ঈদ বাজার-দেশি পণ্যের কদর বাড়ছে by রাজীব আহমেদ

দেশের বাজারে ঈদ উপলক্ষে যে পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে তা তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে আরো মাস ছয়েক আগে, তুলা বা রেশম দিয়ে সুতা তৈরি থেকে শুরু। তারপর তাতে রং মাখানো, কাপড় বোনা, নকশা আঁকা, কাপড় কাটা, সর্বশেষ নানা ডিজাইনের পোশাক তৈরি- বিশাল এই কর্মযজ্ঞ শেষে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছাচ্ছে ঈদের পোশাক।


প্রতিটি পর্যায়েই টাকার দ্রুত হাতবদলে প্রাণ পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। আর রোজার ঈদের কেনাকাটার সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে রয়েছে পোশাক ও জুতা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুটি ক্ষেত্রেই দেশি পণ্য ও ফ্যাশনের কদর আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
কয়েক বছর আগেও শোনা যেত, বলিউডের কোনো নায়িকার নামে ঘটা করে বিক্রি হচ্ছে আকাশছোঁয়া দামের সব পোশাক। বড় বড় শপিং মলে এখনো সেই রকম পোশাক আসছে। তবে তেমন হাঁকডাক নেই। ক্রেতাদের মনে এখন স্থায়ী আসন গেড়েছে দেশি নানা ডিজাইনের, নানা ব্র্যান্ডের পোশাক। ভালো জুতা বলতে এখন আর ইটালি, চীন বা থাইল্যান্ডের জুতা বোঝায় না, জুতার বাজারেও জায়গা করে নিয়েছে দেশি অনেক ব্র্যান্ড।
তবে নামি-দামি ব্র্যান্ডের বাইরে যে বাজার, তার আকার সবচেয়ে বড়। আর এ বাজারের সিংহভাগ জুড়েই রাজত্ব করছে দেশীয় পণ্য। রাজধানীসহ সারা দেশের স্থায়ী-অস্থায়ী সব বাজার, দোকান ছাড়িয়ে ফুটপাত পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। কিন্তু ঈদকে ঘিরে দেশজুড়ে খুচরা বিক্রির সবচেয়ে বড় এই আয়োজনের কোনো অর্থনৈতিক হিসাব কারো কাছে নেই। দেশের ৯ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার অংশীদারিত্ব ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ঈদ বাজারের অংশ কত, তা নিরূপণ করা হয়নি।
জানা গেছে, উন্নত দেশগুলোতে উৎসব উপলক্ষে খুচরা বিক্রি কত শতাংশ বাড়ে তা নিরূপণ করা হয়। বাংলাদেশে এ চর্চা এখনো শুরু করেনি পরিসংখ্যান ব্যুরো। ধারণা করা হয়, পুরো বছরে যে কেনাবেচা হয়, তার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয় ঈদ মৌসুমে।
সাম্প্রতিক এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক মামুন রশিদ বলেন, রোজার মাসজুড়ে মানুষ যে বাড়তি খরচ করে তার পরিমাণ হবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে পোশাক-আশাকসহ কেবল ঈদ কেন্দ্রিক কেনাকাটার খরচই ১৪ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ভোক্তা-চালিত। ঈদকে ঘিরে মানুষের যে উৎসব বাড়ে, তাতে অর্থনীতি গতিশীলতা পায়।
বাংলাদেশ বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। ৩০ বছর ধরে এ শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ববাজার জয় করলেও বছর দশেক আগেও দেশীয় বাজার ছিল ভারত অথবা আশপাশের দেশগুলোর পোশাকের দখলে। কিন্তু গত শতাব্দীর শেষ দশক থেকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। বর্তমানে বাজারে আধিপত্য দেশীয় পোশাকের। এ আধিপত্য যেমন পোশাক নকশা ও ফ্যাশনে, তেমনি পোশাকের উৎপাদন প্রক্রিয়ায়। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো যেমন বাজার শাসন করছে, তেমনি বাজারজুড়ে বিক্রি হচ্ছে দেশে উৎপাদিত পোশাক।
দেশি ফ্যাশনের কদর যে বাড়ছে তা দেখা যায় দেশি সব ফ্যাশন হাউসের শোরুমে গেলে। রুচিসম্মত পোশাক নির্দিষ্ট দামে কিনতে সব বয়সী ক্রেতাই ভিড় করে সেখানে। পুরনো চেনাজানা শোরুম তো আছেই, নতুন ফ্যাশন হাউসগুলোও সহজেই নজর কাড়ে ক্রেতাদের। তেমনি একটি শপিং মল রাজধানীর উত্তরার 'স্বদেশী'। নতুন এ ফ্যাশন সম্ভার স্বদেশীর আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম বলেন, দেশি ডিজাইনের কদর বাড়ছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন ফ্যাশন হাউসের জন্ম হচ্ছে। দেড় দশক আগে যারা একটি শোরুম নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তাঁদের এখন ১০-১২টা শোরুম। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অনেক মানুষের শ্রম, জীবিকা। দেশি বস্ত্র, নকশা, উপকরণ ব্যবহৃত হচ্ছে এখানে। বিলুপ্তির পথে থাকা তাঁত প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ও অভ্যন্তরীণ খাতের জন্য ১০-১৫ বছর আগেও সুতা, কাপড় ও তুলা আমদানি প্রায় সমান সমান ছিল। কিন্তু এখানে বিশাল একটি টেক্সটাইল খাত তৈরি হয়েছে। এ খাত বিদেশে রপ্তানি ও দেশের বাজারের জন্য কাপড় তৈরি করছে। ফলে এখন কাপড় নয়, সুতা নয়- আমদানি হচ্ছে তুলা। ওই তুলা থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা, পরে কাপড়।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গির আলামিন কালের কণ্ঠকে বলেন, রপ্তানি খাত বাদে অন্য খাতে এখন সুতা বা কাপড় আমদানি হয় খুবই নগণ্য পরিমাণে। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর পোশাকের জন্য যে কাপড়ের প্রয়োজন তা মেটাচ্ছে দেশীয় টেক্সটাইল মিল ও তাঁতগুলো। দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড এখন এসব টেক্সটাইল মিলের কাছ থেকে কাপড় কিনে পোশাক তৈরি করে। তাদের অনেকে কিছু কিছু কাপড় আমদানিও করে।
ঈদ বাজারে কম দামি লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, শাড়ি- এ তিনটি নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান পণ্য। দেশের জনগোষ্ঠীর ৩২ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ মানুষের এসব মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া কেনার সামর্থ্য নেই। কম দামের শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবির বাজার বিশাল আকারের তবে কোনো হিসাব নেই। দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ যদি এগুলো কেনার পেছনে গড়ে ৫০ টাকা ব্যয় করে তবুও ঈদ মার্কেটে বিক্রি হবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার পণ্য। এসব পণ্য উৎপাদনকারী থেকে ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছাতে কমপক্ষে চার দফায় হাতবদল হয়ে দেশের অর্থনীতিতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার অবদান রাখবে। এসব শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবির পুরোটাই তৈরি হয় দেশে। তবে বাংলাদেশে যেহেতু তুলা হয় না, তাই তুলা এবং অনেক ক্ষেত্রে সুতা আমদানি হয় বিদেশ থেকে। এর পাশাপাশি এগুলোর রং ও অন্যান্য রাসায়নিকও আমদানি হয়।
দেশের কয়েকটি তাঁতঘন এলাকা থেকে ঈদ উপলক্ষে তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, পাঞ্জাবির কাপড়, মেয়েদের পোশাকের কাপড় ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। দেশের তাঁতপ্রধান এলাকাগুলোতে রয়েছে বড় বড় কাপড়ের হাট। নরসিংদীর বাবুরহাট, টাঙ্গাইলের বাজিতপুর হাট, ঢাকার ডেমরার হাট, খুলনার ফুলতলা হাট, কুষ্টিয়ার কুমারখালী হাট, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর ও সোহাগপুর হাট এবং বগুড়ার শাওয়াইল হাট জোগান দিচ্ছে দেশের তাঁতের কাপড়ের ৯০ শতাংশ পোশাক।
দেশের জনসংখ্যার সাড়ে পাঁচ কোটি শিশু, যাদের বয়স ১৪ বছরের মধ্যে। এই শিশুদের জন্য যে বিপুল পরিমাণ পোশাক প্রয়োজন তার প্রায় পুরোটাই তৈরি হচ্ছে দেশে। এদের পোশাকের বড় অংশ দেশি পোশাক কারখানায় অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্যই তৈরি হয়। আবার একটা বড় অংশ আসে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো থেকে। এসব পোশাক কারখানার অর্ডারের চেয়ে বেশি তৈরি করা পোশাক, রপ্তানি করতে না পারা স্টক লট ও রিজেকটেড পোশাকের মাধ্যমে দেশের শিশুদের পোশাকের বড় চাহিদা মেটে। ঢাকার ছোট-বড় সব মার্কেটে ছোটদের যেসব পোশাক বিক্রি হয়, তার উৎস কেরানীগঞ্জের পোশাক কারখানা অথবা রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা।
শহরের মধ্য আয়ের মানুষের পোশাকের চাহিদা মিটছে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে। কমপক্ষে ৫০টি ফ্যাশন হাউসের নাম বলা যায়, যেগুলো ১০-১৫ বছর ধরে দেশের মানুষের রুচি পাল্টে দিয়েছে। বছর বছর এসব ফ্যাশন হাউসের বিক্রি বাড়ছে। সম্প্রসারিত হচ্ছে শাখা। এগুলোতে ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হয়। আর প্যান্ট-শার্ট অথবা টি-শার্টের জন্য ছেলেদের ভরসা রপ্তানিমুখী পোশাক খাত আর দেশীয় কিছু ব্র্যান্ড। প্রতিবছর রপ্তানিমুখী পোশাক খাত থেকে শিশুদের পোশাকের মতো বিপুল পরিমাণ প্যান্ট, শার্ট ও টি-শার্ট স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়।
ঢাকার ইসলামপুরের পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, একসময় ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসার বড় অংশ আমদানিনির্ভর কাপড়ের ব্যবসা ছিল। এখন মেয়েদের কাপড় আমদানি হয় খুবই সামান্য। আর ছেলেদের জন্য কাপড় আমদানি আগের চেয়ে কমেছে। এখন অনেক দেশি টেক্সটাইল মিল ভালো কাপড় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করছে।
ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে নিম্ন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ যে পোশাক কেনে, এর বড় অংশের জোগান আসে বুড়িগঙ্গার ওপারের কেরানীগঞ্জ থেকে। ওই উপজেলার আগানগর ও শুভাড্যা ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে পোশাক তৈরির বিশাল শিল্প। কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট মালিক ও দোকান মালিক সমিতির তথ্য মতে, ওই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় কারখানা গড়ে উঠেছে। ওই সব কারখানায় কাজ করেন পাঁচ থেকে ছয় লাখ শ্রমিক। দেশের অভ্যন্তরীণ পোশাকের চাহিদার প্রায় ৫০ ভাগ মেটান তাঁরা।
ওই এলাকা বিখ্যাত ছেলেদের প্যান্ট তৈরির জন্য। ঢাকার বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, ঢাকা কলেজের সামনের পোশাকের মার্কেটের বেশির ভাগ প্যান্ট আসে কেরানীগঞ্জ থেকে। শুধু ঢাকায় নয়, পুরো দেশেই যে জিন্স প্যান্ট ও গ্যাবার্ডিন কাপড়ের প্যান্ট বিক্রি হয়, এর প্রায় সবই তৈরি হয় কেরানীগঞ্জে। আর এখানে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার অতিরিক্ত কাপড় থেকে বেশির ভাগ পোশাক তৈরি হয়।
বিদেশি পণ্য বলতে দেশে ভারত থেকে কিছু মেয়েদের পোশাক আমদানি হয়। আবার চোরাই পথে প্রচুর পোশাক আসে। ভারত থেকে শাড়িও আসে। ঢাকার বড় বড় শপিং মলে বিদেশি পণ্য পাওয়া যায়। কিছু বিদেশি ব্র্যান্ডও এ দেশে তাদের পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। তবে ঈদ বাজারে মোট বিক্রিতে তাদের অংশ নগণ্য।
মিরপুর বেনারসি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কলিম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বেশির ভাগ শাড়ি নিজেরাই তৈরি করি। তবে কিছু দামি শাড়ি ভারত থেকে আমদানি করা হয়। জর্জেট শাড়ি এখানে তৈরি হয় না। এটা আমদানি করা হয়। তবে আমদানির পরে এর ওপর নানা ধরনের কাজ করে মূল্য সংযোজন করা হয়।'
দেশের পাদুকার বাজারের বড় অংশের ক্রেতা মধ্য আয়ের মানুষ। তারা তাদের কেনা জুতাটি যাতে একটু বেশি দিন টেকে এ জন্য ব্র্যান্ডের জুতা কিনতেই পছন্দ করে। বাটা, এপেক্স, বে, জেনিসসহ বেশ কিছু কম্পানির দখলে এই দেশীয় পণ্যের বাজার। এ ছাড়া আফজাল সুজ, বগুড়ার পায়ে পায়ে সুজসহ স্থানীয় কিছু কম্পানিরও বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশে ৮-১০টি ছোট-বড় জুতার ব্র্যান্ড আছে, যারা নিজেরা রপ্তানি করার পাশাপাশি দেশের বাজারে জুতা বিক্রি করছে। ব্র্যান্ডের মধ্যে আন্তর্জাতিক কম্পানি বাটা দেশীয় চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ করে। আর দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান এপেক্স সরবরাহ করে ৬ শতাংশ।
তবে এর বাইরেও রয়েছে বিরাট এক শ্রেণীর ক্রেতা, যারা ফুটপাত অথবা সস্তা মার্কেট থেকে জুতা কেনে। তাদের জুতার সরবরাহ আসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা জুতার কারখানা থেকে। এসব জুতার বেশির ভাগ উপকরণ আমদানি করা হয় চীন থেকে। এর সঙ্গে দেশীয় কিছু কম দামি চামড়া যোগ করে তৈরি হয় পাদুকা।
ফুটপাতের বাজারের জুতাগুলোর কারখানা গড়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। রাজধানীর অলিগলির পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা শহরেও আছে অনেক কারখানা। তবে জুতা তৈরির জোন হিসেবে গড়ে উঠেছে রাজশাহীর চারঘাট থানার কালুহাটি গ্রাম। ওই গ্রামে ছোট-বড় প্রায় ৩৫টি কারখানা গড়ে উঠেছে, যেসব কারখানা উত্তরবঙ্গের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকার বাজারেও জুতা বিক্রি করে।
এপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম মনজুর মনে করেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের কল্যাণে বাংলাদেশের মানুষের ব্র্যান্ড সচেতনতা বেড়েছে। এখন মানুষ যে পণ্যটি কেনে সেটি কোন কম্পানি তৈরি করেছে, তা দেখে কেনে। আর এলাকাভিত্তিক কিছু ব্র্যান্ডও গড়ে উঠেছে, যার উদাহরণ বগুড়ার 'পায়ে পায়ে সুজ'। রপ্তানির চেয়ে এখন তাঁদের দেশের বাজারেই লাভ হচ্ছে বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.