাযথ ও সঠিক অবস্থানে রয়েছেন' এমন কর্মকর্তারাই অংশ নেবেন। তিনি আরো বলেন, 'সামরিক সহিংসতার পরিবর্তে রাজনৈতিকভাবে সংকট নিরসনের একটি সুযোগ' এটি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি জানান, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ১২ থেকে ১৩টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নেবে। তবে তিনি কোনো দেশের নাম বলেননি। কুয়েত ও লেবানন জানিয়েছে, এ সম্মেলনে তাদের কোনো প্রতিনিধি যাচ্ছে না। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই ল্যাভরভ এ সম্মেলনে যোগ না দিলেও একজন দূতকে পাঠাবে রাশিয়া। বিবিসি জানায়, ইরান ও সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্ররাই এ সম্মেলনে যোগ দেবে। সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি।
এদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়ায়েল আল-হালকির নাম ঘোষণা করা হয়। রিয়াদ হিজাবের স্থলাভিষিক্ত হলেন হালকি। গত সপ্তাহে রিয়াদ স্বপক্ষ ত্যাগ করেন।
আলেপ্পোর বেশ কয়েকটি জেলায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় গত বুধবার হামলা শুরু করে সরকারি বাহিনী। তিন সপ্তাহ আগে এলাকাগুলো দখল করে বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সালাহ আল-দিন জেলার রাস্তায়ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সিরিয়ার সর্ববৃহৎ শহর আলেপ্পোর এই জেলাটি দক্ষিণ দিক থেকে আসা সরকারি বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ লাইন হিসেবে বিবেচিত। সরকারি প্রচারমাধ্যম গত বুধবার জানায়, এ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছেন তারা। এ সময় শতাধিক বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তার অথবা হত্যা করা হয়েছে। তবে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) দাবি করেছে, পাল্টা হামলা চালিয়ে জেলা আবার দখল করেছে তারা। সরকারি বাহিনীর ট্যাংক সাঁজোয়া যান ধ্বংসসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তাদের কারো দাবিই যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া আলেপ্পোর হানানো, সাইফ আল-দাওলা, শার ও শাকুর এলাকায় সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিরীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা। গত বুধবারের সহিংসতায় ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, তেহরানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে 'সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে যথাযথ ও সঠিক অবস্থানে রয়েছেন' এমন কর্মকর্তারাই অংশ নেবেন। তিনি আরো বলেন, 'সামরিক সহিংসতার পরিবর্তে রাজনৈতিকভাবে সংকট নিরসনের একটি সুযোগ' এটি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি জানান, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ১২ থেকে ১৩টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নেবে। তবে তিনি কোনো দেশের নাম বলেননি। কুয়েত ও লেবানন জানিয়েছে, এ সম্মেলনে তাদের কোনো প্রতিনিধি যাচ্ছে না। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই ল্যাভরভ এ সম্মেলনে যোগ না দিলেও একজন দূতকে পাঠাবে রাশিয়া। বিবিসি জানায়, ইরান ও সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্ররাই এ সম্মেলনে যোগ দেবে। সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি।
No comments