মর্ত্য থেকে সাগরে by একরামুল হক শামীম
সারা পৃথিবীর সংবাদমাধ্যম গুলোর কাছে এখন সবচেয়ে বড় সংবাদ লাদেনের মৃত্যু। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী হিসেবে মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে থাকা ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ওসামা বিন লাদেনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরতে পরিচালিত সফল অপারেশনের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজে তা মিডিয়ায় জানিয়ে দেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কমান্ডো বাহিনী নেভি সিলস এই অভিযান পরিচালনা করে। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তড়িঘড়ি করে লাদেনকে সমাহিত করা হয় সাগরে।
ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোনো দেশ বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসীকে দাফন করতে রাজি হবে না সেই বিতর্ক অবসান করতেই লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করা হয়। অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, মৃত লাদেন যাতে জীবিত লাদেন থেকে শক্তিশালী হয়ে না উঠতে পারেন সেজন্যই তার মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করা হয়। লাদেনের কবরস্থান থাকলেই তার অনুসারীরা সেটিকে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করতে পারে_ এমন আশঙ্কাও ছিল মার্কিন তরফ থেকে। ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে নানা ধরনের তর্কবিতর্ক হচ্ছে। সাগরে সমাহিত করার ব্যাপারটি নিয়ে নানা ধরনের ভাষ্য শেয়ার হচ্ছে সাইটগুলোতে। এ প্রসঙ্গে বলে নেওয়া যাক, লাদেনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের খবর প্রথম প্রকাশিত হয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে। ফেসবুক ও টুইটারে লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করার ব্যাপারে যেমন আলোচনা হচ্ছে, তেমনই কেউ কেউ আবার এত তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের ব্যাপারে সন্দেহও প্রকাশ করছেন। লাদেনের মৃত্যুর খবর ওবামার জন্য সুবার্তা এনে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বিন লাদেনের মৃতদেহের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করার ব্যাপারটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে আইকম্যানের বিচার প্রক্রিয়া অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েল আইকম্যানকে কমান্ডো কায়দায় ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করে। আইকম্যান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই পালিয়ে চলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনায়। সেখান থেকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। শুরু হয় আইকম্যান ট্রায়াল। বিচারে তার ফাঁসি হয়। ফাঁসির পর আইকম্যানের দেহ ভস্মীভূত করে ফেলা হয়। তার দেহভস্ম ফেলে দেওয়া হয় ভূমধ্যসাগরে। ভবিষ্যতে যেন লাখ লাখ ইহুদি হত্যার জন্য অভিযুক্ত আইকম্যানের কোনো ভক্ত সমাধিসৌধ তৈরি করতে না পারে এবং আইকম্যানের সমাধিস্থান যাতে কেউ খুঁজে না পায় এমন উদ্দেশ্যেই সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার দেহভস্ম।
লাদেনের মৃতদেহ সমাহিত হয়েছে আরব সাগরে। অবশ্য সাগর নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। আরব সাগরের নাম কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে এলেও একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাদেনের মৃতদেহ কোন সাগরের তলদেশে রাখা হয়েছে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। হয়তো নিরাপত্তার স্বার্থেই সাগরের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। 'শেষ শয্যা'র ক্ষেত্রে আইকম্যানের ভাগ্যই বরণ করতে হলো লাদেনকে। তার অনুসারীরা এখন তার সমাধিসৌধ তৈরি করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য যদি এই হয়, তাহলে বলতে হয় এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সফল।
ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোনো দেশ বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসীকে দাফন করতে রাজি হবে না সেই বিতর্ক অবসান করতেই লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করা হয়। অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, মৃত লাদেন যাতে জীবিত লাদেন থেকে শক্তিশালী হয়ে না উঠতে পারেন সেজন্যই তার মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করা হয়। লাদেনের কবরস্থান থাকলেই তার অনুসারীরা সেটিকে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করতে পারে_ এমন আশঙ্কাও ছিল মার্কিন তরফ থেকে। ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে নানা ধরনের তর্কবিতর্ক হচ্ছে। সাগরে সমাহিত করার ব্যাপারটি নিয়ে নানা ধরনের ভাষ্য শেয়ার হচ্ছে সাইটগুলোতে। এ প্রসঙ্গে বলে নেওয়া যাক, লাদেনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের খবর প্রথম প্রকাশিত হয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে। ফেসবুক ও টুইটারে লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করার ব্যাপারে যেমন আলোচনা হচ্ছে, তেমনই কেউ কেউ আবার এত তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের ব্যাপারে সন্দেহও প্রকাশ করছেন। লাদেনের মৃত্যুর খবর ওবামার জন্য সুবার্তা এনে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বিন লাদেনের মৃতদেহের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
লাদেনের মৃতদেহ সাগরে সমাহিত করার ব্যাপারটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে আইকম্যানের বিচার প্রক্রিয়া অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েল আইকম্যানকে কমান্ডো কায়দায় ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করে। আইকম্যান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই পালিয়ে চলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনায়। সেখান থেকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। শুরু হয় আইকম্যান ট্রায়াল। বিচারে তার ফাঁসি হয়। ফাঁসির পর আইকম্যানের দেহ ভস্মীভূত করে ফেলা হয়। তার দেহভস্ম ফেলে দেওয়া হয় ভূমধ্যসাগরে। ভবিষ্যতে যেন লাখ লাখ ইহুদি হত্যার জন্য অভিযুক্ত আইকম্যানের কোনো ভক্ত সমাধিসৌধ তৈরি করতে না পারে এবং আইকম্যানের সমাধিস্থান যাতে কেউ খুঁজে না পায় এমন উদ্দেশ্যেই সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার দেহভস্ম।
লাদেনের মৃতদেহ সমাহিত হয়েছে আরব সাগরে। অবশ্য সাগর নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। আরব সাগরের নাম কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে এলেও একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাদেনের মৃতদেহ কোন সাগরের তলদেশে রাখা হয়েছে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। হয়তো নিরাপত্তার স্বার্থেই সাগরের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। 'শেষ শয্যা'র ক্ষেত্রে আইকম্যানের ভাগ্যই বরণ করতে হলো লাদেনকে। তার অনুসারীরা এখন তার সমাধিসৌধ তৈরি করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য যদি এই হয়, তাহলে বলতে হয় এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সফল।
No comments