লড়াই সংগ্রাম করেই আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে- সন্তু লারমার আহ্বান
আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, আদিবাসীদের ভাল চায় না সরকার। তারা আদিবাসীদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে চায়। দেশে সাম্প্রদায়িক ও উগ্র জাতীয়তাবাদী শাসকগোষ্ঠী থাকলে আদিবাসীদের অধিকার পূরণ হবে না। লড়াই-সংগ্রাম করেই আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদ্্যাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি, সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, আইন ও সালিশকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, তথ্য কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, রোবায়েত ফেরদৌস ও ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ, অক্সফাম জিবি প্রতিনিধি সৈকত বিশ্বাস এবং আইএলও কনভেনশনের প্রতিনিধি অভিলাষ ত্রিপুরা।
সন্তু লারমা বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী যে চিন্তায় দেশ শাসন করছে, তা ইতিবাচক নয়। গণমুখী, অসাম্প্রদায়িক সরকার না হলে আদিবাসীদের ওপর শোষণ, নিপীড়ন চলতেই থাকবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বিভিন্নভাবে আদিবাসীদের অস্তিত্ব স্বীকার করেও ক্ষমতায় আসার পর তা অস্বীকার করছে। দু’শাসকগোষ্ঠী যে চিন্তাধারায় শাসন করতে চায় এতে শুধু আদিবাসী নয়, দেশের সকল শ্রমজীবী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী পদদলিত হবে। যে সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে না, তাদের কাছে এভাবে অধিকারও আদায় হয় না। লড়াই করেই অধিকার আদায় করতে হবে। অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সন্তু লারমা।
আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আদিবাসীদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে ন্যক্কারজনক অবস্থা তৈরি করেছে সরকার । সারা দুনিয়ায় আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে যখন আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে, তখন এ রাষ্ট্র জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছে যেন এ দিবস পালন করা না হয়। আদিবাসী অধিকার আইন তৈরির মাধ্যমে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান রাশেদ খান মেনন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার আদিবাসীদের সঙ্গে যে বিরোধে জড়িয়েছে তা শুভ নয়। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হলে সরকারকে আদিবাসীদের সঙ্গে বিদ্যমান বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে হবে।
আইন ও সালিশকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, আমরা বাঙালী ও আদিবাসীদের নিয়েই এমন একটি দেশ গড়তে চাই সেখানে সকলেই নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে বড় হতে পারবে।
আলোচনাসভা শেষে সমতল ও পাহাড়ী আদিবাসী শিল্পীগোষ্ঠী দল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজ নিজ গোষ্ঠীর ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়।
সন্তু লারমা বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী যে চিন্তায় দেশ শাসন করছে, তা ইতিবাচক নয়। গণমুখী, অসাম্প্রদায়িক সরকার না হলে আদিবাসীদের ওপর শোষণ, নিপীড়ন চলতেই থাকবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বিভিন্নভাবে আদিবাসীদের অস্তিত্ব স্বীকার করেও ক্ষমতায় আসার পর তা অস্বীকার করছে। দু’শাসকগোষ্ঠী যে চিন্তাধারায় শাসন করতে চায় এতে শুধু আদিবাসী নয়, দেশের সকল শ্রমজীবী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী পদদলিত হবে। যে সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে না, তাদের কাছে এভাবে অধিকারও আদায় হয় না। লড়াই করেই অধিকার আদায় করতে হবে। অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সন্তু লারমা।
আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আদিবাসীদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে ন্যক্কারজনক অবস্থা তৈরি করেছে সরকার । সারা দুনিয়ায় আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে যখন আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে, তখন এ রাষ্ট্র জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছে যেন এ দিবস পালন করা না হয়। আদিবাসী অধিকার আইন তৈরির মাধ্যমে আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান রাশেদ খান মেনন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার আদিবাসীদের সঙ্গে যে বিরোধে জড়িয়েছে তা শুভ নয়। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হলে সরকারকে আদিবাসীদের সঙ্গে বিদ্যমান বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে হবে।
আইন ও সালিশকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, আমরা বাঙালী ও আদিবাসীদের নিয়েই এমন একটি দেশ গড়তে চাই সেখানে সকলেই নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে বড় হতে পারবে।
আলোচনাসভা শেষে সমতল ও পাহাড়ী আদিবাসী শিল্পীগোষ্ঠী দল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজ নিজ গোষ্ঠীর ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়।
No comments