পোশাক কারখানা- গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে বেতন উৎসব ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ
বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের পাঁচটি পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে রপ্তানিমুখী একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বোর্ডবাজার সাইনবোর্ড এলাকায় ডিইএন স্পোর্টস নামের পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিক ও স্টাফদের গত জুন ও জুলাই মাসের বকেয়াসহ উৎসব ভাতা গতকাল সকালে পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা না দেওয়ায় শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটি বেলা ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে দুপুর ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু করে। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কর্তৃপক্ষ ১৪ আগস্ট শ্রকিদের পাওনাদি পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা চলে যান।
নলজানী এলাকায় এপকট অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকেরা জুলাই মাসের বকেয়া বেতন, আগস্ট মাসের অর্ধেক বেতনসহ উৎসব ভাতা ও ঈদের ছুটি ১০ দিন করার দাবিতে বেলা দুইটায় কর্মবিরতি শুরু করেন। আগামী রোববার তাঁদের বেতন উৎসব ভাতা ও ছুটি ১০ দিন দেওয়ার আশ্বাসে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন।
টঙ্গীর বেক্সিমকো সড়ক এলাকার সিনকি কারখানার শ্রমিকেরা একই দাবিতে গতকাল কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কর্তৃপক্ষ জুলাই মাসের বকেয়া বেতন, উৎসব ভাতা ও এ মাসের ১০ দিনের বেতন দিতে রাজি হলে তাঁরা কাজে ফিরে যান।
একই দাবিতে সকালে সফিপুর এলাকার গোমতি টেক্সটাইল লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ ও কারখানার কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ছাড়া টঙ্গীর দেওড়া এলাকায় পার্ল প্রিন্স অ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বেতন, উৎসব ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। একপর্যায়ে পার্ল প্রিন্স অ্যাপারেলসের শ্রমিকেরা ভবনের জানালার কাচ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা চেরাগ আলী এলাকার ডেসকো মোড়ে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ জোন-২ (গাজীপুর)-এর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মাহফুজু আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী এলাকায় সকালে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা র্যাকের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। ভাঙচুর করেন বেশ কয়েকটি যানবাহন।
শ্রমিকেরা জানান, র্যাকে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন। গত এপ্রিল ও জুন মাসে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৩০০ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। ছাঁটাই করা শ্রমিকদের গতকাল সকালে বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। সকালে ওই শ্রমিকেরা কারখানার সামনে এসে জানতে পারেন কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় তাঁরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া তাঁরা কারখানার সামনে ঢাকা-আদমজী-ডেমরা সড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল বের করেন। তাঁরা রাস্তার ওপরে টায়ার ও গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আদমজীনগরে অবস্থিত শিল্প-পুলিশ-৪-এর পরিচালক মাহবুব আলম জানান, শনিবার বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে দুপুর ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু করে। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কর্তৃপক্ষ ১৪ আগস্ট শ্রকিদের পাওনাদি পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা চলে যান।
নলজানী এলাকায় এপকট অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকেরা জুলাই মাসের বকেয়া বেতন, আগস্ট মাসের অর্ধেক বেতনসহ উৎসব ভাতা ও ঈদের ছুটি ১০ দিন করার দাবিতে বেলা দুইটায় কর্মবিরতি শুরু করেন। আগামী রোববার তাঁদের বেতন উৎসব ভাতা ও ছুটি ১০ দিন দেওয়ার আশ্বাসে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন।
টঙ্গীর বেক্সিমকো সড়ক এলাকার সিনকি কারখানার শ্রমিকেরা একই দাবিতে গতকাল কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কর্তৃপক্ষ জুলাই মাসের বকেয়া বেতন, উৎসব ভাতা ও এ মাসের ১০ দিনের বেতন দিতে রাজি হলে তাঁরা কাজে ফিরে যান।
একই দাবিতে সকালে সফিপুর এলাকার গোমতি টেক্সটাইল লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ ও কারখানার কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে। এ ছাড়া টঙ্গীর দেওড়া এলাকায় পার্ল প্রিন্স অ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বেতন, উৎসব ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। একপর্যায়ে পার্ল প্রিন্স অ্যাপারেলসের শ্রমিকেরা ভবনের জানালার কাচ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা চেরাগ আলী এলাকার ডেসকো মোড়ে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ জোন-২ (গাজীপুর)-এর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মাহফুজু আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী এলাকায় সকালে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা র্যাকের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। ভাঙচুর করেন বেশ কয়েকটি যানবাহন।
শ্রমিকেরা জানান, র্যাকে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন। গত এপ্রিল ও জুন মাসে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৩০০ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। ছাঁটাই করা শ্রমিকদের গতকাল সকালে বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। সকালে ওই শ্রমিকেরা কারখানার সামনে এসে জানতে পারেন কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় তাঁরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া তাঁরা কারখানার সামনে ঢাকা-আদমজী-ডেমরা সড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল বের করেন। তাঁরা রাস্তার ওপরে টায়ার ও গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আদমজীনগরে অবস্থিত শিল্প-পুলিশ-৪-এর পরিচালক মাহবুব আলম জানান, শনিবার বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
No comments