সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা কি আইনের ঊর্ধ্বে?-ক্ষমতার দৌরাত্ম্য
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকের দুর্ভাগ্য একটি নয় দুটি: প্রথমত তাঁরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতার হাতে প্রহূত হলেন, দ্বিতীয়ত তাঁরা জানতেও পারলেন না কী তাঁদের ‘অপরাধ’। অন্যদিকে যশোরের যে সাংবাদিককে পুলিশের সামনে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে, তাঁর ‘অপরাধ’ তিনি সাংবাদিক।
সব ধরনের পেশাজীবী সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার তেজস্ক্রিয়ায় আক্রান্ত। এ ধরনের লোকই যদি নেতা হন, তাহলে সাধারণ মানুষই বা কীভাবে বাঁচে আর দেশের নেতৃত্বদানকারী সরকারের ভাবমূর্তিই বা কীভাবে রক্ষা পায়?
নাকে মশানিধনকারী রাসায়নিক স্প্রের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে উত্তম চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোই শ্রেয়। জীবন বাঁচানোর এটাই উত্তম পথ। কিন্তু উত্তম পথ দেখানোর জন্য দুই চিকিৎসককে কৈফিয়তের সুযোগ না দিয়েই উত্তমমধ্যম দেওয়া হলো। ক্ষমতা ততক্ষণ পর্যন্ত অন্ধ থাকে, যতক্ষণ না বাধা দেওয়া হয়। সরকারি দলের আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদককে বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না।
যশোরের ঘটনাটি আরও ভীতিকর। কোনো নেতার নাম চোরাকারবারি হিসেবে কোনো পত্রিকায় ছাপা হয়েছে বলে ওই সাংবাদিককে তুলে আনতে পাঠান স্থানীয় যুবলীগের নেতা আসাদুজ্জামান। তাঁকে না পেয়ে পেটোয়া বাহিনী চড়াও হয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকের ওপর। পুলিশই হোক আর দলীয় মাস্তানই হোক, সাংবাদিক প্রহারে ‘না ডরায় বীর’। অতএব পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে সেই সাংবাদিককে হাতুড়িপেটা করা হলো। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, নেতারাও আছেন বহালতবিয়তে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মারফত জানা যাচ্ছে, গ্রাম-মফস্বলে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্য মদমত্ত হাতির মতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোরই সংবাদ, গাজীপুরে সরকারদলীয় নেতার অভিযোগে বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ! রাজা যায় রাজা আসে, কিন্তু ক্ষমতার রাজহস্তীদের দৌরাত্ম্য আর শেষ হয় না। সরকার মহাশয় নেতাদের নৈরাজ্য সহ্য করতে পারে, কিন্তু গণতন্ত্রমনা জনগণ এই পীড়ন সহ্য করবে কী করে?
নাকে মশানিধনকারী রাসায়নিক স্প্রের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে উত্তম চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোই শ্রেয়। জীবন বাঁচানোর এটাই উত্তম পথ। কিন্তু উত্তম পথ দেখানোর জন্য দুই চিকিৎসককে কৈফিয়তের সুযোগ না দিয়েই উত্তমমধ্যম দেওয়া হলো। ক্ষমতা ততক্ষণ পর্যন্ত অন্ধ থাকে, যতক্ষণ না বাধা দেওয়া হয়। সরকারি দলের আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদককে বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না।
যশোরের ঘটনাটি আরও ভীতিকর। কোনো নেতার নাম চোরাকারবারি হিসেবে কোনো পত্রিকায় ছাপা হয়েছে বলে ওই সাংবাদিককে তুলে আনতে পাঠান স্থানীয় যুবলীগের নেতা আসাদুজ্জামান। তাঁকে না পেয়ে পেটোয়া বাহিনী চড়াও হয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকের ওপর। পুলিশই হোক আর দলীয় মাস্তানই হোক, সাংবাদিক প্রহারে ‘না ডরায় বীর’। অতএব পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে সেই সাংবাদিককে হাতুড়িপেটা করা হলো। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, নেতারাও আছেন বহালতবিয়তে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মারফত জানা যাচ্ছে, গ্রাম-মফস্বলে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্য মদমত্ত হাতির মতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোরই সংবাদ, গাজীপুরে সরকারদলীয় নেতার অভিযোগে বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ! রাজা যায় রাজা আসে, কিন্তু ক্ষমতার রাজহস্তীদের দৌরাত্ম্য আর শেষ হয় না। সরকার মহাশয় নেতাদের নৈরাজ্য সহ্য করতে পারে, কিন্তু গণতন্ত্রমনা জনগণ এই পীড়ন সহ্য করবে কী করে?
No comments