সরেজমিন সায়েদাবাদ মহাখালী গাবতলী-মধ্যবর্তী ছুটিতে ঈদের আমেজ

ঈদের ছুটি এখনো শুরু হয়নি। তবে তার আগে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত তিন দিনের ছুটি পড়ে গেছে। মধ্যবর্তী এই ছুটি কাজে লাগাচ্ছেন অনেকেই। ঈদের সময় যাতায়াতের বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে যাদের সুযোগ রয়েছে তারা কর্মক্ষেত্র থেকে আগেভাগে ছুটি নিয়ে সপরিবারের বাড়ির পথে পাড়ি জমিয়েছেন।


কেউ বা নিজে থেকে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
গতকাল ঢাকার প্রধান তিন বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে এখনো ঈদের মতো ভিড় চোখে পড়েনি কোথাও। ঈদের মেজাজ চড়তে শুরু করেছে কেবল। তিন টার্মিনালেই মিলেছে ঈদের জমজমাট ভিড়ের পূর্বাভাস।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের রায়হান। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বিয়ে করেছেন দুই মাস আগে। স্ত্রীকে নিয়ে ঈদ করার জন্য যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। আগেভাগেই বাড়ি যাওয়ার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এসেছিলেন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। রায়হান জানান, ঈদের দুই-তিন দিন আগে বাড়ি যাওয়া অনেক কষ্টের। এ কারণে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে এবার তিনি একটু আগেভাগেই গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। টার্মিনালের অবস্থা দেখে খুশি খুশি ভাব নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবারই প্রায় ঝুলতে ঝুলতে বাড়ি যাই। আজ ভিড় নেই দেখে ভালো লাগছে।'
রায়হানের মতোই আরো অনেককে দেখা গেল গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছেন। তবে এখনো ঈদের যাত্রীদের চাপ না বাড়ায় স্বচ্ছন্দেই বাসে সিট পাচ্ছেন। গুনতে হচ্ছে না বাড়তি ভাড়াও। টার্মিনালে বিভিন্ন পরিবহনের সুপারভাইজার, হেলপাররা জানান, বাড়তি ভাড়া দূরের কথা, রেট করা ভাড়াও পাচ্ছেন না তাঁরা। তবে আগামী সোমবার থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে আশা করছেন তাঁরা। কয়েকজন জানালেন, ঈদের দুই দিন আগে তাঁরা বাসের ভাড়া বাড়িয়ে দেবেন।
সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, ফেনী, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল করে। গতকাল টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ রুটের বাসেই সিট খালি। যাত্রী তোলার জন্য ডাকাডাকির চিত্রও অন্যান্য দিনের মতোই। যাত্রীরাও কম ভাড়া দিয়ে কিভাবে যেতে পারবেন তার জন্য দরকষাকষি করছেন। বাসগুলোর টার্মিনাল থেকে বের হওয়া নিয়ে নিয়ম-কানুনের শিথিলতায় কিছুটা বিশৃঙ্খলাও চোখে পড়ে। রুসমত আলী নামে এক লাইনম্যান জানান, সারাক্ষণ এই বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই এটা বাড়বে। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করায় এই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ফলে যানজটও বাড়ে।
কয়েকজন সুপারভাইজার জানান, ঈদ এলেও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যাওয়া বাসের মালিক, চালক, হেলপারসহ কারোরই মনে শান্তি নেই। সায়েদাবাদ থেকে প্রতিটি বাস যাত্রাবাড়ী মোড় পেরোতেই সময় লেগে যাচ্ছে ঘণ্টাখানেকের বেশি। আর ফিরে আসার সময় কাঁচপুর থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছাতে কখনো কখনো তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে দুর্ভোগের আশঙ্কা।
তাঁদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল ঢাকা-সিলেট রুটের একটি বাসের চালক ইদ্রিস আলীর কথায়। তিনি জানান, সিলেটে যাওয়ার সময় যাত্রাবাড়ী মোড় পেরোনোটা যত না কষ্টের, তারচেয়ে দ্বিগুণ কষ্টের হয়ে দাঁড়ায় ফেরার সময়। কাঁচপুর থেকে সায়েদাবাদ টার্মিনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়। যাত্রীরা অনেকেই পথে নেমে পড়েন। কিন্তু চালক হওয়ায় তাঁকে গাড়িতেই থাকতে হয়। কখনো কখনো যাত্রাবাড়ীর কাছাকাছি এক কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে দেড়-দুই ঘণ্টা সময়ও লেগে যায়।
গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেট্রো জ ১৪-০৩১৬ নম্বর বাসটি সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যায় নোয়াখালীর সোনাপুরের উদ্দেশে। টার্মিনাল থেকে বাসটি বের হয়ে প্রধান সড়কে যাওয়ার পরও প্রায় অর্ধেক আসন খালি দেখা যায়। এই বাসের সহকারী আরমান কালের কণ্ঠকে জানান, ঈদের যাত্রী এখনো তেমন যাওয়া শুরু করেনি। তাঁরা নিয়মিত যাত্রীই পাচ্ছেন। তিনি জানান, তবে সোমবার থেকে ঈদে বাড়ি ফেরা লোকজনের চাপ বাড়বে।
নিউ যাত্রী সেবা নামে একটি বাসের সুপারভাইজার আমজাদ হোসেন জানান, ঢাকা থেকে কুমিল্লার ভাড়ার হার নির্ধারণ করা রয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু যাত্রীর অভাবে ৬০-৭০ টাকা দিয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। আলী আকবর নামের এক যাত্রী যাবেন কুমিল্লা। তাঁকে নিউ যাত্রী সেবা বাসে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করছিলেন সুপারভাইজার ও লাইনম্যানরা। কিন্তু তিনি কুমিল্লা যেতে ৫০ টাকার বেশি দিতে রাজি নন। আর এ নিয়ে যাত্রী ও হেলপারের মধ্যে কথাকাটাকাটি হতেও দেখা যায়।
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপাররা বলেন, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদের ফ্লাইওভারের কাজ যদি এখন বন্ধ না করা হয়, তাহলে ঈদে বাড়ি ফেরা লোকজনকে মহাদুর্ভোগ পোহাতে হবে। তাঁরা জানান, একদিকে রাস্তার অবস্থা বেহাল, অন্যদিকে ফ্লাইওভারের কাজের কারণে এই এলাকায় প্রচণ্ড যানজট লেগেই থাকে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসগুলো বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু গতকাল এ চিত্র দেখা গেল না। এর মূল কারণ ঈদের ঘরমুখো যাত্রী। প্রায় প্রত্যেক গাড়িই বাসস্ট্যান্ড থেকে পুরোপুরি ভরে যাচ্ছে। তবে প্রতি বৃহস্পতিবারই মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের এমন চাপ থাকে। কারণ যাঁদের বাড়ি টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় তাঁরা সাধারণত সপ্তাহের এই দিনটিতে বাড়িতে যান, আবার শনিবার সকালে ফিরে এসে অফিস করেন। অটবির কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক অন্য দিনের মতোই অফিস শেষে নেত্রকোনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে টার্মিনালে বসেছিলেন। তিনি বলেন, 'মনে হতে পারে আমি ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। আসলে আমি প্রত্যেক সপ্তাহেই যাই।'
মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক বলেন, 'গার্মেন্ট এবং সরকারি অফিসগুলো ছুটি হলেই আমাদের যাত্রী বাড়বে। কোনোরকম বাড়তি টাকা না নেওয়ার জন্য সব পরিবহনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর তেমন কোনো সমস্যা নেই।'
মহাখালী টার্মিনালে ঈদের ভিড় এখনো সেভাবে শুরু না হলেও অন্য সময়ের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। অনেকেই পরিবার-পরিজন আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, যাতে যানজটের ঝামেলায় পড়তে না হয়। এ টার্মিনাল থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাসহ সিলেটেও যাওয়া যায়। ঢাকা-ময়মনসিংহে যাতায়াতকারী এনা ট্রান্সপোর্টের ম্যানেজার আতাউর রহমান পুলক বলেন, 'যাত্রী আগের চেয়ে বেশি। তবে যানজটের কারণে সময়মতো গাড়ি পৌঁছতে পারছে না। আমরাও সময়মতো গাড়ি ছাড়তে পারছি না। তবে ঈদের পুরো চাপ এখনো শুরু হয়নি। আগামী সোমবার থেকে মূলত ঈদের চাপ শুরু হবে। এখন আমাদের একটাই চিন্তা, সেটা হচ্ছে যানজট।'
ঢাকা-বগুড়া রুটের একতা ট্রান্সপোর্টের কাউন্টার মাস্টার আবদুল ওহাবের কাছ থেকেও প্রায় একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেল। তিনি বলেন, 'এবার ঈদের ছুটি বেশি হওয়ায় অন্যান্যবারের মতো যাত্রীদের চাপ থাকবে না। তবে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সব টিকিটই অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত নিয়মিত ভাড়াই রাখছি।'
টার্মিনালজুড়ে ভরপুর যাত্রী থাকায় বেড়েছে হকারদের ব্যস্ততা। টিকিট হাতে নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে অনেক যাত্রীকেই দেখা গেল গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম বগুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করছিলেন দুপুর থেকে। তিনি বলেন, '৫টায় গাড়ি। শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনের টিকিট কেটেছি। ভিড় এড়াতে ঈদের কয়েক দিন আগে ছুটি নিয়ে আগেভাগেই যাচ্ছি। তবে যেমনটা ভেবেছিলাম তেমন ঝামেলা হয়নি। অত বেশি চাপ নেই, তবে পছন্দসই সিট পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।' বেশ কিছু যাত্রীকে দেখা গেল এসেছেন অগ্রিম টিকিট নিতে। বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যান্য দিনের কিছু টিকিট এখনো রয়েছে।
ঢাকা-বগুড়া, রংপুর ও নওগাঁ রুটের টি আর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মো. মজনু বলেন, 'যাত্রীর চাপ বাড়লেও যানজটের কারণে সময়মতো গাড়ি ছাড়তে পারছি না। আগে যেখানে চার ঘণ্টা লাগত এখন লাগছে সাত ঘণ্টা। যাত্রীদের চিল্লাচিলি্ল শুনতে হচ্ছে।'
এরই মধ্যে এই টার্মিনালে বসেছে অস্থায়ী র‌্যাব ক্যাম্প এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুম। র‌্যাব ২-এর কর্মকর্তা মো. সালেহ আহমেদ বলেন, 'আমরা পাঁচ দিন ধরে ক্যাম্প শুরু করেছি। প্রতিদিন ছয়জন র‌্যাব সদস্য এখানে দায়িত্ব পালন করে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। বাড়তি ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে না।'
গাবতলী বাস টার্মিনাল
রাজধানীর সব জায়গায় এরই মধ্যে লেগেছে ঈদের আমেজ। এর বাস্তবতা অনেকটা দেখা যায় নগরীর প্রধান বাস টার্মিনালগুলোতে। ঈদের ছুটি আরো কয়েক দিন বাকি থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে ভোর থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবার মধ্যেই প্রবল আকুলতা। মিরপুর টেকনিক্যাল মোড় থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালের প্রতিটি কাউন্টারে ছিল উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী। গাবতলী বাস টার্মিনালের এ কে ট্রাভেলসের কাউন্টারে দায়িত্ব পালনরত হানিফ বলেন, 'সকাল থেকেই বিপুল লোকসমাগম ছিল। তবে পুরুষের তুলনায় মহিলা যাত্রী বেশি। বোঝা যাচ্ছে, মহিলাদের আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।' সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারম্যান কাইয়ুম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। চাঁদাবাজি ও চুরি-ছিনতাই নেই বললেই চলে। পুলিশের টহল রয়েছে সার্বক্ষণিক।' এদিকে গাবতলী টার্মিনালে সকালে ভিড় বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। দুপুরে অনেকটাই ফাঁকা অবস্থা দেখা যায়। আবার বিকেলে দেখা যায়, যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রবণতা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। আবার কিছু কিছু কাউন্টারে এখনো আগের ভাড়াই রয়েছে।
নাফিসা নামের এক যাত্রী বলেন, 'সাতক্ষীরায় আমরা সব সময় যে ভাড়া দিয়ে যাই এখনো সে ভাড়ায় টিকিট পেয়েছি। টিকিট পেতেও কোনো সমস্যা হয়নি। সবকিছু মিলে বাসের ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো।' গাবতলী বাস টার্মিনালে এ বছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুটি পুলিশ ও একটি র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। পাশাপাশি গাবতলী পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছে সতর্কাবস্থানে। এ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে টার্মিনালের ২০টি পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আরো পাঁচটি স্থানে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে, যেখান থেকে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।'
যাত্রী উপস্থিতি অনেক থাকলেও কোনো কোনো কাউন্টারের লোকজন বলছে, এখনো তাদের আশানুরূপ যাত্রী হয়নি। অনেক গাড়ি এখনো খালি যায়- এমন কথাও বলেছে তারা। সকালে একটু যাত্রীর চাপ থাকলেও দুপুরে তা শূন্যের কোঠায়। তবে বাস কাউন্টারের দায়িত্বরতরা মনে করছে, আজ শুক্রবার তাদের টার্গেট পূরণ হবে। আবার ঈদের এই ব্যাপক যাত্রী সমাগমের সুবাদে টার্মিনালের সর্বত্র চোখে পড়ে হকারদের রাজত্ব। যত্রতত্র অস্থায়ী দোকান থাকায় যাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে টার্মিনালের দায়িত্বরত এএসআই নুরুন্নবী বলেন, 'কোথাও স্থায়ী হকার নেই। তবে আমাদের টহলের ফাঁকে ভাসমান কিছু হকার বসে। চোখে পড়লে আমরা তাদের সরিয়ে দিই।'

No comments

Powered by Blogger.