সৌরশক্তির জগতে মেঘের ছায়া by জুবায়ের আব্দুল বারি
ইউরোপের সৌরশক্তি শিল্পে রোদ ঝলমলে দিনগুলো যেন শেষ হতে চলেছে। কারণ, চীন থেকে অনেক সস্তায় সৌরশক্তি উৎপাদন সম্ভব। তাই এবার ইউরোপের ২০টি কোম্পানি ইউরোপীয় কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত কয়েক মাসে জার্মানির অনেক সৌরশক্তি কোম্পানিই দেউলিয়া হয়েছে : কিউ-সেল্স, সোভেল্লো, সোলোন। অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেও এই কোম্পানিগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করছিল। আজ তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা। তার কারণ নাকি চীন থেকে আমদানি করা সস্তার মাল। ইউরোপীয় কমিশনের কাছে যে কোম্পানিগুলো অভিযোগ এনেছে, তারা নিজেদের নাম দিয়েছে ইইউ প্রো’সান। এদের মুখপাত্র হলেন সোলারওয়ার্ল্ড সৌরশক্তি কোম্পানির মিলান নিটশে। নিটশে বলেছেন, ‘প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ বিকৃত। চীন থেকে বিপুল পরিমাণ ফোটোভোলটেইক সেল আসছে ডাম্পিং দরে, আর ইউরোপীয় সেল নির্মাতারা তাদের ন্যায্য দর নিয়ে মার খাচ্ছে।’
জার্মানিতে এখন যে ফোটোভোলটেইক সেলগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের ৮০ শতাংশই আসছে চীন থেকে। অপরদিকে এখানকার সৌরশক্তি শিল্পকে ঝুঁকতে হচ্ছে মাত্রাধিক উৎপাদন, পড়তি দাম এবং ভর্তুকি হ্রাসের সঙ্গে। চীনের বিরুদ্ধে প্রো’সানের অভিযোগের মূল কারণ হলো চীনের সৌরশক্তি সংস্থাগুলো সরকারের কাছ থেকে কিছু বিশেষ সুবিধা পায়, যার ফলে তারা বাজারদরের চেয়ে কম দামে তাদের পণ্য বিক্রয় করতে পারে। অবশ্য সব বিশেষজ্ঞই যে প্রো’সানের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন, এমন নয়। ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের সৌরশক্তি সংক্রান্ত প্রখ্যাত গবেষণা কেন্দ্রের আইকে ওয়েবার স্মরণ করিয়ে দেন যে, সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ৬০ গিগাওয়াট বিদ্যুত তৈরির মতো সেল উৎপাদন করা হয়, কিন্তু বিক্রি হয় শুধু ৩০ গিগাওয়াট পরিমাণ সেল : ‘সারা বিশ্বেই মাত্রাধিক উৎপাদন চলেছে। কাজেই কিছু কিছু সংস্থা নগদ টাকার প্রয়োজনে তাদের সেলগুলো বেচতে রাজি, তা বিশ্ব-বাজারদরে উৎপাদনের খরচ না পোষালেও।’
সৌরশক্তি ব্যবহার করলে বিদ্যুতের ব্যয় কমে যায়
চীনে তৈরি ফোটোভোলটেইক সেলগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশ উপাদান আসে আবার জার্মানি থেকে, যেমন পলিসিলিকন, নানা ধরনের মেশিন এবং বিশেষ ধরনের কাঁচ, এ সবই চীন আমদানি করে জার্মানি থেকে। অপরদিকে খোলাবাজার এবং মুক্ত বাণিজ্য ছাড়া সৌরশক্তিকে সাধারণ মানুষদের পক্ষে সহজলভ্য করা, এক কথায়, ফোটোভোলটেইক সেল ইত্যাদির দাম কমানো সম্ভব নয়। চীনের সানটেক সংস্থার বিয়র্ন এমডে বলেন, ‘প্রো’সানের মামলার ফলে প্রযুক্তিতে জার্মানির নেতৃস্থানীয় অবস্থান তো আর বিপন্ন হচ্ছে না। বিপন্ন হচ্ছে ব্যাপক পরিমাণে সেল উৎপাদন। এক্ষেত্রে আমরা কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের তুলনা আনতে পারি। এদের ক্ষেত্রেও এ সব পণ্যের উৎপাদন যে সব দেশে সস্তা, সেখানেই যেতে শুরু করে।’
দু’মাস আগেই মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে চীন থেকে আসা ফোটোভোলটেইক সেলের উপর বাড়তি মাশুল বসায়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী হেমন্তে। ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের আইকে ওয়েবার এ ধরণের শাস্তিমূলক মাশুলের কার্যকরিতা সম্পর্কে সন্দিহান : ‘সংরক্ষণনীতি বিশ্বের বাজারের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। ও ধরনের মাশুলের একটি ফল হবে, জার্মানিতে সৌরশক্তি আবার দুর্মূল্য হয়ে পড়বে।’ ওয়েবারের মতে ইউরোপ নিজেই রফতানির ওপর নির্ভর। কাজেই ইউরোপের নিজের স্বার্থেই মুক্ত বাণিজ্যের সপক্ষে এবং সংরক্ষণনীতিমূলক বাড়তি মাশুলের বিপক্ষে হওয়া উচিত। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিগুলি স্বভাবতই খোলাবাজারের চেয়ে সংরক্ষণনীতিতেই নিরাপত্তা খোঁজে।
জার্মানিতে এখন যে ফোটোভোলটেইক সেলগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের ৮০ শতাংশই আসছে চীন থেকে। অপরদিকে এখানকার সৌরশক্তি শিল্পকে ঝুঁকতে হচ্ছে মাত্রাধিক উৎপাদন, পড়তি দাম এবং ভর্তুকি হ্রাসের সঙ্গে। চীনের বিরুদ্ধে প্রো’সানের অভিযোগের মূল কারণ হলো চীনের সৌরশক্তি সংস্থাগুলো সরকারের কাছ থেকে কিছু বিশেষ সুবিধা পায়, যার ফলে তারা বাজারদরের চেয়ে কম দামে তাদের পণ্য বিক্রয় করতে পারে। অবশ্য সব বিশেষজ্ঞই যে প্রো’সানের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন, এমন নয়। ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের সৌরশক্তি সংক্রান্ত প্রখ্যাত গবেষণা কেন্দ্রের আইকে ওয়েবার স্মরণ করিয়ে দেন যে, সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ৬০ গিগাওয়াট বিদ্যুত তৈরির মতো সেল উৎপাদন করা হয়, কিন্তু বিক্রি হয় শুধু ৩০ গিগাওয়াট পরিমাণ সেল : ‘সারা বিশ্বেই মাত্রাধিক উৎপাদন চলেছে। কাজেই কিছু কিছু সংস্থা নগদ টাকার প্রয়োজনে তাদের সেলগুলো বেচতে রাজি, তা বিশ্ব-বাজারদরে উৎপাদনের খরচ না পোষালেও।’
সৌরশক্তি ব্যবহার করলে বিদ্যুতের ব্যয় কমে যায়
চীনে তৈরি ফোটোভোলটেইক সেলগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশ উপাদান আসে আবার জার্মানি থেকে, যেমন পলিসিলিকন, নানা ধরনের মেশিন এবং বিশেষ ধরনের কাঁচ, এ সবই চীন আমদানি করে জার্মানি থেকে। অপরদিকে খোলাবাজার এবং মুক্ত বাণিজ্য ছাড়া সৌরশক্তিকে সাধারণ মানুষদের পক্ষে সহজলভ্য করা, এক কথায়, ফোটোভোলটেইক সেল ইত্যাদির দাম কমানো সম্ভব নয়। চীনের সানটেক সংস্থার বিয়র্ন এমডে বলেন, ‘প্রো’সানের মামলার ফলে প্রযুক্তিতে জার্মানির নেতৃস্থানীয় অবস্থান তো আর বিপন্ন হচ্ছে না। বিপন্ন হচ্ছে ব্যাপক পরিমাণে সেল উৎপাদন। এক্ষেত্রে আমরা কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের তুলনা আনতে পারি। এদের ক্ষেত্রেও এ সব পণ্যের উৎপাদন যে সব দেশে সস্তা, সেখানেই যেতে শুরু করে।’
দু’মাস আগেই মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে চীন থেকে আসা ফোটোভোলটেইক সেলের উপর বাড়তি মাশুল বসায়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী হেমন্তে। ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের আইকে ওয়েবার এ ধরণের শাস্তিমূলক মাশুলের কার্যকরিতা সম্পর্কে সন্দিহান : ‘সংরক্ষণনীতি বিশ্বের বাজারের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। ও ধরনের মাশুলের একটি ফল হবে, জার্মানিতে সৌরশক্তি আবার দুর্মূল্য হয়ে পড়বে।’ ওয়েবারের মতে ইউরোপ নিজেই রফতানির ওপর নির্ভর। কাজেই ইউরোপের নিজের স্বার্থেই মুক্ত বাণিজ্যের সপক্ষে এবং সংরক্ষণনীতিমূলক বাড়তি মাশুলের বিপক্ষে হওয়া উচিত। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিগুলি স্বভাবতই খোলাবাজারের চেয়ে সংরক্ষণনীতিতেই নিরাপত্তা খোঁজে।
No comments