বাড়তি চাহিদা থাকলেও ব্যাংকে নগদ অর্থের সঙ্কট নেই
ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকের নগদ অর্থের বাড়তি চাহিদা থাকলেও ব্যাংকগুলোর তারল্য যোগানে তেমন সঙ্কট পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ কারণে এবার ঈদের আগে ব্যাংকগুলোর ধারকর্র্জনির্ভর প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে। তারল্যের যোগানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক।
গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী চেক অথবা ডেবিট কার্ড ঘষেই নগদ টাকার সরবরাহ পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও আবেদনসাপেক্ষ ঋণ পাচ্ছেন। এ কারণে এবার ঈদকেন্দ্রিক বাড়তি চাপ সত্ত্বেও কলমানি মার্কেট থেকে ব্যাংকগুলোর লেনদেনের পরিমাণও কমে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রমতে, গত বছর ঈদের আগে কলমানি মার্কেটে যেখানে সুদের হার ২০ শতাংশের ওপরে উঠে গিয়েছিল সেখানে এবার ঈদপূর্ব কলমানি মার্কেট অনেকটাই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বুধবার কলমানি মার্কেটে সুদের হার ছিল সাড়ে ১০ শতাংশ। অথচ গত রবিবারও এ হার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেব্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই কলমানি মার্কেট থেকে বেসরকারী মালিকানাধীন, বিদেশী মালিকানাধীন এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা ধার করার পরিমাণ অনেক কমে গেছে। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সরকারকে ঋণের যোগান দিতে এবং নিজেদের নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে আগের মতো এখনও কলমানি মার্কেট থেকে টাকা ধারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। মূলত জুলাই মাস থেকেই রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো কলমানি মার্কেট থেকে টাকা ধার করেছে বেশি।
সূত্রমতে, গত ১৫ দিনে ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহক প্রচুর নগদ টাকা তুলে নিয়েছে। এরপরও অধিকাংশ ব্যাংক নিজেদের নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে কলমানি মার্কেটে খুব একটা যাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণই হচ্ছে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সঙ্কট না থাকা। এ কারণে এবার ঈদকেন্দ্রিক কলমানি মার্কেটেও সুদের হার স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। আর কলমানি মার্কেটে সুদের হার স্বাভাবিক কিংবা সহনীয় মাত্রায় থাকা মানে কলমানি মার্কেট থেকে ব্যাংকগুলোর ধারকর্জ প্রবণতা কমে যাওয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক-সংশ্লিষ্টদের দাবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দূরদর্শিতার কারণেই ঈদের আগে চাহিদা বৃদ্ধি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলোর তারল্যাবস্থা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। কারণ বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার তেমন সঙ্কট নেই। এছাড়া মানি মার্কেট স্থিতিশীল রাখতে এবং তারল্য সঙ্কট কাটানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে প্রাইমারি ডিলার (পিডি) ব্যাংকগুলোকে রেপো ও নগদ অর্থ (তারল্য) সহায়তার মাধ্যমে তারল্য সঙ্কট নিরসনের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবারের চেয়ে সোমবার ৭০৮ কোটি টাকা বেশি দেয়া হয়েছে। রবিবার রেপো ও নগদ অর্থ সহায়তার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়, যা পরবর্তী কর্মদিবস সোমবারে দেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার কলমানি মার্কেট থেকে ব্যাংকগুলোর ধারের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। কিন্তু পরবর্তী কর্মদিবস সোমবারে এই ধারের পরিমাণ কমে ৭ হাজার ৬০৫ কোটি টাকায় নেমে আসে, যা সর্বশেষ পাওয়া হিসাব গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ধারের পরিমাণ আরও কমে মোট ৭ হাজার ৫২১ কোটি টাকায় এসে থামে।
উল্লেখ্য, আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার হলো এমন একটি মার্কেট যা মূলত ত্বরিত গতিতে তারল্য সঙ্কট মেটানোর জন্য ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করে থাকে। আগস্ট মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টাকা ধার করার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকটি ২ আগস্ট পর্যন্ত ৮০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা ধার করেছে। আর ৭৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ধার করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকের নগদ অর্থের বাড়তি চাহিদা থাকলেও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট না থাকায় এই বাড়তি চাপ সহজেই সামাল দিতে সক্ষম হচ্ছে। কারণ নতুন ঘোষিত মুদ্রানীতি কঠোর অনুসরণ করে চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য তফসিলী ব্যাংক। তাছাড়া গ্রাহক এবং ব্যাংক উভয়েরই চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ১১ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেব্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই কলমানি মার্কেট থেকে বেসরকারী মালিকানাধীন, বিদেশী মালিকানাধীন এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা ধার করার পরিমাণ অনেক কমে গেছে। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সরকারকে ঋণের যোগান দিতে এবং নিজেদের নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে আগের মতো এখনও কলমানি মার্কেট থেকে টাকা ধারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। মূলত জুলাই মাস থেকেই রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো কলমানি মার্কেট থেকে টাকা ধার করেছে বেশি।
সূত্রমতে, গত ১৫ দিনে ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহক প্রচুর নগদ টাকা তুলে নিয়েছে। এরপরও অধিকাংশ ব্যাংক নিজেদের নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে কলমানি মার্কেটে খুব একটা যাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণই হচ্ছে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সঙ্কট না থাকা। এ কারণে এবার ঈদকেন্দ্রিক কলমানি মার্কেটেও সুদের হার স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। আর কলমানি মার্কেটে সুদের হার স্বাভাবিক কিংবা সহনীয় মাত্রায় থাকা মানে কলমানি মার্কেট থেকে ব্যাংকগুলোর ধারকর্জ প্রবণতা কমে যাওয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক-সংশ্লিষ্টদের দাবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দূরদর্শিতার কারণেই ঈদের আগে চাহিদা বৃদ্ধি সত্ত্বেও ব্যাংকগুলোর তারল্যাবস্থা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। কারণ বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার তেমন সঙ্কট নেই। এছাড়া মানি মার্কেট স্থিতিশীল রাখতে এবং তারল্য সঙ্কট কাটানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে প্রাইমারি ডিলার (পিডি) ব্যাংকগুলোকে রেপো ও নগদ অর্থ (তারল্য) সহায়তার মাধ্যমে তারল্য সঙ্কট নিরসনের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবারের চেয়ে সোমবার ৭০৮ কোটি টাকা বেশি দেয়া হয়েছে। রবিবার রেপো ও নগদ অর্থ সহায়তার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়, যা পরবর্তী কর্মদিবস সোমবারে দেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার কলমানি মার্কেট থেকে ব্যাংকগুলোর ধারের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। কিন্তু পরবর্তী কর্মদিবস সোমবারে এই ধারের পরিমাণ কমে ৭ হাজার ৬০৫ কোটি টাকায় নেমে আসে, যা সর্বশেষ পাওয়া হিসাব গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ধারের পরিমাণ আরও কমে মোট ৭ হাজার ৫২১ কোটি টাকায় এসে থামে।
উল্লেখ্য, আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার হলো এমন একটি মার্কেট যা মূলত ত্বরিত গতিতে তারল্য সঙ্কট মেটানোর জন্য ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করে থাকে। আগস্ট মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টাকা ধার করার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকটি ২ আগস্ট পর্যন্ত ৮০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা ধার করেছে। আর ৭৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ধার করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকের নগদ অর্থের বাড়তি চাহিদা থাকলেও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট না থাকায় এই বাড়তি চাপ সহজেই সামাল দিতে সক্ষম হচ্ছে। কারণ নতুন ঘোষিত মুদ্রানীতি কঠোর অনুসরণ করে চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য তফসিলী ব্যাংক। তাছাড়া গ্রাহক এবং ব্যাংক উভয়েরই চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ১১ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপা হয়েছে।
No comments